শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
নোটিস :
Wellcome to our website...

রেমিট্যান্সে বড় ধাক্কা থামছে না পতন

রিপোর্টার
আপডেট : বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২

একের পর এক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও থামানো যাচ্ছে না রেমিট্যান্সের পতন (প্রবাসী আয়)। ধারাবাহিকভাবে কমে যাচ্ছে রেমিট্যান্স। গেল অক্টোবরে ১৫২ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এছাড়া দেশি-বিদেশি আট ব্যাংকের মাধ্যমে অক্টোবরে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ (প্রায় ১.৫২ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। প্রবাসী আয়ের এ অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ কোটি ১৪ লাখ ডলার বা ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম। গত বছরের অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৪ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। শুধু তাই নয়, অক্টোবরের প্রবাসী আয়ের এ অঙ্ক গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। চলতি অর্থবছরের টানা দুই মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বৈধ পথে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগস্টে ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ (২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর আগের মাস জুলাইয়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। জুলাইয়ে পবিত্র ঈদুল-আজহার কারণে দেশে বিপুল অঙ্কের প্রবাসী আয় এসেছিল। তবে আগস্টে বড় উৎসব ছিল না, তারপরও প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়ায়।

তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এসে এই উল্লম্ফন হোঁচট খেয়েছে। সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। আর সদ্য বিদায়ি অক্টোবরে আরও কমে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।

প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, অক্টোবরে সরকারি পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ কোটি ৭২ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭১ লাখ ডলার আর বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বরাবরের মতো বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে।

অক্টোবরে ব্যাংকটির প্রবাসী আয় ৩৫ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। এরপর অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৬৪ লাখ, সোনালী ব্যাংকে ৮ কোটি ৯৪ লাখ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে এসেছে ৮ কোটি ৬৬ লাখ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে ৮ কোটি ৪৮ লাখ এবং রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৬ কোটি ৭২ লাখ ডলার। তবে এ সময়ে আট ব্যাংকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এগুলো হলো বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খা?তের ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

এদিকে রেমিট্যান্স বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের মতো সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালেও প্রতি ডলারে ১০৭ টাকা পাবেন প্রবাসীরা, যা আগে ছিল ৯৯ টাকা ৫০ পয়সা। এছাড়া এখন থেকে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স আহরণ বাবদ কোনো চার্জ বা মাশুলও নেবে না। সর্বশেষ সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদার বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া বর্তমানে বিদেশ থেকে যে কোনো অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগে না। আবার প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। প্রণোদনা বাড়ার পরও সর্বশেষ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে বড় পতন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম।

সুত্র : যুগান্তর


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এক ক্লিকে বিভাগের খবর