মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশি আটকা
- আপডেট সময় : ০৬:০৫:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
- / 23
বাথরুমের জানালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু প্রদেশে এক বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তাদের অভিযানের সময় ওই বাংলাদেশি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শনিবার মালয়েশিয়ার ইংরেজি দৈনিক নিউ স্ট্রেইট টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গতরাতে কাম্পুং নিসান এমপাটের একটি ফ্ল্যাটে বাথরুমের জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন এক বাংলাদেশি। কিন্তু তার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। বাথরুমের জানালায় আটকে যান তিনি। পরে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করেছে। নিউ স্ট্রেইট টাইমস বলছে, জানালায় আটকে যাওয়া ওই বাংলাদেশিকে উদ্ধারের জন্য তেরেঙ্গানু ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা মই ব্যবহার করেন। ওই ফ্লাটে ৩৫ জন বিদেশি বসবাস করেন। জানালায় আটকে যাওয়া ৪০ বছর বয়সী বাংলাদেশিও সেখানে বসবাস করছিলেন। এই বিদেশিদের প্রত্যেকেই মালয়েশিয়ার মারাং এবং কুয়ালা নিরাসের নির্মাণ স্থাপনায় কাজ করেন। তেরেঙ্গানু ইমিগ্রেশন বিভাগের উপ-পরিচালক মাত আমিন হাসান বলেন, রাত ৯টার দিকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের সহায়তায় ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ভবন থেকে যাতে কেউ পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য কর্তৃপক্ষ সব পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হারিয়ান মেট্রোকে মাত আমিন হাসান বলেন, ‘‘বিদেশিরা ভবনের জরুরি সিঁড়ি ও লিফট ব্যবহার করে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সব প্রস্থান পথ বন্ধ থাকায় তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’’ দেশটির অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তারা গতকাল দুই কিশোর-সহ মোট ২১৮ জন বিদেশি নাগরিকের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখেছেন। এ সময় ভ্রমণের বৈধ কাগজপত্র না থাকা-সহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ৩৫ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বয়স ১৫ থেকে ৫৩ বছর। পরে আটককৃতদের আজিল ইমিগ্রেশন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকায় মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইনের ৬(১) ধারায় ও অতিরিক্ত সময় ধরে দেশটির অবস্থানের অভিযোগে ১৫ (১) (সি) ধারায় মামলা করা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তদন্তে সহায়তা করার জন্য স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নথিবিহীন অভিবাসীদের নিয়োগ ও আশ্রয় দেওয়ার ঘটনায় কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও অভিবাসন বিভাগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।