ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছয় মাসে বিদেশে গেছেন ৫ লাখ কর্মী, সর্বোচ্চ ঢাকার

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / 24
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চল‌তি বছ‌রের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) পাঁচ লাখের বেশি কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। এসব কর্মীদের ম‌ধ্যে ঢাকা জেলার এক লাখ ২১ হাজার ৫২০ জন অভিবাসী র‌য়ে‌ছেন। রোববার (৩ নভেম্বর) আমি প্রবাসী অ্যাপের পক্ষ থে‌কে এই তথ‌্য জানানো হ‌য়ে‌ছে। বলা হয়, অ্যাপের অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ‌্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অভিবাসনে গতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। যেখানে ৫ লাখেরও বেশি কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার অভিবাসী কর্মী সৌদি আরবকে তাদের পছন্দের গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সৌদি আরব বর্তমানে বেশিরভাগ অভিবাসী জনসংখ্যার প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছে। সৌদি নীতিনির্ধারকদের স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক মনোযোগ দেওয়ার কারণে সেখানে দক্ষ এবং অদক্ষ উভয় ধরনের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে সৌদি আরবকে একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্যে পরিণত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মালয়েশিয়া প্রায় ৯৩ হাজার কর্মরত অভিবাসী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কাতার তৃতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে এই সময়ে ৩৯ হাজার ৫১৭ জন অভিবাসী কর্মী কাজের জন্য গেছেন। আমি প্রবাসীর প্রতিবেদনে এসব অভিবাসী কর্মীদের কাজের ধরণ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হ‌য়ে‌ছে, প্রায় ৮০ শতাংশ অভিবাসী কর্মী ‘সাধারণ’ শ্রেণিতে পড়ে, সংখ্যায় যা এক লাখ ৫০ হাজারের মতো। সাধারণ শ্রেণিতে দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের কাজ অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নির্মাণ কাজ; যেখানে ৬৩ হাজার ৪৬৯ জন অভিবাসী কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ৩৩ হাজার ৭৪৮ জন কর্মী নিয়ে কারখানার কাজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনের প্রথমার্ধে আরও বলা হয়েছে, মোট অভিবাসী শ্রমিকের ১০.৪ শতাংশ দক্ষ, যার মধ্যে ৩.২ শতাংশ দক্ষ পেশাজীবী, যেমন-  সফটওয়্যার ডেভেলপার। বাকি ৭ শতাংশ অদক্ষ অভিবাসী। অদক্ষ থেকে দক্ষ অভিবাসনের এই পরিবর্তন বৈশ্বিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। প্রতি‌বেদ‌নে আরও বলা হ‌য়ে‌ছে, প্রতি বছর অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে, তবে এই শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ কম রয়েছে। এই ছয় মাসের সময়কালে মোট শ্রমশক্তির মাত্র ৬ শতাংশ নারী। এর মধ্যে বেশিরভাগই গৃহকর্মী, যার সংখ্যা ১৩ হাজার ১৯০। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের অভিবাসন প্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা এক লাখ ২১ হাজার ৫২০ অভিবাসী নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। ৯১ হাজার ৫৩০ জন অভিবাসী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। খুলনা ও রাজশাহী থেকে যথাক্রমে ৩৭ হাজার ২৯০ ও ৩৫ হাজার ৬৬০ অভিবাসী কর্মী এবং ময়মনসিংহ থেকে ২৬ হাজার ১০ জন কর্মী বিদেশ গিয়েছে। সিলেট থেকে অভিবাসী হয়েছে ১৭ হাজার ৩৮০ জন। রংপুর বিভাগ থেকে সবচেয়ে কম অভিবাসী : এই সময়কালে এক লাখ ৮৩ হাজার ২৭৪টি ব্যক্তিগত ভিসা ইস্যু করা হয়। গ্রুপ ভিসার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ২২৩ এবং ২৪ হাজার ৬৩৮টি, ভিসা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়। পূর্ববর্তী মাসগুলোর তুলনায় স্বয়ংক্রিয় বা ওয়ান স্টপ ভিসার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে সময় এ সংখ্যা মোট ভিসার ১ শতাংশেরও কম ছিল। প্রতি‌বেদ‌নে আরও বলা হ‌য়ে‌ছে, চল‌তি বছরের প্রথমার্ধের অভিবাসন পরিস্থিতি ইতিবাচক ছিল। ইতালিতে ২০ হাজার নতুন ভিসা অনুমোদনের খবর এসেছে, যা ইউরোপীয় বাজার খোলার পথে একটি সম্ভাবনাময় অগ্রগতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ছয় মাসে বিদেশে গেছেন ৫ লাখ কর্মী, সর্বোচ্চ ঢাকার

