বিনা খরচে ২০ কর্মীকে মালয়েশিয়া পাঠাচ্ছে ক্যাথারসিস
- আপডেট সময় : ১১:৫২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
- / 163
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও জে জি আল ফালাহ ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনায় ২০ কর্মী মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্য ঢাকা ত্যাগ করবেন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ বিনা খরচে এসব কর্মীকে মালয়েশিয়াতে পাঠানো হচ্ছে।
এউপলক্ষ্যে গতকাল সোমবার সকালে বসুন্ধরার “ক্যাথাসিস কমপ্লেক্সে” এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোমবার রাত ১১ টায় মালিন্য এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ২০ কর্মী মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন । ইন্সটাইল সোফা নামক ফার্নিচার কোম্পানিতে তারা কাজ করবেন বলে জানানো হয়।
বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির স্বত্তাধিকারী এবং বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জিরো কষ্ট মাইগ্রেশন” কর্মীদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো সংবাদ। এরফলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং সচিব মহোদয়ের দীর্ঘ দিনের আশা পুরণ হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হওয়ার ফলে বাংলাদেশী শ্রমিকদের অভিবাসন খরচ কমে আসবে এবং রেমিট্যান্স উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, দেশটিতে বিনা খরচে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ রাখতে এই সেক্টরের সাথে জড়িত সবাইকে সচেতনভাবে কাজ করতে হবে। যাতে দেশটিতে বিনা খরচে কর্মী পাঠানোর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পায়।
অভিযোগ রয়েছে,রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে
মালয়েশিয়ায় যেতে একজন কর্মীকে এখন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা গুনতে হয়।
এই পরিস্থিতিতে ২০ কর্মী সম্পূর্ণ বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পেলেন। এরমধ্য মেডিকেল, বিমান ভাড়া, ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে সব খরচ নিয়োগদাতা কোম্পানি বহন করবে।
“স্পেশাল ওয়ান অব রিক্রুটমেন্ট প্রজেক্টের” আওতায় এসব কর্মী যাচ্ছেন বলে আয়োজকরা জানান। অপরদিকে বিনা খরচে মালয়েশিয়া যেতে পারায় উচ্ছাস প্রকাশ করেন বিদেশগামীরা।
কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়া উপলক্ষে এই ব্যতিক্রমি অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সারওয়ার আলম, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর উপ পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, রিক্রুটিং এজেন্সীর মালিক মহিউদ্দিন ছাড়াও মন্ত্রণালয় এবং বিএমইটির কর্মকর্তারা।