ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘আরতাসের’ যাত্রা শুরু অনুষ্ঠানে শিমুল: ‘স্কীল ডেভেলপড করতে না পারলে আমরা এই ট্রেড থেকে হারিয়ে যাবো’ লিবিয়া থেকে খালী হাতে ফিরেছে ১৬২ হতভাগ্য বাংলাদেশী মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজে উঠতে না পারা প্রতারিত শ্রমিকরা কত টাকা ফেরত পাচ্ছেন? জনশক্তি ব্যুরোর ২১ কর্মচারীকে বদলী ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী চার বঙ্গকন্যা আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ৮৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার আইজিপি পদে আরো এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত দেয়ার নির্দেশ ইউক্রেনে জয়ের জন্য রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ড

৩০ জেলায় ওয়েলফেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
  • / 160
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নুর ইসলাম নাহিদ:

ফিরে আসা অভিবাসীদের পুন:একত্রীকরণ (রিইন্টিগ্রেশন অফ রিটার্নিং মাইগ্রেন্টস) প্রকল্পের আওতায় ৩০ জেলায় ‘ওয়েলফেয়ার সেন্টার’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

আজ রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে খিলক্ষেতের বরুয়া লঞ্জনীপাড়ার বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে এর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহিন এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান।
উদ্বোধনের সময় ৩০ জেলার ওয়েলফেয়ার সেন্টারের প্রতিনিধিরা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। এসময় ৭ জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প সর্ম্পকিত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। বিশ্বের ১৭৮টি দেশে কর্মরত দেড় কোটির অধিক বাংলাদেশী কর্মী তাদের রক্ত ঘামের মাধ্যমে অর্জিত রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন। এসকল কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সার্বিক কল্যানে বোর্ড দেশে বিদেশে নানাবিধ সেবা প্রদান করছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, যুদ্ধাবস্থা (যেমন লিবিয়া, ইরাক ও সুদান সংকট) এবং প্রকৃতিক দুযোর্গকালীন সময়ে যেমন কোভিড-১৯) কর্মীর কল্যানে বোর্ড নানা ধরনের কার্যক্রম/কর্মসুচী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ হারিয়ে ২০২০ সালে প্রায় ৫ লাখ কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। প্রত্যাগত অধিকাংশ কর্মী কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে অর্থকস্টসহ সমাজে নানা ধরনের প্রতিকুল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকেই মানবেতন জীবন কাটাচ্ছেন। এসকল কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে সমাজে অস্থিরতাসহ নানাধরনের অনাকাংখিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাদের পুন:একত্রীকরনের (রি-ইন্টিগ্রেশন) লক্ষ্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে রিকভারী এন্ড এডভান্সমেন্ট অফ ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (আরএআইএসই): রিইন্টিগ্রেশন অফ রিটার্নিং মাইগ্রান্টস শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়। এপ্রকল্পের আওতায় ৩০টি জেলায় ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এই সেন্টারের মাধ্যমে সারাদেশে প্রকল্পে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় নগদ প্রনোদনা, আতœকর্মসংস্থানে সহযোগিতা, ঋণপ্রাপ্তিতে সহযোগিতা, কাউন্সেলিং, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ, দক্ষতা প্রদান, কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহন ও কল্যানমূলক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশ ফেরত কর্মীদের একটি তথ্যসমৃদ্ধ ডাটাবেইজ তৈরী হবে যা বাংলাদেশে ফেরত কর্মীদের জন্য প্রথম কোন তালিকা। মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবেন কাজ করবে আওএম, বাংলাদেশ এবং কনসালট্যন্ট হিসাবে অন্তর্ভূক্ত বিএনএসকে এবং প্রত্যাশীসহ ৭টি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

৩০ জেলায় ওয়েলফেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:৫৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩

 

নুর ইসলাম নাহিদ:

ফিরে আসা অভিবাসীদের পুন:একত্রীকরণ (রিইন্টিগ্রেশন অফ রিটার্নিং মাইগ্রেন্টস) প্রকল্পের আওতায় ৩০ জেলায় ‘ওয়েলফেয়ার সেন্টার’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

আজ রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরে খিলক্ষেতের বরুয়া লঞ্জনীপাড়ার বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে এর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহিন এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান।
উদ্বোধনের সময় ৩০ জেলার ওয়েলফেয়ার সেন্টারের প্রতিনিধিরা ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন। এসময় ৭ জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প সর্ম্পকিত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। বিশ্বের ১৭৮টি দেশে কর্মরত দেড় কোটির অধিক বাংলাদেশী কর্মী তাদের রক্ত ঘামের মাধ্যমে অর্জিত রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখছেন। এসকল কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সার্বিক কল্যানে বোর্ড দেশে বিদেশে নানাবিধ সেবা প্রদান করছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, যুদ্ধাবস্থা (যেমন লিবিয়া, ইরাক ও সুদান সংকট) এবং প্রকৃতিক দুযোর্গকালীন সময়ে যেমন কোভিড-১৯) কর্মীর কল্যানে বোর্ড নানা ধরনের কার্যক্রম/কর্মসুচী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ হারিয়ে ২০২০ সালে প্রায় ৫ লাখ কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। প্রত্যাগত অধিকাংশ কর্মী কর্মহীন অবস্থায় রয়েছেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে অর্থকস্টসহ সমাজে নানা ধরনের প্রতিকুল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকেই মানবেতন জীবন কাটাচ্ছেন। এসকল কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হলে সমাজে অস্থিরতাসহ নানাধরনের অনাকাংখিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তাদের পুন:একত্রীকরনের (রি-ইন্টিগ্রেশন) লক্ষ্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে রিকভারী এন্ড এডভান্সমেন্ট অফ ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (আরএআইএসই): রিইন্টিগ্রেশন অফ রিটার্নিং মাইগ্রান্টস শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়। এপ্রকল্পের আওতায় ৩০টি জেলায় ওয়েলফেয়ার সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এই সেন্টারের মাধ্যমে সারাদেশে প্রকল্পে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় নগদ প্রনোদনা, আতœকর্মসংস্থানে সহযোগিতা, ঋণপ্রাপ্তিতে সহযোগিতা, কাউন্সেলিং, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ, দক্ষতা প্রদান, কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহন ও কল্যানমূলক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিদেশ ফেরত কর্মীদের একটি তথ্যসমৃদ্ধ ডাটাবেইজ তৈরী হবে যা বাংলাদেশে ফেরত কর্মীদের জন্য প্রথম কোন তালিকা। মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবেন কাজ করবে আওএম, বাংলাদেশ এবং কনসালট্যন্ট হিসাবে অন্তর্ভূক্ত বিএনএসকে এবং প্রত্যাশীসহ ৭টি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।