ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন খায়রুজ্জামান

  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 405
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান মুক্তি পেয়েছেন। তার মুক্তিতে কোনো শর্ত দেননি মালয়েশিয়ার আদালত। ফলে তিনি মুক্ত এবং স্বাভাবিকভাবে চলাফেরারে সুযোগ পাবেন।

এম খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমান তার মুক্তির বিষয়টি ফোনে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আদালতের আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে খায়রুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ‘মিথ্যা অভিযোগে’ আটক হওয়ার পর আমি অনেক বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম। আমার পরিবারের সদস্যরাও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। তারা আমার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত চিন্তিত ছিল।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমি যা করতে চাই তা হলো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা। মুক্তির পরপরই আমি তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি এবং সে খুব আনন্দিত।

এর আগে এম খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন দেশটির আদালত। খায়রুজ্জামানের আইনজীবীর করা আবেদনে মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট মঙ্গলবার এই আদেশ দেন বলে দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

খায়রুজ্জামানের আইনজীবীদের দাবি, তাদের মক্কেল (খায়রুজ্জামান) একজন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী। তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কার্ডধারী। তিনি কোনো অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেননি। তার বৈধ ভ্রমণ নথিপত্র আছে। তিনি মালয়েশিয়ায় কোনো কাজ করছিলেন না। তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তাই তাকে আটক করা বেআইনি। তাকে বহিষ্কার করার অধিকার মালয়েশিয়ার নেই।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। দেশে ফিরে আসা ঝুঁকি মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।

প্যারিসভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটসের (এফআইডিএইচ) তথ্য অনুযায়ী, খায়রুজ্জামান জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) নিবন্ধিত শরণার্থী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মালয়েশিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন খায়রুজ্জামান

আপডেট সময় : ০২:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামান মুক্তি পেয়েছেন। তার মুক্তিতে কোনো শর্ত দেননি মালয়েশিয়ার আদালত। ফলে তিনি মুক্ত এবং স্বাভাবিকভাবে চলাফেরারে সুযোগ পাবেন।

এম খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমান তার মুক্তির বিষয়টি ফোনে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আদালতের আদেশে মুক্তি পাওয়ার পর স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে খায়রুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ‘মিথ্যা অভিযোগে’ আটক হওয়ার পর আমি অনেক বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম। আমার পরিবারের সদস্যরাও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। তারা আমার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত চিন্তিত ছিল।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমি যা করতে চাই তা হলো, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা। মুক্তির পরপরই আমি তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি এবং সে খুব আনন্দিত।

এর আগে এম খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন দেশটির আদালত। খায়রুজ্জামানের আইনজীবীর করা আবেদনে মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট মঙ্গলবার এই আদেশ দেন বলে দেশটির সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

খায়রুজ্জামানের আইনজীবীদের দাবি, তাদের মক্কেল (খায়রুজ্জামান) একজন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী। তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কার্ডধারী। তিনি কোনো অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করেননি। তার বৈধ ভ্রমণ নথিপত্র আছে। তিনি মালয়েশিয়ায় কোনো কাজ করছিলেন না। তিনি বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তাই তাকে আটক করা বেআইনি। তাকে বহিষ্কার করার অধিকার মালয়েশিয়ার নেই।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। দেশে ফিরে আসা ঝুঁকি মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।

প্যারিসভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটসের (এফআইডিএইচ) তথ্য অনুযায়ী, খায়রুজ্জামান জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) নিবন্ধিত শরণার্থী।