ঢাকা ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

  • আপডেট সময় : ০৮:১৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / 6
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক সপ্তাহের বেশি বিরতির পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা। বুধবার (৭ মে) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এ অঞ্চলে ফের মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুপুরের পর শহরের রাস্তাঘাট ছিল প্রায় ফাঁকা।

তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শহরের ব্যস্ত এলাকাগুলোতে দেখা গেছে, অনেকে গামছা দিয়ে মাথা ঢেকে কাজ করছেন, কেউ হাতপাখা দিয়ে গরম সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর কিছুটা বিরতি। তবে আজ বিকেল ৩টার দিকে আবারও তাপমাত্রা বেড়ে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা মৃদু তাপপ্রবাহের আওতায় পড়ে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক শুকুর আলী বলেন, হঠাৎ গরম বেশি লাগছে। যাত্রীও কম। রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, এ ধরনের গরমে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। তাই দিনে বার বার পানি পান, হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া এবং রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তীব্র গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন

আপডেট সময় : ০৮:১৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

এক সপ্তাহের বেশি বিরতির পর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা। বুধবার (৭ মে) জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এ অঞ্চলে ফের মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই প্রচণ্ড রোদ আর ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুপুরের পর শহরের রাস্তাঘাট ছিল প্রায় ফাঁকা।

তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শহরের ব্যস্ত এলাকাগুলোতে দেখা গেছে, অনেকে গামছা দিয়ে মাথা ঢেকে কাজ করছেন, কেউ হাতপাখা দিয়ে গরম সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর কিছুটা বিরতি। তবে আজ বিকেল ৩টার দিকে আবারও তাপমাত্রা বেড়ে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা মৃদু তাপপ্রবাহের আওতায় পড়ে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক শুকুর আলী বলেন, হঠাৎ গরম বেশি লাগছে। যাত্রীও কম। রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, এ ধরনের গরমে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। তাই দিনে বার বার পানি পান, হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া এবং রোদ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছি।