হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরের জানাজায় এলেন প্রবাসী জামাই

  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২
  • / 392
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাগেরহাটের শরণখোলায় শ্বশুর হাফেজ মো. রুহুল আমিনের জানাজায় অংশ নিতে হেলিকপ্টারে ছুটে এসেছেন সৌদিপ্রবাসী জামাই মো. জামাল নুর। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বাদ জুমা ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে পৌঁছান তিনি। পরে এ মাঠেই শ্বশুরের জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে তার শ্বশুরকে কে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে সকাল ৯টায় সৌদি আরব থেকে ঢাকার হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান জামাল নুর। এরপর হেলিকপ্টারে বাগেরহাটের উপজেলার রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে পৌঁছান।

হাফেজ রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে রায়েন্দা বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে স্থানীয়দের মাঝে সমাদৃত ছিলেন তিনি। তার জামাই জামাল নুর ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। সেখানে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসছেন।

জামাল নুর বলেন, একজন মৃত মানুষের দাফন হয়ে যাওয়ার পরে তাকে আর দেখার সুযোগ থাকে না। আমার শ্বশুর আমার বাবার মতো। তাকে একনজর দেখার জন্য আমি ছুটে এসেছি। এমনিতেই আমার দুই দিন দেরি হয়েছে। সড়ক বা নদীপথে যদি আমি আসার চেষ্টা করতাম, তাহলে আরও বেশি দেরি হতো। এ কারণে হেলিকপ্টারযোগে এসেছি। আমি আমার শ্বশুরের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছি এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি মহান আল্লাহর কাছে মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরের জানাজায় এলেন প্রবাসী জামাই

আপডেট সময় : ১১:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২

বাগেরহাটের শরণখোলায় শ্বশুর হাফেজ মো. রুহুল আমিনের জানাজায় অংশ নিতে হেলিকপ্টারে ছুটে এসেছেন সৌদিপ্রবাসী জামাই মো. জামাল নুর। শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বাদ জুমা ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে পৌঁছান তিনি। পরে এ মাঠেই শ্বশুরের জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে তার শ্বশুরকে কে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে সকাল ৯টায় সৌদি আরব থেকে ঢাকার হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান জামাল নুর। এরপর হেলিকপ্টারে বাগেরহাটের উপজেলার রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল মাঠে পৌঁছান।

হাফেজ রুহুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে রায়েন্দা বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে স্থানীয়দের মাঝে সমাদৃত ছিলেন তিনি। তার জামাই জামাল নুর ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। সেখানে তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসছেন।

জামাল নুর বলেন, একজন মৃত মানুষের দাফন হয়ে যাওয়ার পরে তাকে আর দেখার সুযোগ থাকে না। আমার শ্বশুর আমার বাবার মতো। তাকে একনজর দেখার জন্য আমি ছুটে এসেছি। এমনিতেই আমার দুই দিন দেরি হয়েছে। সড়ক বা নদীপথে যদি আমি আসার চেষ্টা করতাম, তাহলে আরও বেশি দেরি হতো। এ কারণে হেলিকপ্টারযোগে এসেছি। আমি আমার শ্বশুরের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছি এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি মহান আল্লাহর কাছে মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।