মালয়েশিয়া শ্রমবাজার উন্মুক্তের দাবিতে বায়রার মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ০৬:২৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
- / 9
শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং শ্রমবাজার উন্মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)। সংগঠনটি প্রবাসীকল্যাণ ভবনের সামনে সোমবার সকাল ১১টায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বায়রার সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারের সময় মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। এখনও সেই অপতৎপরতা চলমান।
এ সিন্ডিকেট রুখতে হলে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চুক্তিতে পরিবর্তন আনতে হবে এবং শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে হবে। ”
বক্তারা বলেন, সাবেক পতিত স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের প্রশ্রয়ে পলাতক রুহুল আমিন স্বপনের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। বর্তমানে তিনি বিদেশ থেকে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
তাদের ভাষ্যমতে, সিন্ডিকেটে মূল হোতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক পতিত স্বৈরাচার সরকারের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, দাতুক সেরি আমিন নুর, সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল, সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারি, লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ, ঢাকা উত্তর যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, সাবেক পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিএস আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন মহি ও বায়রার সাবেক ইসি সদস্য কাজী মফিজুর রহমান।
বক্তারা বলেন, সিন্ডিকেটটি ৮ লাখ কর্মীর কাছ থেকে টিকিট ও ভিসা বাবদ অতিরিক্ত প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে। এর একটি বড় অংশ তৎকালীন মন্ত্রী ও নেতারা ভাগ করে নিয়েছেন। ২৫ লাখ যাত্রীর কাছ থেকে মেডিকেল পরীক্ষার নামে আদায় করা হয়েছে আরও ৭৫০ কোটি টাকা। সিন্ডিকেটের লাইসেন্স পেতে একটি এজেন্সি-প্রতি দিতে হয়েছে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা।
নিউএজ ইন্টারন্যাশনালের প্রধান হিসাবরক্ষক শওকত আলম টিটু বলেন, “মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ১২ লাখ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। তারা ১৪টি দেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে। অন্য দেশ থেকে নেওয়া শুরু হলেও, নানা জটিলতায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে আমরা রেমিট্যান্স হারাচ্ছি, শ্রমবাজারও হারাচ্ছি। ”
তিনি বলেন, “সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে হবে, যাতে আমাদের কর্মীরা বিদেশে যেতে পারেন এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন।
নিউজটি শেয়ার করুন
