রোমানিয়া যেতে আগ্রহীদের বোয়েসেলের সতর্কবার্তা

  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 136
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক:

পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় যেতে আগ্রহী বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সতর্ক বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সচিব এস এম শফি কামাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়।
বলা হয়, রোমানিয়ায় পোশাককর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে রোমানিয়ায় সোনোমা স্পোর্টসওয়্যার এসআরএল, বাংলাদেশের ইউরোপীয় ফ্যাশন লিমিটেড ও বোয়েসেলের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মেয়াদ গত ৪ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে গেছে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোমানিয়ার ওই কোম্পানিতে বোয়েসেলের মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানো হবে না। এই অবস্থায় বোয়েসেলের নাম ব্যবহার করে রোমানিয়ায় শ্রমিক প্রেরনের ক্ষেত্রে কোনো কোম্পানি/এজেন্সি/ব্যক্তির সাথে কোন ধরনের টাকা লেনদেন না করার জন্য এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক নূর আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, বোয়েসেলের নাম ব্যবহার করে কিছু প্রতিষ্ঠান বিদেশগামীদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে বলে আমাদের কাছে খবর আসছে। এদের ফাদে পড়ে যেনো কেউ প্রতারিত না হন, সেজন্য আমরা সতর্কবার্তা দিয়েছি।
এদিকে রোমানিয়াগামীদের অনলাইনে ইন্টারভিউ এবং ট্রেনিং করানোর ফাঁদে ফেলে রিক্রুটিং এবং ট্রেনিং সেন্টার নামধারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিযে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের অসহায় এসব মানুষগুলোকে তারা জিম্মি করে ভ’য়া স্লিপ দেখিয়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করে অগ্রীম আদায় করছে। পরবর্তীতে বিদেশ যেতে না পারা এসব যুবকরা ওই সব ভ’য়া প্রতিষ্ঠানে গেলে তাদের খোজ মিলছে না। এমনকি যে নামে স্লিপে ইস্যু করা হয়েছে সেই স্লিপে থাকা টেলিফোন নম্বরগুলোও আর কেউ ধরছেন না। পরে প্রতারিতরা ধর্না দিচ্ছেন জনশক্তি কর্মসংস্থাণ ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোসহ নানা দফতরে।
অভিবাসন ব্যবসার সাথে জড়িতরা বলছেন, এখন ভয়ানক প্রতারকদের দ্রুত চিহিৃত করে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারলে বিদেশ যাওয়ার আগেই অসংখ্য মানুষ প্রতারিত হয়ে নিংস্ব হয়ে পড়বেন। তাই মন্ত্রনালয়কে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করার বিকল্প নেই বলে বায়রার নেতারা মনে করছেন। তবে তারা দাবী করছেন এসব চক্রের সাথে বায়রা সদস্যদের কোন সম্পৃত্ততা নেই। তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে হতে পারে প্রতারনার জাল তৈরী করছে প্রতারকরা চক্রটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রোমানিয়া যেতে আগ্রহীদের বোয়েসেলের সতর্কবার্তা

আপডেট সময় : ১২:৫৮:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক:

পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় যেতে আগ্রহী বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সতর্ক বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বোয়েসেল)। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সচিব এস এম শফি কামাল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়।
বলা হয়, রোমানিয়ায় পোশাককর্মী পাঠানোর লক্ষ্যে রোমানিয়ায় সোনোমা স্পোর্টসওয়্যার এসআরএল, বাংলাদেশের ইউরোপীয় ফ্যাশন লিমিটেড ও বোয়েসেলের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মেয়াদ গত ৪ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে গেছে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় রোমানিয়ার ওই কোম্পানিতে বোয়েসেলের মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানো হবে না। এই অবস্থায় বোয়েসেলের নাম ব্যবহার করে রোমানিয়ায় শ্রমিক প্রেরনের ক্ষেত্রে কোনো কোম্পানি/এজেন্সি/ব্যক্তির সাথে কোন ধরনের টাকা লেনদেন না করার জন্য এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক নূর আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, বোয়েসেলের নাম ব্যবহার করে কিছু প্রতিষ্ঠান বিদেশগামীদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে বলে আমাদের কাছে খবর আসছে। এদের ফাদে পড়ে যেনো কেউ প্রতারিত না হন, সেজন্য আমরা সতর্কবার্তা দিয়েছি।
এদিকে রোমানিয়াগামীদের অনলাইনে ইন্টারভিউ এবং ট্রেনিং করানোর ফাঁদে ফেলে রিক্রুটিং এবং ট্রেনিং সেন্টার নামধারী প্রতিষ্ঠানগুলো নানা কৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিযে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের অসহায় এসব মানুষগুলোকে তারা জিম্মি করে ভ’য়া স্লিপ দেখিয়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করে অগ্রীম আদায় করছে। পরবর্তীতে বিদেশ যেতে না পারা এসব যুবকরা ওই সব ভ’য়া প্রতিষ্ঠানে গেলে তাদের খোজ মিলছে না। এমনকি যে নামে স্লিপে ইস্যু করা হয়েছে সেই স্লিপে থাকা টেলিফোন নম্বরগুলোও আর কেউ ধরছেন না। পরে প্রতারিতরা ধর্না দিচ্ছেন জনশক্তি কর্মসংস্থাণ ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোসহ নানা দফতরে।
অভিবাসন ব্যবসার সাথে জড়িতরা বলছেন, এখন ভয়ানক প্রতারকদের দ্রুত চিহিৃত করে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারলে বিদেশ যাওয়ার আগেই অসংখ্য মানুষ প্রতারিত হয়ে নিংস্ব হয়ে পড়বেন। তাই মন্ত্রনালয়কে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করার বিকল্প নেই বলে বায়রার নেতারা মনে করছেন। তবে তারা দাবী করছেন এসব চক্রের সাথে বায়রা সদস্যদের কোন সম্পৃত্ততা নেই। তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে হতে পারে প্রতারনার জাল তৈরী করছে প্রতারকরা চক্রটি।