ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘আরতাসের’ যাত্রা শুরু অনুষ্ঠানে শিমুল: ‘স্কীল ডেভেলপড করতে না পারলে আমরা এই ট্রেড থেকে হারিয়ে যাবো’ লিবিয়া থেকে খালী হাতে ফিরেছে ১৬২ হতভাগ্য বাংলাদেশী মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজে উঠতে না পারা প্রতারিত শ্রমিকরা কত টাকা ফেরত পাচ্ছেন? জনশক্তি ব্যুরোর ২১ কর্মচারীকে বদলী ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী চার বঙ্গকন্যা আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ৮৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার আইজিপি পদে আরো এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত দেয়ার নির্দেশ ইউক্রেনে জয়ের জন্য রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ড

জর্জিয়া মেলোনি-শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

  • আপডেট সময় : ০৯:১৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
  • / 115
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠকে ইতালিতে থাকা বৈধ-অবৈধ শ্রমিক, নতুন জনশক্তি আমদানি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার হয় এবং পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে দু’টি সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয়।

 

 

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকেলে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি স্বাগত জানান এবং সেখানে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শ্রমিক ইস্যুতে আলাপকালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, এখানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা খুব ভালো কাজ করছে। তারা যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য।

ইতালি বৈধ পথে শ্রমিক চায় জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অবৈধ শ্রমিক চাই না। ইতালির জনগণ এটা চায় না। ইতালি সরকার এ নিয়ে চাপে আছে। ইতালি বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি চায়। এটা বড় একটি ইস্যু।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বৈধ এবং অবৈধ বাংলাদেশি জনশক্তি উভয়ই দুই দেশের অর্থনীতির জন্য কাজ করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবৈধ অভিভাসনকে নিরুৎসাহিত করে।

বাণিজ্য-বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৯টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে।

শেখ হাসিনা ইতালিকে এসব বিশেষ অঞ্চল ও পার্ক বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান এবং ইতালিকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ইতালির পক্ষ থেকে বলা, যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইতালি ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়াতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে চামড়াজাত পণ্য আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতা করতে ইতালিকে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জর্জিয়া মেলোনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং বলেন, তিনি অবশ্যই বাংলাদেশ সফর করবেন।

বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয়।

ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম, ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জর্জিয়া মেলোনি-শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

আপডেট সময় : ০৯:১৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠকে ইতালিতে থাকা বৈধ-অবৈধ শ্রমিক, নতুন জনশক্তি আমদানি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার হয় এবং পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে দু’টি সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয়।

 

 

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকেলে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি স্বাগত জানান এবং সেখানে শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শ্রমিক ইস্যুতে আলাপকালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, এখানে বাংলাদেশি শ্রমিকরা খুব ভালো কাজ করছে। তারা যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য।

ইতালি বৈধ পথে শ্রমিক চায় জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অবৈধ শ্রমিক চাই না। ইতালির জনগণ এটা চায় না। ইতালি সরকার এ নিয়ে চাপে আছে। ইতালি বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি চায়। এটা বড় একটি ইস্যু।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বৈধ এবং অবৈধ বাংলাদেশি জনশক্তি উভয়ই দুই দেশের অর্থনীতির জন্য কাজ করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবৈধ অভিভাসনকে নিরুৎসাহিত করে।

বাণিজ্য-বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৯টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে।

শেখ হাসিনা ইতালিকে এসব বিশেষ অঞ্চল ও পার্ক বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান এবং ইতালিকে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ইতালির পক্ষ থেকে বলা, যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইতালি ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়াতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে চামড়াজাত পণ্য আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ করেন।

বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতা করতে ইতালিকে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জর্জিয়া মেলোনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং বলেন, তিনি অবশ্যই বাংলাদেশ সফর করবেন।

বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয়।

ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম, ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান।