ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘আরতাসের’ যাত্রা শুরু অনুষ্ঠানে শিমুল: ‘স্কীল ডেভেলপড করতে না পারলে আমরা এই ট্রেড থেকে হারিয়ে যাবো’ লিবিয়া থেকে খালী হাতে ফিরেছে ১৬২ হতভাগ্য বাংলাদেশী মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজে উঠতে না পারা প্রতারিত শ্রমিকরা কত টাকা ফেরত পাচ্ছেন? জনশক্তি ব্যুরোর ২১ কর্মচারীকে বদলী ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী চার বঙ্গকন্যা আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ৮৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার আইজিপি পদে আরো এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত দেয়ার নির্দেশ ইউক্রেনে জয়ের জন্য রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ড

সামনে জীবন বাঁচানো কঠিন: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০৭:০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
  • / 373
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অর্থনৈতিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সঙ্কটে বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কায় পেট্রোল ফুরিয়ে গেছে এবং প্রয়োজনীয় আমদানির জন্য ডলার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা আগামী দিনে আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। 

তিনি বলেছেন, আমাদের পেট্রোল ফুরিয়ে গেছে.. এই মুহূর্তে আমাদের কাছে মাত্র আর এক দিনের পেট্রোল মজুত আছে। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে।

১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দ্বীপ দেশ শ্রীলঙ্কা। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ তলানিতে নেমে যাওয়া এর অন্যতম প্রধান কারণ।

করোনাভাইরাস মহামারি, উচ্চাভিলাষী ও অলাভজনক বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারের বিনিয়োগ, ত্রুটিপূর্ণ করনীতি ও সরকারি অব্যবস্থাপনার কারণে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

এর ফলে অনেকদিন ধরে জ্বালানি তেল, খাদ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি করতে পারছে না দেশটি। ফলে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শ্রীলঙ্কার গণপরিবহন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা।

তবে দেশটির জনগণকে ধৈর্যসহ আগামী কয়েক মাস সহ্য করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারি ১৪ লাখ বেসামরিক কর্মচারীর মে মাসের বেতন পরিশোধের নগদ অর্থও শেষ হয়ে গেছে এবং তিনি শেষ অবলম্বন হিসেবে অর্থ ছাপানোর পথে হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি সরকারি কর্মীদের বেতন এবং প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবার ব্যয় প্রদানের জন্য অর্থ ছাপানোর অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছি।

জ্বালানি ও বিদ্যুতের শুল্ক যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হবে এবং লোকসান কমাতে দেনায় থাকা সরকারের জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সামনে জীবন বাঁচানো কঠিন: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

অর্থনৈতিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সঙ্কটে বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কায় পেট্রোল ফুরিয়ে গেছে এবং প্রয়োজনীয় আমদানির জন্য ডলার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দেউলিয়া হয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কা আগামী দিনে আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। 

তিনি বলেছেন, আমাদের পেট্রোল ফুরিয়ে গেছে.. এই মুহূর্তে আমাদের কাছে মাত্র আর এক দিনের পেট্রোল মজুত আছে। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে।

১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের দ্বীপ দেশ শ্রীলঙ্কা। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ তলানিতে নেমে যাওয়া এর অন্যতম প্রধান কারণ।

করোনাভাইরাস মহামারি, উচ্চাভিলাষী ও অলাভজনক বিভিন্ন প্রকল্পে সরকারের বিনিয়োগ, ত্রুটিপূর্ণ করনীতি ও সরকারি অব্যবস্থাপনার কারণে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

এর ফলে অনেকদিন ধরে জ্বালানি তেল, খাদ্য, ওষুধসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি করতে পারছে না দেশটি। ফলে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শ্রীলঙ্কার গণপরিবহন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা।

তবে দেশটির জনগণকে ধৈর্যসহ আগামী কয়েক মাস সহ্য করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই লঙ্কান প্রধানমন্ত্রী।

সরকারি ১৪ লাখ বেসামরিক কর্মচারীর মে মাসের বেতন পরিশোধের নগদ অর্থও শেষ হয়ে গেছে এবং তিনি শেষ অবলম্বন হিসেবে অর্থ ছাপানোর পথে হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। রনিল বিক্রমাসিংহে বলেন, আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি সরকারি কর্মীদের বেতন এবং প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবার ব্যয় প্রদানের জন্য অর্থ ছাপানোর অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছি।

জ্বালানি ও বিদ্যুতের শুল্ক যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানো হবে এবং লোকসান কমাতে দেনায় থাকা সরকারের জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।