প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক :
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে প্রবল তুষারপাতের কারণে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় গতকাল (১৩ মার্চ) দেশে আসছে না ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ। রোমানিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী হোয়াটস অ্যাপে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রদূত জানান, হাদিসুরের মরদেহ বর্তমানে ইস্তাম্বুল রয়েছে। ভারী তুষারপাতের কারণে নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আজ সোমবার ১২টা ১৫ মিনিটে অন্য একটি ফ্লাইট হাদিসুরের মরেদেহ নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে।

গত শনিবার রোমানিয়া সময় রাত পৌনে ১০টায় বুখারেস্ট থেকে নাবিক হাদিসুরের মরদেহ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি কার্গো ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে। ফ্লাইটি ইস্তাবুলে পৌঁছানোর পর ভারী তুষারপাতের কারণে সেটি বাতিল করা হয়। এর আগে, গত শুক্রবার হাদিসুরের মরদেহ ইউক্রেন থেকে মালদোভায় পৌঁছায়। সেখান থেকে মরদেহ পরের দিন শনিবার সকালে রোমানিয়ায় পৌঁছায়।

গত ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা এমভি বাংলার সমৃদ্ধি গোলা হামলার শিকার হয়। এতে জাহাজে আগুন ধরে নিহত হন হাদিসুর। পরদিন ৩ মার্চ জাহাজটি থেকে জীবিত ২৮ নাবিক ও নিহত হাদিসুরের মরদেহ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ওই ২৮ নাবিককে ইউক্রেন থেকে মালদোভা হয়ে রোমানিয়ায় নিয়ে যায় সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস। গত ৯ মার্চ রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে ওই ২৮ নাবিককে দেশে ফেরত আনা হয়।

এদিকে লাশ দেশে আসার খবরে গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে হাদিসুরকে দাফনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত লাশ না আসায় এখনও অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে পরিবারকে। হাদিসুরের চাচা বেতাগী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফেরকান জানান, দাদা-দাদির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। লাশ যদি সোমবার পৌঁছায় তবে ওইদিন বিকাল ৫টায় জানাজা হবে। রোমানিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাতে বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো সুহৃদ সালেহীন বলেন, ইস্তানবুলে ভারী তুষারপাতের কারণে ঢাকাগামী হাদিসুরের লাশবাহী ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। তবে সেখানকার আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে সোমবার তার লাশ বাংলাদেশে পৌঁছাবে।