ইউক্রেনের কাছে কী চায় রাশিয়া?

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 137
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই মুহূর্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনও সময় যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে বলে দাবি করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। পশ্চিমারা গোয়েন্দাদের দাবি, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, যেকোনও সময় ইউক্রেনে বিমান হামলা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করতে পারে রাশিয়া।

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কমপক্ষে ১২টি দেশ নিজেদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগ করতে বলেছে।

তবে যুদ্ধের সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তা সত্ত্বেও ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া বিপুল সৈন্য সমাবেশকে যুদ্ধের ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে বারবার সতর্কতা জারি করছে পশ্চিমা দেশগুলো।

 

কিন্তু কেন হামলার আশঙ্কা, ইউক্রেনের কাছে কী চায় রাশিয়া?

ইউক্রেন যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর মত পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে না পারে সেই চেষ্টা বহুদিন ধরেই করছে রাশিয়া।

রাশিয়ার নিরাপত্তা দাবিগুলোর মূলে রয়েছে ইউক্রেনকে কখনওই ন্যাটো সামরিক জোটে নেওয়া চলবে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাশিয়া- উভয়ের সাথেই ইউক্রেনের সীমান্ত রয়েছে, কিন্তু সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হওয়ার কারণে রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের ঐতিহাসিক সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ রয়েছে। রুশ ভাষা সেদেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

২০১৪ সালে যখন ইউক্রেনে রুশ-পন্থী প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, রাশিয়া সৈন্য পাঠিয়ে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। একই সময়ে রাশিয়ার সাহায্যে জাতিগত রুশ বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বড় একটি এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।

তখন থেকেই বিদ্রোহীদের সাথে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর থেকে থেকে লড়াই চলছে যাতে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন মনে করেন ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার কারণে ঐতিহাসিক রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডও হাতছাড়া হয়ে গেছে।

গত বছরও তার এক লেখায় পুতিন বলেছেন রুশ এবং ইউক্রেনিয়ানরা “এক এবং অভিন্ন জাতি”, কিন্তু ইউক্রেনের বর্তমান নেতৃত্ব একটি ‘রুশ-বিরোধী প্রকল্প’ চালাচ্ছে।

পূর্ব ইউক্রেন নিয়ে ২০১৫ সালে মিনস্ক চুক্তি নামে আন্তর্জাতিক যে বোঝাপড়া হয়েছিল তা মানা হচ্ছে না বলেও রাশিয়া ক্ষুব্ধ এবং হতাশ। সূত্র: বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ইউক্রেনের কাছে কী চায় রাশিয়া?

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে এই মুহূর্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনও সময় যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে বলে দাবি করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। পশ্চিমারা গোয়েন্দাদের দাবি, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, যেকোনও সময় ইউক্রেনে বিমান হামলা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করতে পারে রাশিয়া।

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কমপক্ষে ১২টি দেশ নিজেদের নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগ করতে বলেছে।

তবে যুদ্ধের সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। তা সত্ত্বেও ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া বিপুল সৈন্য সমাবেশকে যুদ্ধের ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে বারবার সতর্কতা জারি করছে পশ্চিমা দেশগুলো।

 

কিন্তু কেন হামলার আশঙ্কা, ইউক্রেনের কাছে কী চায় রাশিয়া?

ইউক্রেন যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর মত পশ্চিমা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে না পারে সেই চেষ্টা বহুদিন ধরেই করছে রাশিয়া।

রাশিয়ার নিরাপত্তা দাবিগুলোর মূলে রয়েছে ইউক্রেনকে কখনওই ন্যাটো সামরিক জোটে নেওয়া চলবে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং রাশিয়া- উভয়ের সাথেই ইউক্রেনের সীমান্ত রয়েছে, কিন্তু সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হওয়ার কারণে রাশিয়ার সাথে ইউক্রেনের ঐতিহাসিক সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ রয়েছে। রুশ ভাষা সেদেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

২০১৪ সালে যখন ইউক্রেনে রুশ-পন্থী প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, রাশিয়া সৈন্য পাঠিয়ে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। একই সময়ে রাশিয়ার সাহায্যে জাতিগত রুশ বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বড় একটি এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।

তখন থেকেই বিদ্রোহীদের সাথে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর থেকে থেকে লড়াই চলছে যাতে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন মনে করেন ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার কারণে ঐতিহাসিক রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডও হাতছাড়া হয়ে গেছে।

গত বছরও তার এক লেখায় পুতিন বলেছেন রুশ এবং ইউক্রেনিয়ানরা “এক এবং অভিন্ন জাতি”, কিন্তু ইউক্রেনের বর্তমান নেতৃত্ব একটি ‘রুশ-বিরোধী প্রকল্প’ চালাচ্ছে।

পূর্ব ইউক্রেন নিয়ে ২০১৫ সালে মিনস্ক চুক্তি নামে আন্তর্জাতিক যে বোঝাপড়া হয়েছিল তা মানা হচ্ছে না বলেও রাশিয়া ক্ষুব্ধ এবং হতাশ। সূত্র: বিবিসি