গ্রেপ্তারকৃত শাকিল আজাদ (২৯) জেলার বরুড়া উপজেলার অশ্বদিয়া গ্রামের আবু হানিফের ছেলে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে মঙ্গলবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব ১১-এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান।
তিনি বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, শাকিল বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে নিম্ন আয়ের পরিবার খুঁজে বিয়ে করেন। নিজেকে কাতার প্রবাসী বলে পরিচয় দিয়ে সেসব এলাকার বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় দানও করেন। তারপর শ্বশুরবাড়ির এলাকার বেকারদের কাতার নেওয়ার কথা বলে টাকা-পয়সা হাতিয়ে উধাও হয়ে যেতেন।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে মেজর সাকিব বলেন, “আজাদ এখন পর্যন্ত কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, নীলফামারী ও ফরিদপুরে বিয়ে করেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছি। তার কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছে।”
তার চতুর্থ স্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে র্যাব তদন্তে নামে জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা সাকিব বলেন, প্রতারণার শিকার বেকার যুবকরা তার শ্বশুরবাড়িতে টাকার জন্য চাপ দেন। এমন ঘটনায় একদিকে মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তা, অন্যদিকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য এলাকার মানুষের চাপ। সব মিলিয়ে অসহ্য হয়ে ওঠে ওই পরিবারের মানুষদের জীবন।
“আজাদ চতুর্থ বিয়েটি করেন খুলনায় ২০১৮ সালে। এলাকাবাসীর রোষানলে পড়ে আজাদের চতুর্থ স্ত্রীর পরিবার এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। এ অবস্থায় ১৫ দিন আগে চতুর্থ স্ত্রী কুমিল্লায় র্যাব অফিসে বিস্তারিত লিখে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজাদের পাসপোর্ট বাতিল করেছে জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে আজাদ ছদ্মবেশে চট্টগ্রামে একটি বেকারি খুলেছিলেন।
আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে আজাদকে বরুড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।