জনগণ যেন সেবা বঞ্চিত না হয় : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৫:১৩:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২
- / 341
প্রিন্ট ভার্সন :
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি কথা মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের জনগণ, তারা যেন কখনো সেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। কারণ তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্যই তো এই স্বাধীনতা।
রোববার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগের পর যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন, যে যেখানে দায়িত্ব পালন করবেন মানুষের কথা চিন্তা করবেন, যে এলাকায় কাজ করবেন সে এলাকা সম্পর্কে জানতে হবে, সে এলাকার মানুষের আচার-আচরণ সম্পর্কে জানতে হবে, জীবন-জীবিকা সম্পর্কে জানতে হবে। কীভাবে তাদের উন্নতি করা যায় সে বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাদেরই সবচেয়ে ভালো সুযোগ রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আপনাদের মধ্যে থেকেই সবাই উচ্চপদে যাবেন, দেশের জন্য আরও আরও উন্নত কাজ করবেন। মাঠ পর্যায়ের কাজের মধ্য দিয়ে যে জ্ঞান লাভ করবেন, যখন উচ্চপর্যায়ে যাবেন আরও বাস্তবভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা নিয়েছি, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মূল কারিগর আপনারাই হবেন। এখন থেকে আপনাদের সেভাবে কাজ করতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তাদের ক্ষমতাটা ছিল ভোগের বস্তু। তারা সেটা দিয়ে নিজের ভাগ্য গড়তে চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, শুধু প্রধানমন্ত্রী নই। আমার দায়িত্ব হচ্ছে, এ দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো সুনিশ্চিত করা। তাদের জীবনমান উন্নত করা এবং দেশের উন্নয়নটা তৃণমূল পর্যায় থেকে করা। এ অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত নির্যাতিত-নিপীড়িত, শোষিত-বঞ্চিত ছিল। এ দেশের মানুষের এক বেলা অন্ন জোগানো অত্যন্ত কঠিন ছিল। আর্থ-সামাজিকভাবে আমরা পিছিয়েছিলাম। এই শোষিত-বঞ্চিত মানুষকে শোষণ-বঞ্চনার হাত থেকে মুক্ত করার জন্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন।
তিনি বলেন, আপনারা মাঠ প্রশাসক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। সুযোগ পেয়েছেন, জনগণের পাশে দাঁড়াতে, তাদের ভালো-মন্দ জানার সুযোগ পাচ্ছেন। আপনাদের মধ্য থেকে সবাই উচ্চ পদে যাবেন এবং দেশের জন্য আরও উন্নত কাজ করবেন। বাংলাদেশকে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যে পরিকল্পনা নিয়েছি, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মূল কারিগর আপনারাই হবেন। কাজেই এখন থেকে আপনাদের সেভাবে কাজ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি একটি অনুরোধ করব, আমাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রজেক্ট বিভিন্ন এলাকায় কার্যকর হয়। অনেক সময় সেসব এলাকায় কাজের সময় জমি নির্দিষ্ট করা বা এ ধরনের নানা কাজে সমস্যা দেখা দেয়, সেখানে আমি মনে করি, সমন্বয় একান্তভাবে প্রয়োজন। কাজগুলো যাতে সুপরিকল্পিতভাবে হয়। সে দিকটায় বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া উচিত। এটা শুধু আপনাদের বলব না, যারা উচ্চ পর্যায়ে আছে, যারা বিভিন্ন প্রকল্প প্রণয়ন করেন এবং আমরা যেগুলো করে দিই সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ বিষয়টা দেখতে হবে।