ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুল্ক স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে ট্রাম্পের কাছে ড. ইউনুসের চিঠি

  • আপডেট সময় : ০৭:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 4
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক :

 

 

ওই চিঠিতে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে আরোপিত শুল্ক পুনর্বিবেচনার অনুরোধও জানানো হয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক সুবিধা দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের ওপর নতুন করে আরোপ করা ৩৭ শতাংশ শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

ওই চিঠিতে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে আরোপিত শুল্ক পুনর্বিবেচনার অনুরোধও জানানো হয়েছে।

একই সাথে বাংলাদেশের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক সুবিধা দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা তার চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমরাই প্রথম দেশ যারা এই ধরনের সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি’, তিনি তার চিঠিতে ফেব্রুয়ারিতে সরকারের প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানের ওয়াশিংটন ডিসি সফরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ কথা বলেন।

তখন থেকেই, দুই পক্ষ সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ প্রথম দেশ যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) আমদানির জন্য বহু-বছর মেয়াদী চুক্তি করেছে।

বাংলাদেশের পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি পণ্য যেমন তুলা, গম, ভুট্টা এবং সয়াবিনের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকরা সুবিধা পায়।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চাইতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি পণ্যের উপর সবচেয়ে কম শুল্ক ধার্য করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, মার্কিন পণ্যের উপর আরো শুল্ক কমানো হচ্ছে, যার মধ্যে গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো শীর্ষ মার্কিন রফতানি পণ্য রয়েছে।

বাংলাদেশ তুলার জন্য আলাদাভাবে শুল্কমুক্ত বন্ডেড গুদাম নির্মাণের কথা জানিয়েছে, যাতে বাজারে দ্রুত পণ্য পৌঁছানো যায়।

‘আমরা কিছু পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাদ দিচ্ছি, প্যাকেজিং, লেবেলিং এবং সার্টিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তাগুলোকে আরো যৌক্তিক করছি এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া এবং মান সহজ করার মতো বাণিজ্য সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণ করছি,’ চিঠিতে একথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

‘আপনার বাণিজ্য পরিকল্পনাকে পূর্ণ সমর্থন দিতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ’, ড. ইউনূস রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শিগগিরই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে বাংলাদেশের পদক্ষেপের বিস্তারিত একটি পৃথক চিঠি পাঠাবেন বলে প্রেস উইং জানিয়েছে।

এরইমধ্যে, ৫০টিরও বেশি দেশ এই শুল্ক ইস্যুতে আলোচনা করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে যোগাযোগ করেছে।

সূত্র : বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শুল্ক স্থগিতের অনুরোধ জানিয়ে ট্রাম্পের কাছে ড. ইউনুসের চিঠি

আপডেট সময় : ০৭:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

 

 

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক :

 

 

ওই চিঠিতে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে আরোপিত শুল্ক পুনর্বিবেচনার অনুরোধও জানানো হয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক সুবিধা দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের ওপর নতুন করে আরোপ করা ৩৭ শতাংশ শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

ওই চিঠিতে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে আরোপিত শুল্ক পুনর্বিবেচনার অনুরোধও জানানো হয়েছে।

একই সাথে বাংলাদেশের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক সুবিধা দেয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা তার চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমরাই প্রথম দেশ যারা এই ধরনের সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি’, তিনি তার চিঠিতে ফেব্রুয়ারিতে সরকারের প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানের ওয়াশিংটন ডিসি সফরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি এ কথা বলেন।

তখন থেকেই, দুই পক্ষ সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ প্রথম দেশ যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) আমদানির জন্য বহু-বছর মেয়াদী চুক্তি করেছে।

বাংলাদেশের পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি পণ্য যেমন তুলা, গম, ভুট্টা এবং সয়াবিনের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকরা সুবিধা পায়।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চাইতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি পণ্যের উপর সবচেয়ে কম শুল্ক ধার্য করেছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, মার্কিন পণ্যের উপর আরো শুল্ক কমানো হচ্ছে, যার মধ্যে গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো শীর্ষ মার্কিন রফতানি পণ্য রয়েছে।

বাংলাদেশ তুলার জন্য আলাদাভাবে শুল্কমুক্ত বন্ডেড গুদাম নির্মাণের কথা জানিয়েছে, যাতে বাজারে দ্রুত পণ্য পৌঁছানো যায়।

‘আমরা কিছু পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাদ দিচ্ছি, প্যাকেজিং, লেবেলিং এবং সার্টিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তাগুলোকে আরো যৌক্তিক করছি এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া এবং মান সহজ করার মতো বাণিজ্য সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণ করছি,’ চিঠিতে একথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

‘আপনার বাণিজ্য পরিকল্পনাকে পূর্ণ সমর্থন দিতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ’, ড. ইউনূস রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পকে আশ্বস্ত করেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শিগগিরই মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে বাংলাদেশের পদক্ষেপের বিস্তারিত একটি পৃথক চিঠি পাঠাবেন বলে প্রেস উইং জানিয়েছে।

এরইমধ্যে, ৫০টিরও বেশি দেশ এই শুল্ক ইস্যুতে আলোচনা করার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে যোগাযোগ করেছে।

সূত্র : বিবিসি