১১ দিনে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ৬৯ কোটি ডলার
- আপডেট সময় : ১১:২৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
- / 122
ঢাকা: আগস্টের ১১ দিনে প্রবাসী আয় এলো ৬৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। রোববার (১৩ আগস্ট) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিবেদন বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত বাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
আলোচিত সময়ে ৯ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও উরি ব্যাংক।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি, সেগুলো হলো বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল ও বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব।
এদিকে : চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টের প্রথম ১১ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ৬৯ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছে। এতে দৈনিক রেমিট্যান্স আসছে ৬ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার (টাকার হিসাবে ৬৯০ কোটি)। রোববার (১৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১১ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৮ কোটি ১০ লাখ ৮ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫৯ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
প্রকৃত রিজার্ভ ২৩.২৬ বিলিয়ন ডলার
আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নিয়মে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৩২৬ কোটি (২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন) ডলার।
সবশেষ ৯ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ আছে ২ হাজার ৯৫৩ কোটি ডলার (২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন) ডলার। তবে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী- আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রকৃত রিজার্ভে ৬২৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে ৪ মাসের মত আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।
সারা বিশ্বে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুদ্রা বিনিময়, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত নয়। এসব খাতে বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ৬২৭ কোটি ডলার দেওয়া আছে, যা বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়েছে।