ঢাকা ১০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিন: মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটে কর্মী গেলে তারা আরো গরীব হবে রাজবাড়িতে প্রবাসী আলামিন হত্যায় জড়িত অভিযোগে দুই আসামী গ্রেফতার পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস দৌলতদিয়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে জেলেদের বিক্ষাভ ও মানববন্ধন কনে দেখতে গিয়ে নিখোজ যুবকের লাশ নদী থেকে উদ্ধার ৪২৩ যাত্রী নিয়ে রিয়াদের উদ্দেশ্য ঢাকা ছেড়েছে ইউএস বাংলার প্রথম ফ্লাইট অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: গোয়ালন্দ পৌরবাসি জন্মলগ্ন থেকেই সুবিধাবঞ্চিত ঢাকায় প্রবাসীদের কল্যানে প্রবাসী হাসপাতাল প্রতিষ্টা করা হবে : ড. আসিফ নজরুল বাংলাদেশী পাসপোর্টে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ শর্ত পুর্নবহালের সিদ্ধান্ত প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধ গ্রেফতারি পরোয়ানা

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিন: মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটে কর্মী গেলে তারা আরো গরীব হবে

  • আপডেট সময় : ০৮:২৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 10
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদন

 

আওয়ামী সরকারের আমলের চিহিৃত দোসরদের মাধ্যমে পূনরায় সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠালে বাংলাদেশের গরীব মানুষগুলোর উন্নয়ন কখনো সম্ভব হবে না। শুধু তাই নয় যে বিপুল পরিমান টাকা খরচ করে শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় যাবে তাদের পক্ষে সেই পরিমান অর্থও আয় করা সম্ভব হবে না। ফলে ওই শ্রমিক তার পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে ব্যর্থ হবে এবং আরো দরিদ্রতার দিকেই এগিয়ে যাবে।
রিক্রুটিং এজেন্সী প্যারাডাইস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্তাধিকারী, গুলশানের সুইট ড্রিম হোটেল এবং সাহাব উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্ণধার মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বাংলাদেশের ভিন্ন ধারার একমাত্র দৈনিক প্রবাসী কণ্ঠ পত্রিকাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে মালয়েশিয়ার ভবিষ্যত শ্রমবাজারের হালচাল সর্ম্পকিত মন্তব্য করার সময় এভাবেই তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করেন।
তারমতে, মালয়েশিয়ায় নেপাল, ফিলিপাইনসহ ১৪টি সোর্সকান্ট্রিভ’ক্ত দেশ থেকে যেভাবে শ্রমিক যাচ্ছে সেভাবেই কর্মী যাওয়া উচিত। তাহলে সাধারণ সকল সদস্যরাই মালয়েশিয়াতে শ্রমিক পাঠানোর ব্যবসা করতে পারবে। এতে দেশও উপকৃত হবে।
সাহাব উদ্দিন বলেন, গত ৩ বছরে বাংলাদেশ থেকে কমবেশী ৪ লাখ ৭৫ হাজার শ্রমিক বৈধভাবে মালয়েশিয়াতে গিয়েছেন। যাদের কেউই সরকার নির্ধারিত টাকায় মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। প্রতি শ্রমিককে মালশিয়ায় যাওয়ার জন্য ৬-৭ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে। মালয়েশিয়া সিন্ডিকেট কর্তৃক নির্বাচিত বাংলাদেশী এজেন্সীকে বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে অসহায় দরিদ্র শ্রমিককে তাদের সর্বস্ব হারিয়ে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়াতে যেতে হয়েছে। মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশী বংশোদ্ভ’ত দাতো শ্রী আমিন নূর বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশের ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সীকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর জন্য তালিকাভ’ক্ত করেন। আবারো সেই দাতো আমিন একই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশী এজেন্সীগুলোকে তালিকাভ’ক্ত করে কর্মী পাঠানোর পায়তারা করছেন। মানে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারো সিন্ডিকেট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্যারাডাইস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রবাসী কণ্ঠকে বলেন, ২০২১ সালের সমঝোতা ¯œারক (এমওইউ) আমূল পরিবর্তন করা দরকার এবং নেপালের সাথে এখন মেয়াদোত্তীর্ণ সমঝোতা ¯œারকটিও আপডেট করা দরকার। এই ধারাগুলো সিন্ডিকেটের হাতে নিয়ন্ত্রণ দেয়, কারা কর্মী পাঠাতে পারবে তা সীমাবদ্ধ করে, অভিবাসন ব্যয় বাড়িয়ে তোলে এবং আইনের শাসনকে ক্ষুন্ন করে।
সাহাব উদ্দিনের মতে, বাংলাদেশের সাথে ক্রটিপূর্ণ সমঝোতা সমঝোতা ¯œারক সতকর্তার সাথে সংশোধন করে সমস্যাযুক্ত ধারাগুলো দুর করতে হবে, যাতে অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে কথিত সিন্ডিকেট থেকে চিরতরে মুক্তি দেয়া যায়। দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনিয়মিত ও অনৈতিক নিয়োগ এবং এ ধররেন আচরনের জন্য অসদাচরন, ঋণের দাসত্ব ও অন্যান্য নির্যাতনের ফলে অনেক শ্রমিকের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও নেপাল সরকারকে অবশ্যই সিন্ডিকেশনের যে কোনও সুযোগ অপসারণ করতে এবং শ্রমবাজার পুনরায় খোলার আগে আরো দায়িত্বশীল নিয়োগ অনুশীলনের সম্ভবনা বাড়াতে সমঝোতা ¯œারক পূনবিবেচনা করতে দ্রুত কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। সেসময় ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে পাঠানো যেতো। এরপর ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বরে নতুন সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সেই বাজার খুলতে সময় লেগেছিলো ৩ বছর। ২০২২ সালেল আগস্টে দেশটিতে আবারো বাংলাদেশী কর্মী যাওয়া শুরু হয়। ২০২৪ সালের ৩১ মে থেকে আবারো কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দিন: মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেটে কর্মী গেলে তারা আরো গরীব হবে