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

চল‌তি বছ‌রের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) পাঁচ লাখের বেশি কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। এসব কর্মীদের ম‌ধ্যে ঢাকা জেলার এক লাখ ২১ হাজার ৫২০ জন অভিবাসী র‌য়ে‌ছেন। রোববার (৩ নভেম্বর) আমি প্রবাসী অ্যাপের পক্ষ থে‌কে এই তথ‌্য জানানো হ‌য়ে‌ছে। বলা হয়, অ্যাপের অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ‌্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অভিবাসনে গতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। যেখানে ৫ লাখেরও বেশি কর্মী বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গেছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার অভিবাসী কর্মী সৌদি আরবকে তাদের পছন্দের গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন। সৌদি আরব বর্তমানে বেশিরভাগ অভিবাসী জনসংখ্যার প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছে। সৌদি নীতিনির্ধারকদের স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক মনোযোগ দেওয়ার কারণে সেখানে দক্ষ এবং অদক্ষ উভয় ধরনের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে সৌদি আরবকে একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্যে পরিণত করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মালয়েশিয়া প্রায় ৯৩ হাজার কর্মরত অভিবাসী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কাতার তৃতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে এই সময়ে ৩৯ হাজার ৫১৭ জন অভিবাসী কর্মী কাজের জন্য গেছেন। আমি প্রবাসীর প্রতিবেদনে এসব অভিবাসী কর্মীদের কাজের ধরণ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হ‌য়ে‌ছে, প্রায় ৮০ শতাংশ অভিবাসী কর্মী ‘সাধারণ’ শ্রেণিতে পড়ে, সংখ্যায় যা এক লাখ ৫০ হাজারের মতো। সাধারণ শ্রেণিতে দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের কাজ অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নির্মাণ কাজ; যেখানে ৬৩ হাজার ৪৬৯ জন অভিবাসী কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ৩৩ হাজার ৭৪৮ জন কর্মী নিয়ে কারখানার কাজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে। প্রতিবেদনের প্রথমার্ধে আরও বলা হয়েছে, মোট অভিবাসী শ্রমিকের ১০.৪ শতাংশ দক্ষ, যার মধ্যে ৩.২ শতাংশ দক্ষ পেশাজীবী, যেমন-  সফটওয়্যার ডেভেলপার। বাকি ৭ শতাংশ অদক্ষ অভিবাসী। অদক্ষ থেকে দক্ষ অভিবাসনের এই পরিবর্তন বৈশ্বিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। প্রতি‌বেদ‌নে আরও বলা হ‌য়ে‌ছে, প্রতি বছর অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে, তবে এই শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ কম রয়েছে। এই ছয় মাসের সময়কালে মোট শ্রমশক্তির মাত্র ৬ শতাংশ নারী। এর মধ্যে বেশিরভাগই গৃহকর্মী, যার সংখ্যা ১৩ হাজার ১৯০। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগের অভিবাসন প্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা এক লাখ ২১ হাজার ৫২০ অভিবাসী নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। ৯১ হাজার ৫৩০ জন অভিবাসী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। খুলনা ও রাজশাহী থেকে যথাক্রমে ৩৭ হাজার ২৯০ ও ৩৫ হাজার ৬৬০ অভিবাসী কর্মী এবং ময়মনসিংহ থেকে ২৬ হাজার ১০ জন কর্মী বিদেশ গিয়েছে। সিলেট থেকে অভিবাসী হয়েছে ১৭ হাজার ৩৮০ জন। রংপুর বিভাগ থেকে সবচেয়ে কম অভিবাসী : এই সময়কালে এক লাখ ৮৩ হাজার ২৭৪টি ব্যক্তিগত ভিসা ইস্যু করা হয়। গ্রুপ ভিসার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ২২৩ এবং ২৪ হাজার ৬৩৮টি, ভিসা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়। পূর্ববর্তী মাসগুলোর তুলনায় স্বয়ংক্রিয় বা ওয়ান স্টপ ভিসার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সে সময় এ সংখ্যা মোট ভিসার ১ শতাংশেরও কম ছিল। প্রতি‌বেদ‌নে আরও বলা হ‌য়ে‌ছে, চল‌তি বছরের প্রথমার্ধের অভিবাসন পরিস্থিতি ইতিবাচক ছিল। ইতালিতে ২০ হাজার নতুন ভিসা অনুমোদনের খবর এসেছে, যা ইউরোপীয় বাজার খোলার পথে একটি সম্ভাবনাময় অগ্রগতি।