সৌদি-কাতারে শ্রমিক যাওয়া বেড়েছে বিএমইটিতে অনিয়ম বন্ধ হয়নি
- আপডেট সময় : ০১:৫৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
- / 25
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক :
বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি আগষ্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে কিছুটা বেড়েছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার সৌদি আরবে কর্মী গিয়েছে আগষ্ট মাসের তুলনায় দ্বিগুণ।
অভিবাসন ব্যবসার সাথে জড়িত রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা কর্মী যাওয়ার হার বাড়াকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
তবে আসন্ন বায়রা নির্বাচনকে সামনে রেখে সদস্যদের মধ্য যে বিভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে সামগ্রিকভাবে ব্যবসার পরিবেশ খারাপের দিকেই যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৈধভাবে বহির্গমণ ছাড়পত্র নিয়ে সৌদি আরব, কাতার, জর্দান, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, ইতালি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, কিরগিস্তানসহ মোট ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫৮ জন কর্মী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরবে গিয়েছে ৪৪ হাজার ২৪৯ জন। অথচ এক মাস আগেই দেশটিতে কর্মী গিয়েছিল ২৮ হাজার ২৫১ জন। একমাসের ব্যবধানে ১৫ হাজার ৯৯৮ জন কর্মী বেশি গিয়েছে দেশটিতে।
একইভাবে কাতারে সেপ্টেম্বর মাসে কর্মী যায় ৬ হাজার ৩৯৫ জন। যা আগষ্টে গিয়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪ জন। এখানেও প্রায় ১২শ কর্মী বেশি গিয়েছে। সৌদি আরব এবং কাতারের নন এটাসটেট ভিসায় বহির্গমণ ছাড়পত্র দেয়ার কারণে এই দেশ দুটিতে কর্মী যাওয়ার হার কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করছেন অভিবাসন বিশ্লেষকরা।
গতকাল আল রাবেতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোঃ আবুল বাশার বলেন, আমরা ব্যবসায়ী। আমরা বিদেশে বেশি বেশী কর্মী যাক দেশে রেমিট্যান্স বেশি বেশি আসুক সেটাই চাই। কিন্তু সামনে বায়রা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের নিজেদের মধ্য দলাদলি চলছে। যদিও আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপিং নাই। আমরা সবাই একই পরিবার। দু একজন খারাপ থাকবেই।
ইদানীং লাইসেন্স মালিকদের এ,বি, সি, ডি, গ্রুপে ফেলার চেষ্টা চলছে। আমরা মালিকদের মধ্য লাইসেন্স শ্রেনিবিন্যাস চাই না। আমরা সবাই সমান, সমান থাকতে চাই। সরকারকে বিষয়টি বিবেচনার জম্য অনুরোধ থাকলো।
শুধু আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে কোনো কোনো দেশে কর্মী যাওয়ার হার বাড়লেও কয়েকটি দেশে একই সময়ে আবার কর্মী কমও গেছে।
সংযুক্ত আরর আমিরাতে আগস্ট মাসে ৫ হাজার ৯৯৯ জন কর্মী গেলেও সেপ্টেম্বর মাসে সেটি অনেক কমেছে। এই মাসে গেছে মাত্র ৬৭৬ জন। অর্থাৎ ৫ হাজারের মতো শ্রমিক কম গেছে। একইভাবে কুয়েত, লেবানন, সাউথ কোরিয়া ও ইতালিসহ অনন্যা দেশেও সেপ্টেম্বর মাসে কর্মী যাওয়া কমেছে।
গতকাল সোনার বাংলা কৃষি খামারের মালিক মোহাম্মদ কেফায়েত উল্লাহ বলেন, অন্তবর্তিকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের ভাবমুর্তি ও সঠিক দিক নির্দেশনার কারণে ঝিমিয়ে পড়া শ্রমবাজার আবার কিন্তু চাংগা হচ্ছে। তবে লিবিয়া, ইরাকসহ ইউরোপের দেশগুলোতে কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়ালে শ্রমবাজারের সুদিন আবার ফিরে আসবে বলে আমি আশাবাদী।
এদিকে কাকরাইলের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর বহির্গমণ শাখাকে আরো গতিশীল করতে কতিপয় পুরনো কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সরিয়ে নতুনদের সেখানে সুযোগ দেয়ার দাবি উঠেছে খোদ বিএমইটি থেকেই।
অভিযোগ রয়েছে এখনো বহির্গমণ শাখা থেকে বিদেশগামীদের ছাড়পত্র দেয়া নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের অনিয়ম চলছে আগের মতোই। একইসাথে টেন্ডার ছাড়া শুরু হওয়া আমি প্রবাসী এ্যাবস নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। এসব বিষয়কে কঠোরভাবে মনিটরিং করার জন্য প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংশ্লিষ্টরা।
সুত্র নয়া দিগন্ত