তুরস্কে ভূমিকম্পে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিখোঁজ
- আপডেট সময় : ০৪:২২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / 118
স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ শিক্ষার্থীর নাম মো. গোলাম সাঈদ রিংকু। তিনি তুরস্কের খাহরামানমারাস প্রদেশের আজাজ শহরে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া জেলার গাবতলী থানার দেনাই গ্রামে। তার বাবার নাম গোলাম রাব্বানি। কয়েকবছর আগে উচ্চ শিক্ষা নিতে তুরস্কে যান রিংকু।
সেখানকার একটি ভবনে দুইজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নুরে আলম ও মো. রিংকু থাকতেন। ভূমিকম্পে তাদের ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সেই ভবন থেকে নুরে আলম বের হতে পারলেও খোঁজ নেই রিংকুর। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নুরে আলম।
রিংকুর বাবা জানান, ভূমিকম্পের খবর পাওয়ার পর আমার ছেলের মোবাইলে ফোন করি কিন্তু তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। সেখানে থাকা তার বন্ধুরাও তার কোন খোঁজ পাচ্ছে না। আমার ছেলেকে যেন আল্লাহ সুস্থ অবস্থায় আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন সেজন্য সবার দোয়া চাই।
এদিকে, তুরস্কে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি প্রয়োজনে কনস্যুলেটের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল। নম্বরটি হলো +৯০৮০০২৬১০০২৬, +৯০ ৫৪৬ ৯৯৫ ০৬৪৭ ।
তুরস্কে বাংলাদেশের আঙ্কারা দূতাবাস ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার প্রবাসীদের হটলাইনে যোগাযোগ করতে বলেছে- +৯০ ৫৪৬ ৯৯৫ ০৬৪৭ ও +৯০ ৫৩৮ ৯১০ ৯৬৩৫।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার অংশে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটেছে।৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প এখন পর্যন্ত চার হাজার ৯০০ লোক মারা গেছেন। ধ্বংসস্তূপে আটকেপড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
তুরস্কে ৫ হাজার ৬০৬টি স্থাপনা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে বহুতল আবাসিক ভবনগুলো ছিল মানুষে পরিপূর্ণ। এ ছাড়া আলেপ্পোতে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি কয়েক ডজন ভবন ধসের কথা জানিয়েছে সিরিয়া।