ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীকে ভালোবেসে ‘নিঃস্ব’ সৌদি প্রবাসী!

nurislam nahid
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
  • / 331
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মো. ইমরুল লস্কর। সৌদি প্রবাসী। ১০ জানুয়ারি সকালেই দেশে ফিরেছেন। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেই হতভম্ব হয়ে যান তিনি। বাড়ির গেটে ঝুলছে তালা, উধাও প্রিয়তমা স্ত্রী! ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বিলবাউস গ্রামে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, স্বামীর অবর্তমানে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ইমরুলের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের। তার হাত ধরেই হয়তো নিরুদ্দেশ হয়েছেন তিনি।

সোমবার সকালে ইমরুল লস্কর সৌদি আরব থেকে বাড়িতে এসে দেখেন বাড়ির গেটে তালা দেওয়া। এরপর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর ব্যাপারে জানতে চাইলে তারাও মেয়ের বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি।

জানা গেছে, ইমরুল লস্করের সঙ্গে ২০০২ সালে ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তাদের বিয়ে হয়। ২০০৭ সালে ইমরুল সৌদি আরবে চলে যান।

ইমরুলের দাবি, দীর্ঘ ২০ বছরের প্রবাস জীবনে তিনি স্ত্রীর নামে ৯৭ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। এছাড়া স্ত্রীর নামে বাড়ি করার জন্য গ্রামে ১৩ শতক জমি কিনেছেন। সেই জমি স্ত্রীর নামেই রেজিস্ট্রি করেছেন তিনি। সবকিছু হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব।

ইমরুল লস্কর বিলবাউস গ্রামের মৃত ইয়ার আলী লস্করের ছেলে। আর তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম একই গ্রামের হাসেম শেখের মেয়ে।

 

এদিকে ইমরুলের মানসিক অবস্থা দেখে প্রতিবেশীরা ফাতেমা বেগমের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- মো. মুজিবর মোল্যা, লিটন লস্কর, আব্বাস লস্কর, মনিরুল লস্কর, মিজানুর লস্কর, লাভলী বেগম, ফাতেমা বেগম, শারমিন সুলতানা প্রমুখ।

প্রতিবেশী মুজিবর মোল্যা বলেন, কয়েক দিন ধরে বাড়ির ভবন ও সীমানা প্রাচীরের গেটে তালা ঝুলছিল। তার ধারণা, কালিয়ার চাঁদপুর গ্রামের এক ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির সঙ্গে ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সম্ভবত তার সঙ্গে চলে গেছে ফাতেমা।

এ বিষয়ে জানতে ফাতেমা বেগমের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ফাতেমার বাবা হাসেম মোল্যা জানান, তার মেয়ে কোথায় গেছেন তারা জানেন না।

তিনি আরও বলেন, ইমরুল আমার মেয়ে ফাতেমার নামে টাকাপয়সা পাঠাতো, জমিও কিনে দিয়েছে। তবে ৯৭ লাখ টাকা হবে কিনা জানি না।

এ বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি মো. কনি মিয়া শেখ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্ত্রীকে ভালোবেসে ‘নিঃস্ব’ সৌদি প্রবাসী!

আপডেট সময় : ০৮:০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২

মো. ইমরুল লস্কর। সৌদি প্রবাসী। ১০ জানুয়ারি সকালেই দেশে ফিরেছেন। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেই হতভম্ব হয়ে যান তিনি। বাড়ির গেটে ঝুলছে তালা, উধাও প্রিয়তমা স্ত্রী! ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বিলবাউস গ্রামে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, স্বামীর অবর্তমানে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ইমরুলের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের। তার হাত ধরেই হয়তো নিরুদ্দেশ হয়েছেন তিনি।

সোমবার সকালে ইমরুল লস্কর সৌদি আরব থেকে বাড়িতে এসে দেখেন বাড়ির গেটে তালা দেওয়া। এরপর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর ব্যাপারে জানতে চাইলে তারাও মেয়ের বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি।

জানা গেছে, ইমরুল লস্করের সঙ্গে ২০০২ সালে ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তাদের বিয়ে হয়। ২০০৭ সালে ইমরুল সৌদি আরবে চলে যান।

ইমরুলের দাবি, দীর্ঘ ২০ বছরের প্রবাস জীবনে তিনি স্ত্রীর নামে ৯৭ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। এছাড়া স্ত্রীর নামে বাড়ি করার জন্য গ্রামে ১৩ শতক জমি কিনেছেন। সেই জমি স্ত্রীর নামেই রেজিস্ট্রি করেছেন তিনি। সবকিছু হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব।

ইমরুল লস্কর বিলবাউস গ্রামের মৃত ইয়ার আলী লস্করের ছেলে। আর তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম একই গ্রামের হাসেম শেখের মেয়ে।

 

এদিকে ইমরুলের মানসিক অবস্থা দেখে প্রতিবেশীরা ফাতেমা বেগমের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- মো. মুজিবর মোল্যা, লিটন লস্কর, আব্বাস লস্কর, মনিরুল লস্কর, মিজানুর লস্কর, লাভলী বেগম, ফাতেমা বেগম, শারমিন সুলতানা প্রমুখ।

প্রতিবেশী মুজিবর মোল্যা বলেন, কয়েক দিন ধরে বাড়ির ভবন ও সীমানা প্রাচীরের গেটে তালা ঝুলছিল। তার ধারণা, কালিয়ার চাঁদপুর গ্রামের এক ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রির সঙ্গে ফাতেমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সম্ভবত তার সঙ্গে চলে গেছে ফাতেমা।

এ বিষয়ে জানতে ফাতেমা বেগমের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ফাতেমার বাবা হাসেম মোল্যা জানান, তার মেয়ে কোথায় গেছেন তারা জানেন না।

তিনি আরও বলেন, ইমরুল আমার মেয়ে ফাতেমার নামে টাকাপয়সা পাঠাতো, জমিও কিনে দিয়েছে। তবে ৯৭ লাখ টাকা হবে কিনা জানি না।

এ বিষয়ে কালিয়া থানার ওসি মো. কনি মিয়া শেখ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।