চীনা যাত্রীদের করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 65
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চীনা যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও ইতালি। এছাড়া যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের করোনা সংক্রমণের উল্লম্ফন অব্যাহত থাকলে তারাও এ নীতি গ্রহণ করবেন।

করোনা মহামারির প্রায় তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর সাধারণ জনগণের ব্যাপক আন্দোলনের জেরে কঠোর জিরো কোভিড নীতি থেকে সরে আসে চীনের সরকার। তারপর থেকে প্রতিদিনই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে কোভিডজনিত অসুস্থতায় বেশ কিছু মৃত্যুও হয়েছে চীনে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ চীনকে সহযোগিতা করতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছে; কিন্তু দেশটির সরকার সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। সাম্প্রতিক সংক্রমণ সংক্রান্ত কোনো তথ্যও জানায়নি তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সিডিসি এক টুইটবার্তায় জানিয়েছে, ইতোমধ্যে চীন থেকে আগাত যাত্রীদের জন্য করোনার পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট সঙ্গে রাখা ও প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে দেশের সব বিমানবন্দরে চীনের যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা করাতে হবে উল্লেখ করে টুইটবার্তায় বলা হয়েছে— চীন, হংকং ও ম্যাকাও থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রজোয্য হবে।

ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে আগত সব যাত্রীর ‘র‌্যাপিড টেস্ট’ শুরু হয়েছে ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে।

বৃহস্পতিবার জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে চীন থেকে জাপানে আসা সব যাত্রীকে অবশ্যই করোনার পিসিআর সনদ প্রদর্শন করতে হবে। সেই সনদে যাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসবে, তাদেরকে সরকার স্বীকৃত বিভিন্ন আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হবে এবং তাদের শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে গবেষণাগারে। চীনে করোনার নতুন কোনো ধরনের আবির্ভাব ঘটল কি না, তা জানাই হবে পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য।

এছাড়া ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে চীন থেকে আগত সব যাত্রীদের জন্য ইতোমধ্যে অ্যান্টিজেন সোয়াব টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে ইতালি। দেশটির দুই প্রধান বিমানবন্দর রোম ও মিলানে ইতোমধ্যে এ কাজ শুরু হয়ে গেছে।

ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চীনে করোনার নতুন কোনো ধরনের আবির্ভাব হয়েছে কি না তা জানতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতাালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওরাজিয় শিল্লাচি সাংবাদকিদের বলেছেন, ‘আমরা ইতালির জনগণকে করোনা ভাইরাসের যাবতীয় ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

তাইওয়ানও তার সব বিমান ও নৌবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য করোনা টেস্টের পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে।

এদিকে, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে চীন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য বাড়তি কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা তারা নিচ্ছেন না, তবে চীনের সংক্রমণ পরিস্থিতি তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চীনা যাত্রীদের করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক

আপডেট সময় : ০৪:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

চীনা যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও ইতালি। এছাড়া যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনের করোনা সংক্রমণের উল্লম্ফন অব্যাহত থাকলে তারাও এ নীতি গ্রহণ করবেন।

করোনা মহামারির প্রায় তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর সাধারণ জনগণের ব্যাপক আন্দোলনের জেরে কঠোর জিরো কোভিড নীতি থেকে সরে আসে চীনের সরকার। তারপর থেকে প্রতিদিনই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে কোভিডজনিত অসুস্থতায় বেশ কিছু মৃত্যুও হয়েছে চীনে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ চীনকে সহযোগিতা করতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছে; কিন্তু দেশটির সরকার সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। সাম্প্রতিক সংক্রমণ সংক্রান্ত কোনো তথ্যও জানায়নি তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সিডিসি এক টুইটবার্তায় জানিয়েছে, ইতোমধ্যে চীন থেকে আগাত যাত্রীদের জন্য করোনার পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট সঙ্গে রাখা ও প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে দেশের সব বিমানবন্দরে চীনের যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা করাতে হবে উল্লেখ করে টুইটবার্তায় বলা হয়েছে— চীন, হংকং ও ম্যাকাও থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রজোয্য হবে।

ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে আগত সব যাত্রীর ‘র‌্যাপিড টেস্ট’ শুরু হয়েছে ভারতের বিভিন্ন বিমানবন্দরে।

বৃহস্পতিবার জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩০ ডিসেম্বর থেকে চীন থেকে জাপানে আসা সব যাত্রীকে অবশ্যই করোনার পিসিআর সনদ প্রদর্শন করতে হবে। সেই সনদে যাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসবে, তাদেরকে সরকার স্বীকৃত বিভিন্ন আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হবে এবং তাদের শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে গবেষণাগারে। চীনে করোনার নতুন কোনো ধরনের আবির্ভাব ঘটল কি না, তা জানাই হবে পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য।

এছাড়া ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে চীন থেকে আগত সব যাত্রীদের জন্য ইতোমধ্যে অ্যান্টিজেন সোয়াব টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে ইতালি। দেশটির দুই প্রধান বিমানবন্দর রোম ও মিলানে ইতোমধ্যে এ কাজ শুরু হয়ে গেছে।

ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, চীনে করোনার নতুন কোনো ধরনের আবির্ভাব হয়েছে কি না তা জানতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতাালির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওরাজিয় শিল্লাচি সাংবাদকিদের বলেছেন, ‘আমরা ইতালির জনগণকে করোনা ভাইরাসের যাবতীয় ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

তাইওয়ানও তার সব বিমান ও নৌবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য করোনা টেস্টের পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে।

এদিকে, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে চীন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য বাড়তি কোনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা তারা নিচ্ছেন না, তবে চীনের সংক্রমণ পরিস্থিতি তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে।