ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৪

  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
  • / 561
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারিতে বান্দরবানের রুমায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনার রেষ্ট কাটতে না কাটতেই এবার রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২ সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তু গ্রুপের এক ক্যাডারকে গুলির পর অপহরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আকতার চারজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নদীর পাড়ে ৪ মরদেহ পড়ে থাকার খবর জানতে পেরে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তু গ্রুপের এক ক্যাডারকে গুলির পর অপহরণ করে ইঞ্জিন বোটে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। রোয়াংছড়ির তালুকদার পাড়ায় রুমা উপজেলার মধ্যবর্তী শংখ নদীর পালংক্ষ্যং এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে চারজন নিহতের ঘটনা ঘটে।

এদিকে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর ৩টার দিকে শংখ নদীর কানাপাড়া ঘাটের কাছাকাছি একটি পয়েন্টে দুইপক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সেনাবাহিনীর একাধিক টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা পালংক্ষ্যং এর কাছাকাছি নদীর পাড়ে ৪টি লাশ দেখতে পায়। তবে ঘটনাস্থল রুমা না রোয়াংছড়ি উপজেলার অন্তর্গত তা নিশ্চিত না হওয়ায় লাশগুলো এখনো উদ্ধার করা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা নোয়াপাড়ায় কমব্যাট পোশাক পড়া একটি সশস্ত্র গ্রুপ পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপ ক্যাডার উনুমং মারমাকে (৪৫) গুলি করে আহত করে। এরপর তাকে নিয়ে ৩টি ইঞ্জিনচালিত বোটে করে যাওয়ার সময় পালংক্ষ্যং এলাকায় ওত পেতে থাকা পিসিজেএসএস এর একটি সশস্ত্র গ্রুপ নৌকাযাত্রীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এসময় ইঞ্জিন বোট থেকেও পাল্টা গুলি নিক্ষেপ করা হয়। পরে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নদীর পাড়ে ৪টি লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ মগ ন্যাশনাল লিবারেশন পার্টি (এমএনএলপি) ক্যাডাররাই কমব্যাট পোশাক পরিধান করে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, এমএনএলপি সদস্যরা পিসিজেএসএস সদস্যকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা জনসংহতি ক্যাডারদের এমবুসের মুখে পড়ে।

এদিকে : গত শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের রুমায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আবু পাড়ার প্রধান লংরুই ম্রো (৬৫), তার ছেলে রুংথুই ম্রো (৪২), লেংরুং ম্রো (৩৮), মেনওয়াই ম্রো (২৯) ও রিংরাও ম্রো (২৬)। গ্যালেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মেনরত ম্রো জানান, জুম চাষের জন্য জঙ্গল কাটা নিয়ে পাড়াবাসীদের সঙ্গে ওই পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার দুই গ্রুপের বাগবিতণ্ডার জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাড়া প্রধান লংরুই ম্রোসহ পরিবারের ওপর হামলা করে পাড়াবাসীরা। এতে ঘটনাস্থলে লংরুই ম্রো ও তার বড় ছেলে রুংথুই ম্রো মারা যান। বাকিদের হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।

পুলিশ জানায়, বাবা-ছেলেসহ পাঁচ জনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বান্দরবানে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত ৪

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২

গত শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারিতে বান্দরবানের রুমায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনার রেষ্ট কাটতে না কাটতেই এবার রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২ সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তু গ্রুপের এক ক্যাডারকে গুলির পর অপহরণের সময় এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আকতার চারজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নদীর পাড়ে ৪ মরদেহ পড়ে থাকার খবর জানতে পেরে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তু গ্রুপের এক ক্যাডারকে গুলির পর অপহরণ করে ইঞ্জিন বোটে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। রোয়াংছড়ির তালুকদার পাড়ায় রুমা উপজেলার মধ্যবর্তী শংখ নদীর পালংক্ষ্যং এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে চারজন নিহতের ঘটনা ঘটে।

এদিকে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর ৩টার দিকে শংখ নদীর কানাপাড়া ঘাটের কাছাকাছি একটি পয়েন্টে দুইপক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সেনাবাহিনীর একাধিক টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা পালংক্ষ্যং এর কাছাকাছি নদীর পাড়ে ৪টি লাশ দেখতে পায়। তবে ঘটনাস্থল রুমা না রোয়াংছড়ি উপজেলার অন্তর্গত তা নিশ্চিত না হওয়ায় লাশগুলো এখনো উদ্ধার করা হয়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা নোয়াপাড়ায় কমব্যাট পোশাক পড়া একটি সশস্ত্র গ্রুপ পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপ ক্যাডার উনুমং মারমাকে (৪৫) গুলি করে আহত করে। এরপর তাকে নিয়ে ৩টি ইঞ্জিনচালিত বোটে করে যাওয়ার সময় পালংক্ষ্যং এলাকায় ওত পেতে থাকা পিসিজেএসএস এর একটি সশস্ত্র গ্রুপ নৌকাযাত্রীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এসময় ইঞ্জিন বোট থেকেও পাল্টা গুলি নিক্ষেপ করা হয়। পরে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নদীর পাড়ে ৪টি লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ মগ ন্যাশনাল লিবারেশন পার্টি (এমএনএলপি) ক্যাডাররাই কমব্যাট পোশাক পরিধান করে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে, এমএনএলপি সদস্যরা পিসিজেএসএস সদস্যকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা জনসংহতি ক্যাডারদের এমবুসের মুখে পড়ে।

এদিকে : গত শুক্রবার ২৫ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের রুমায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আবু পাড়ার প্রধান লংরুই ম্রো (৬৫), তার ছেলে রুংথুই ম্রো (৪২), লেংরুং ম্রো (৩৮), মেনওয়াই ম্রো (২৯) ও রিংরাও ম্রো (২৬)। গ্যালেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মেনরত ম্রো জানান, জুম চাষের জন্য জঙ্গল কাটা নিয়ে পাড়াবাসীদের সঙ্গে ওই পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার দুই গ্রুপের বাগবিতণ্ডার জেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাড়া প্রধান লংরুই ম্রোসহ পরিবারের ওপর হামলা করে পাড়াবাসীরা। এতে ঘটনাস্থলে লংরুই ম্রো ও তার বড় ছেলে রুংথুই ম্রো মারা যান। বাকিদের হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।

পুলিশ জানায়, বাবা-ছেলেসহ পাঁচ জনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।