ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘আরতাসের’ যাত্রা শুরু অনুষ্ঠানে শিমুল: ‘স্কীল ডেভেলপড করতে না পারলে আমরা এই ট্রেড থেকে হারিয়ে যাবো’ লিবিয়া থেকে খালী হাতে ফিরেছে ১৬২ হতভাগ্য বাংলাদেশী মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজে উঠতে না পারা প্রতারিত শ্রমিকরা কত টাকা ফেরত পাচ্ছেন? জনশক্তি ব্যুরোর ২১ কর্মচারীকে বদলী ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী চার বঙ্গকন্যা আটলান্টিক মহাসাগর থেকে ৮৯ অভিবাসীর লাশ উদ্ধার আইজিপি পদে আরো এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত দেয়ার নির্দেশ ইউক্রেনে জয়ের জন্য রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ড

লিবিয়া থেকে খালী হাতে ফিরেছে ১৬২ হতভাগ্য বাংলাদেশী

  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • / 53
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক :

দূতাবাসের ধারাবাহিক ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৬২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় ২৭ জুন ২০২৪ তারিখে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

আইওএম কর্তৃক ভাড়াকৃত লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইট (UZ222) আগামী ২৮ জুন ২০২৪ তারিখে আনুমানিক সকাল ০৫:০০ ঘটিকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকায় অবতরণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

দূতাবাস লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আটক বাংলাদেশিদের নিবন্ধন এবং তাদের অনুকূলে আউটপাস ইস্যু করে বর্ণিত অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন করতে সক্ষম হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, অনেক সময় বাংলাদেশি নাগরিকরা পাচারকারীদের প্ররোচনা-প্রতারণায় পড়ে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় অবৈধভাবে আগমন করে থাকে। পরবর্তীকালে এসকল বাংলাদেশিকে বিভিন্ন দালালের কাছে বিক্রি, শারীরিক নির্যাতন, ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি শিকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট আটক এবং লিবিয়ায় বন্দিদশার সম্মুখীন হতে হয়। ভুক্তভোগী অভিবাসীদেরকে শেষ পর্যন্ত বিপুল আর্থিক ক্ষতি, চরম দুর্ভোগ, হতাশা ও মানসিক যন্ত্রণার সম্মুখীন হয়ে খালি হাতে দেশে ফিরে যেতে হয়।

বর্ণিত অবস্থায় দালাল এবং মানবপাচারকারীর প্ররোচনায় পড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ অভিবাসনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একইসাথে অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি, নেতিবাচক প্রভাব এবং এর ভয়াবহতা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানোর জন্য আহবান জানানো যাচ্ছে। এছাড়াও ভুক্তভোগী অভিবাসীদেরকে দালাল ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

লিবিয়া থেকে খালী হাতে ফিরেছে ১৬২ হতভাগ্য বাংলাদেশী

আপডেট সময় : ০৬:০৮:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক :

দূতাবাসের ধারাবাহিক ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৬২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর সহযোগিতায় ২৭ জুন ২০২৪ তারিখে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

আইওএম কর্তৃক ভাড়াকৃত লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইট (UZ222) আগামী ২৮ জুন ২০২৪ তারিখে আনুমানিক সকাল ০৫:০০ ঘটিকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকায় অবতরণ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

দূতাবাস লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে আটক বাংলাদেশিদের নিবন্ধন এবং তাদের অনুকূলে আউটপাস ইস্যু করে বর্ণিত অভিবাসীদের প্রত্যাবাসন করতে সক্ষম হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, অনেক সময় বাংলাদেশি নাগরিকরা পাচারকারীদের প্ররোচনা-প্রতারণায় পড়ে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় অবৈধভাবে আগমন করে থাকে। পরবর্তীকালে এসকল বাংলাদেশিকে বিভিন্ন দালালের কাছে বিক্রি, শারীরিক নির্যাতন, ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি শিকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট আটক এবং লিবিয়ায় বন্দিদশার সম্মুখীন হতে হয়। ভুক্তভোগী অভিবাসীদেরকে শেষ পর্যন্ত বিপুল আর্থিক ক্ষতি, চরম দুর্ভোগ, হতাশা ও মানসিক যন্ত্রণার সম্মুখীন হয়ে খালি হাতে দেশে ফিরে যেতে হয়।

বর্ণিত অবস্থায় দালাল এবং মানবপাচারকারীর প্ররোচনায় পড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ অভিবাসনের চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সকলকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একইসাথে অবৈধ অভিবাসনের ঝুঁকি, নেতিবাচক প্রভাব এবং এর ভয়াবহতা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানোর জন্য আহবান জানানো যাচ্ছে। এছাড়াও ভুক্তভোগী অভিবাসীদেরকে দালাল ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা যাচ্ছে।