ঢাকা ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘আরতাসের’ যাত্রা শুরু অনুষ্ঠানে শিমুল: ‘স্কীল ডেভেলপড করতে না পারলে আমরা এই ট্রেড থেকে হারিয়ে যাবো’ লিবিয়া থেকে খালী হাতে ফিরেছে ১৬২ হতভাগ্য বাংলাদেশী মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজে উঠতে না পারা প্রতারিত শ্রমিকরা কত টাকা ফেরত পাচ্ছেন? জনশক্তি ব্যুরোর ২১ কর্মচারীকে বদলী ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী চার বঙ্গকন্যা আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ৮৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার আইজিপি পদে আরো এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত দেয়ার নির্দেশ ইউক্রেনে জয়ের জন্য রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ড

ঢাকা-মস্কো সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি

  • আপডেট সময় : ০৫:১৭:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
  • / 431
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা: বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে ২৫ জানুয়ারি। ১৯৭২ সালের এদিনে রাশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তারপর থেকেই দুদেশের সম্পর্কে বিশেষ গতি পেয়েছে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে অকুন্ঠচিত্তে সমর্থন দেয় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। স্বাধীনতার পরেও চট্টগ্রাম বন্দরে ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইন অপসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখে রাশিয়া।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ মেধাবী শিক্ষার্থীকে রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক ও বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ সহযোগিতা দেয় রাশিয়া।

সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হওয়ার পরেও মস্কোর সঙ্গে ঢাকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাটা পড়েনি। দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক ধীরে ধীরে বেড়েছে। আগামী দিনেও দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দুদেশেরই শীর্ষ নেতারা।

দ্বিপক্ষীয় সফর
১৯৭২ সালের ২৫ জানুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার এক মাস পরেই সে দেশ সফর করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের মার্চে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান ও শীর্ষ নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের পুনর্গঠনে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তা চান। তখন থেকেই দুদেশের সম্পর্কের শুভ সূচনা হয়। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মস্কো সফর করেন। সে সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক বাঘ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া সফর করেন শেখ হাসিনা।

সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ধীরে ধীরে সামরিক সহযোগিতা বেড়েছে। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরকালে দেশটি থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের (প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা) সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। সে সময় বিমান ও ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র-যুদ্ধ বিমান কেনে বাংলাদেশ। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করেছে বাংলাদেশ।

বিদুৎ খাতে সহযোগিতা
বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশকে বিশেষ সহযোগিতা দিয়ে আসছে রাশিয়া। দেশের বিভিন্ন সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়া কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে আসছে। তবে ২০১৩ সাল থেকে রাশিয়া বাংলাদেশের পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এখানে দুটি ইউনিটে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে বাংলাদেশে বহুলাংশে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৫০ বছর পূর্তিতে রাশিয়ার অভিনন্দন
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে রাশিয়ান ফেডারেশনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ বছর ২৫ জানুয়ারি রাশিয়ান ফেডারেশন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন হবে। আমাদের দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে। বাংলাদেশের জনগণের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামকে সমর্থন ও নতুন রাষ্ট্রের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।

সোভিয়েত সামরিক নাবিকদের কীর্তি বাংলাদেশিরা নিশ্চয় মনে রেখেছেন, যারা ১৯৭২-৭৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইন অপসারণে যুক্ত ছিলেন। আমরা উভয়েই এখন সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার নীতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার, যেখানে বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর নির্মাণসহ বড় বড় অর্থনৈতিক প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে রাশিয়া। কূটনৈতিক সম্পর্কের এ মাইলফলক বার্ষিকীতে আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন।

৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
ঢাকা-মস্কো উভয় পক্ষই কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করবে। এ লক্ষ্যে বেশ কিছু কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাশিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ও মুক্তিযুদ্ধের পরেও রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুদেশের মধ্যে বন্ধন আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন তিনি।

 

সুত্র : বাংলা নিউজ

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঢাকা-মস্কো সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

ঢাকা: বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে ২৫ জানুয়ারি। ১৯৭২ সালের এদিনে রাশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তারপর থেকেই দুদেশের সম্পর্কে বিশেষ গতি পেয়েছে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে অকুন্ঠচিত্তে সমর্থন দেয় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। স্বাধীনতার পরেও চট্টগ্রাম বন্দরে ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইন অপসারণে বিশেষ ভূমিকা রাখে রাশিয়া।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ মেধাবী শিক্ষার্থীকে রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সামরিক ও বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ সহযোগিতা দেয় রাশিয়া।

সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হওয়ার পরেও মস্কোর সঙ্গে ঢাকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাটা পড়েনি। দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক ধীরে ধীরে বেড়েছে। আগামী দিনেও দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দুদেশেরই শীর্ষ নেতারা।

দ্বিপক্ষীয় সফর
১৯৭২ সালের ২৫ জানুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার এক মাস পরেই সে দেশ সফর করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের মার্চে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান ও শীর্ষ নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের পুনর্গঠনে সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তা চান। তখন থেকেই দুদেশের সম্পর্কের শুভ সূচনা হয়। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মস্কো সফর করেন। সে সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক বাঘ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া সফর করেন শেখ হাসিনা।

সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ধীরে ধীরে সামরিক সহযোগিতা বেড়েছে। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরকালে দেশটি থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের (প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা) সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। সে সময় বিমান ও ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র-যুদ্ধ বিমান কেনে বাংলাদেশ। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করেছে বাংলাদেশ।

বিদুৎ খাতে সহযোগিতা
বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশকে বিশেষ সহযোগিতা দিয়ে আসছে রাশিয়া। দেশের বিভিন্ন সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রাশিয়া কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে আসছে। তবে ২০১৩ সাল থেকে রাশিয়া বাংলাদেশের পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এখানে দুটি ইউনিটে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে বাংলাদেশে বহুলাংশে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৫০ বছর পূর্তিতে রাশিয়ার অভিনন্দন
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে রাশিয়ান ফেডারেশনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ বছর ২৫ জানুয়ারি রাশিয়ান ফেডারেশন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন হবে। আমাদের দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে। বাংলাদেশের জনগণের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামকে সমর্থন ও নতুন রাষ্ট্রের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।

সোভিয়েত সামরিক নাবিকদের কীর্তি বাংলাদেশিরা নিশ্চয় মনে রেখেছেন, যারা ১৯৭২-৭৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইন অপসারণে যুক্ত ছিলেন। আমরা উভয়েই এখন সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার নীতিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার, যেখানে বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর নির্মাণসহ বড় বড় অর্থনৈতিক প্রকল্পে যুক্ত রয়েছে রাশিয়া। কূটনৈতিক সম্পর্কের এ মাইলফলক বার্ষিকীতে আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুদের অভিনন্দন।

৫০ বছর পূর্তি উদযাপন
ঢাকা-মস্কো উভয় পক্ষই কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করবে। এ লক্ষ্যে বেশ কিছু কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রাশিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ও মুক্তিযুদ্ধের পরেও রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুদেশের মধ্যে বন্ধন আগামী দিনে আরও বাড়বে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন তিনি।

 

সুত্র : বাংলা নিউজ