আপডেট সময় : ০৮:২৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদন

 

আওয়ামী সরকারের আমলের চিহিৃত দোসরদের মাধ্যমে পূনরায় সিন্ডিকেট করে মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠালে বাংলাদেশের গরীব মানুষগুলোর উন্নয়ন কখনো সম্ভব হবে না। শুধু তাই নয় যে বিপুল পরিমান টাকা খরচ করে শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় যাবে তাদের পক্ষে সেই পরিমান অর্থও আয় করা সম্ভব হবে না। ফলে ওই শ্রমিক তার পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে ব্যর্থ হবে এবং আরো দরিদ্রতার দিকেই এগিয়ে যাবে।
রিক্রুটিং এজেন্সী প্যারাডাইস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্তাধিকারী, গুলশানের সুইট ড্রিম হোটেল এবং সাহাব উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্ণধার মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বাংলাদেশের ভিন্ন ধারার একমাত্র দৈনিক প্রবাসী কণ্ঠ পত্রিকাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে মালয়েশিয়ার ভবিষ্যত শ্রমবাজারের হালচাল সর্ম্পকিত মন্তব্য করার সময় এভাবেই তিনি তার অভিমত ব্যক্ত করেন।
তারমতে, মালয়েশিয়ায় নেপাল, ফিলিপাইনসহ ১৪টি সোর্সকান্ট্রিভ’ক্ত দেশ থেকে যেভাবে শ্রমিক যাচ্ছে সেভাবেই কর্মী যাওয়া উচিত। তাহলে সাধারণ সকল সদস্যরাই মালয়েশিয়াতে শ্রমিক পাঠানোর ব্যবসা করতে পারবে। এতে দেশও উপকৃত হবে।
সাহাব উদ্দিন বলেন, গত ৩ বছরে বাংলাদেশ থেকে কমবেশী ৪ লাখ ৭৫ হাজার শ্রমিক বৈধভাবে মালয়েশিয়াতে গিয়েছেন। যাদের কেউই সরকার নির্ধারিত টাকায় মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। প্রতি শ্রমিককে মালশিয়ায় যাওয়ার জন্য ৬-৭ লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছে। মালয়েশিয়া সিন্ডিকেট কর্তৃক নির্বাচিত বাংলাদেশী এজেন্সীকে বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে অসহায় দরিদ্র শ্রমিককে তাদের সর্বস্ব হারিয়ে জীবিকার তাগিদে মালয়েশিয়াতে যেতে হয়েছে। মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশী বংশোদ্ভ’ত দাতো শ্রী আমিন নূর বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশের ১০০ রিক্রুটিং এজেন্সীকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর জন্য তালিকাভ’ক্ত করেন। আবারো সেই দাতো আমিন একই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশী এজেন্সীগুলোকে তালিকাভ’ক্ত করে কর্মী পাঠানোর পায়তারা করছেন। মানে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারো সিন্ডিকেট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
প্যারাডাইস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রবাসী কণ্ঠকে বলেন, ২০২১ সালের সমঝোতা ¯œারক (এমওইউ) আমূল পরিবর্তন করা দরকার এবং নেপালের সাথে এখন মেয়াদোত্তীর্ণ সমঝোতা ¯œারকটিও আপডেট করা দরকার। এই ধারাগুলো সিন্ডিকেটের হাতে নিয়ন্ত্রণ দেয়, কারা কর্মী পাঠাতে পারবে তা সীমাবদ্ধ করে, অভিবাসন ব্যয় বাড়িয়ে তোলে এবং আইনের শাসনকে ক্ষুন্ন করে।
সাহাব উদ্দিনের মতে, বাংলাদেশের সাথে ক্রটিপূর্ণ সমঝোতা সমঝোতা ¯œারক সতকর্তার সাথে সংশোধন করে সমস্যাযুক্ত ধারাগুলো দুর করতে হবে, যাতে অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে কথিত সিন্ডিকেট থেকে চিরতরে মুক্তি দেয়া যায়। দায়িত্বজ্ঞানহীন, অনিয়মিত ও অনৈতিক নিয়োগ এবং এ ধররেন আচরনের জন্য অসদাচরন, ঋণের দাসত্ব ও অন্যান্য নির্যাতনের ফলে অনেক শ্রমিকের জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও নেপাল সরকারকে অবশ্যই সিন্ডিকেশনের যে কোনও সুযোগ অপসারণ করতে এবং শ্রমবাজার পুনরায় খোলার আগে আরো দায়িত্বশীল নিয়োগ অনুশীলনের সম্ভবনা বাড়াতে সমঝোতা ¯œারক পূনবিবেচনা করতে দ্রুত কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। সেসময় ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে পাঠানো যেতো। এরপর ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বরে নতুন সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সেই বাজার খুলতে সময় লেগেছিলো ৩ বছর। ২০২২ সালেল আগস্টে দেশটিতে আবারো বাংলাদেশী কর্মী যাওয়া শুরু হয়। ২০২৪ সালের ৩১ মে থেকে আবারো কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া সরকার।