জানুয়ারিতে প্রবাসী আয়ে সুবাতাস

  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 84
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা: ডলারের সংকট চলছে বছরকাল সময় ধরে। সংকট কাটাতে উচ্চ-বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিতের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপও নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

জানুয়ারি মাসে ১৯৫ কোটি ডলার পাঠালেন প্রবাসীরা। প্রবাসী আয়ে কয়েক মাস ধরে হ্রাস সামাল দিতে সরকার বিভিন্ন রকম উদ্যোগের ফলে প্রবাসী আয় বাড়ছিল। জানুয়ারি মাসের শেষে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) এ সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে কিছুটা উন্নতি হলে সংকট  কাটছে না। আর ডলার সংকট দূর করতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সহায়য়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত জরুরি আমদানি দায় মেটাতেই এ ডলার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সংকট কাটাতে মূল ভরসা প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা শুরু হয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম মাসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। টাকার অংকে যা ২০ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ প্রতিদিন এসেছে ৬ কোটি ৩১ লাখ ডলারের বেশি। এর আগের মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রেমিট্যান্সের উদ্ধগতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য রেমিট্যান্সে প্রণোদনাও বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া নানা উদ্যোগ কাজে আসতে শুরু হয়েছে। এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, জানুয়ারি আগের মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত মাসের চেয়ে জানুয়ারি ২৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার বেশি। আর গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ কোটি ৪৩ লাখ ডলার বেশি এসেছে। গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এসেছিল ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

আলোচিত মাস জানুয়ারিতে কোনো সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ৩৫৪.৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর পরেই রয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাধ্যমে ১২১.০৩ মিলিয়ন ডলার, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১৭.১০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া সরকারি অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪.২৪ মিলিয়ন ডলার।

জানুয়ারি মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রায়ত্ব ডিবিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাবে। এছাড়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জানুয়ারিতে প্রবাসী আয়ে সুবাতাস

আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ঢাকা: ডলারের সংকট চলছে বছরকাল সময় ধরে। সংকট কাটাতে উচ্চ-বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিতের পাশাপাশি নানা পদক্ষেপও নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

জানুয়ারি মাসে ১৯৫ কোটি ডলার পাঠালেন প্রবাসীরা। প্রবাসী আয়ে কয়েক মাস ধরে হ্রাস সামাল দিতে সরকার বিভিন্ন রকম উদ্যোগের ফলে প্রবাসী আয় বাড়ছিল। জানুয়ারি মাসের শেষে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) এ সুখবর দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে কিছুটা উন্নতি হলে সংকট  কাটছে না। আর ডলার সংকট দূর করতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সহায়য়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত জরুরি আমদানি দায় মেটাতেই এ ডলার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সংকট কাটাতে মূল ভরসা প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা শুরু হয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম মাসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। টাকার অংকে যা ২০ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকার বেশি। অর্থাৎ প্রতিদিন এসেছে ৬ কোটি ৩১ লাখ ডলারের বেশি। এর আগের মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে এসেছিল ১৬৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রেমিট্যান্সের উদ্ধগতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য রেমিট্যান্সে প্রণোদনাও বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া নানা উদ্যোগ কাজে আসতে শুরু হয়েছে। এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, জানুয়ারি আগের মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত মাসের চেয়ে জানুয়ারি ২৫ কোটি ৯১ লাখ ডলার বেশি। আর গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ কোটি ৪৩ লাখ ডলার বেশি এসেছে। গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এসেছিল ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।

আলোচিত মাস জানুয়ারিতে কোনো সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ৩৫৪.৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর পরেই রয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাধ্যমে ১২১.০৩ মিলিয়ন ডলার, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ১১৭.১০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া সরকারি অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৪.২৪ মিলিয়ন ডলার।

জানুয়ারি মাসে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রায়ত্ব ডিবিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাবে। এছাড়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াতেও কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।