রোহিঙ্গাদের জন্য ৪.৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে জাপান

  • আপডেট সময় : ০৩:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
  • / 94
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা: কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে (ডব্লিউএফপি) ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেবে জাপান সরকার। এই লক্ষ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে নোট স্বাক্ষরিত ও বিনিময় হয়েছে।

বাংলাদেশে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্যের একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎস ডব্লিউএফপির সহায়তা। চলতি বছর এই সহায়তা কমে গেছে। ফলে রোহিঙ্গাদের জন্য অপুষ্টি ও মানবপাচারের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের মজুত পুনরায় পূরণ করা জরুরি।

বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির আবাসিক প্রতিনিধি ডম স্কালপেলি বলেন, আমরা আশা করি, আরও দাতারা এগিয়ে আসবেন এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশাকে তাদের সাহায্য এজেন্ডায় উচ্চ পর্যায়ে রাখবেন। আমরা সম্পূর্ণ রেশন পুনরুদ্ধারের জন্য ৪৮ মিলিয়ন ডলারের আবেদন করছি। ১২ ডলারের কম শুধুমাত্র নারী ও শিশুদের পুষ্টির ওপরই নয়, ক্যাম্পে থাকা প্রত্যেকের জন্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তার ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, জাপান সরকারের সহায়তা রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা উভয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটাবে। তিনি বলেন, এই বছরের মার্চ মাসে ১ মিলিয়ন  ডলারের জরুরি খাদ্য সহায়তার পর আমরা ডব্লিউএফপির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা হিসাবে ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত। আমরা আশা করি যে, এই অনুদান খাদ্য সংকট দূর, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি এবং ক্যাম্পে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রারমান উন্নত করতে সাহায্য করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রোহিঙ্গাদের জন্য ৪.৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে জাপান

আপডেট সময় : ০৩:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

ঢাকা: কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তার জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিকে (ডব্লিউএফপি) ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেবে জাপান সরকার। এই লক্ষ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে নোট স্বাক্ষরিত ও বিনিময় হয়েছে।

বাংলাদেশে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার খাদ্যের একমাত্র নির্ভরযোগ্য উৎস ডব্লিউএফপির সহায়তা। চলতি বছর এই সহায়তা কমে গেছে। ফলে রোহিঙ্গাদের জন্য অপুষ্টি ও মানবপাচারের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। এ ছাড়া বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যের মজুত পুনরায় পূরণ করা জরুরি।

বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির আবাসিক প্রতিনিধি ডম স্কালপেলি বলেন, আমরা আশা করি, আরও দাতারা এগিয়ে আসবেন এবং রোহিঙ্গাদের দুর্দশাকে তাদের সাহায্য এজেন্ডায় উচ্চ পর্যায়ে রাখবেন। আমরা সম্পূর্ণ রেশন পুনরুদ্ধারের জন্য ৪৮ মিলিয়ন ডলারের আবেদন করছি। ১২ ডলারের কম শুধুমাত্র নারী ও শিশুদের পুষ্টির ওপরই নয়, ক্যাম্পে থাকা প্রত্যেকের জন্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তার ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

জাপানের রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, জাপান সরকারের সহায়তা রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা উভয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটাবে। তিনি বলেন, এই বছরের মার্চ মাসে ১ মিলিয়ন  ডলারের জরুরি খাদ্য সহায়তার পর আমরা ডব্লিউএফপির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী খাদ্য সহায়তা হিসাবে ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত। আমরা আশা করি যে, এই অনুদান খাদ্য সংকট দূর, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি এবং ক্যাম্পে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রারমান উন্নত করতে সাহায্য করবে।