ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
- আপডেট সময় : ১০:৫৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
- / 179
বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা আগাম ভিসা ছাড়া ৪২টি দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। গত বছর বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা আগাম ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারতেন ৪০টি দেশে। ভিসা ছাড়া বাংলাদেশিদের ভ্রমণের এই তালিকায় আছে এশিয়ার ৬টি, দক্ষিণ আমেরিকার ১টি, আফ্রিকার ১৬টি, ক্যারিবীয় ১১টি ও ওশেনিয়ার ৮টি দেশ ও অঞ্চল। এর মধ্যে কিছু দেশ ও অঞ্চলে অন অ্যারাইভাল বা বিমানবন্দরে নামার পর ভিসার সুবিধা পান বাংলাদেশিরা। তবে শ্রীলঙ্কা ও কেনিয়ার ক্ষেত্রে নিতে হয় ই-ভিসা। আসুন জেনে নেই, ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা। দেশগুলো হচ্ছে, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর, বলিভিয়া, বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গিনি-বিসাউ, লেসোথো, মোজাম্বিক, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, রুয়ান্ডা, সেশেলস, সিয়েরা লিওন, গাম্বিয়া, সোমালিয়া, টোগো, বাহামা, কেনিয়া, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, ডমিনিকা, হাইতি, গ্রানাডা, জ্যামাইকা, মন্টসেরাত, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাউন, কুক আইল্যান্ড, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, ফিজি, মাইক্রোনেশিয়া, নুউয়ে, সামোয়া, টুভালু, কিরিবাতি এবং ভানুয়াতু। এদিকে শক্তিশালী পাসপোর্টের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৯৭তম। গত বছরের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯৮তম। অর্থাৎ বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে চলতি বছর একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশিত সূচকে এসব তথ্য জানা গেছে। হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের ওয়েবসাইটে সূচকটি প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে গত বছরের ত্রৈমাসিক সংস্করণে বাংলাদেশের পাসপোর্ট এই তালিকার ৯৬তম স্থানে ছিল। এর আগে একই বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। গত বছরের শেষ সংস্করণের তুলনায় চলতি বছরে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থানের এক ধাপ অবনতি ঘটেছে। কোন দেশের পাসপোর্ট দিয়ে কত দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (আইএটিএ) তথ্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী পাসপোর্টের এই সূচক তৈরি করে দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। বিশ্বের ১৯৯ দেশের সূচকে কিছু কিছু দেশ যৌথ অবস্থান পাওয়ায় এ বছর হেনলি মোট ১০৪টি অবস্থান নির্ধারণ করেছে। গত ১৯ বছর ধরে বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে প্রত্যেক বছর প্রতিষ্ঠানটি র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতি তিন মাস অন্তর এই সূচক প্রকাশ করা হয়। ২০২৪ সালের সূচকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার সাথে যৌথভাবে ৯৭তম অবস্থানে রয়েছে। চলতি বছরের সংস্করণ অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ২২৭টি গন্তব্যের মধ্যে বর্তমানে ৪২টিতে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করা যায়। হ্যানলির এই সূচকে চলতি বছর নজিরবিহীন এক অবস্থান দেখা গেছে। এ বছর বিশ্বের মোট ছয়টি দেশ সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে যৌথভাবে শীর্ষ অবস্থান দখল করেছে। আর এই ছয় দেশ হলো ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সিঙ্গাপুর এবং স্পেন। এসব দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় বিশ্বের ১৯৪টি গন্তব্যে ভ্রমণ করতে পারেন। ১৯ বছর আগে হ্যানলি বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ শুরু করার পর থেকে এবারই প্রথম সর্বাধিক ছয়টি দেশ যৌথভাবে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। শীর্ষস্থানে থাকা ৬টি দেশ ছাড়াও, হেনলি পাসপোর্ট সূচকে দ্বিতীয় স্থানে যৌথভাবে ফিনল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সুইডেন। এই তিন দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৯৩টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন। এ ছাড়া তৃতীয় স্থানে যৌথভাবে থাকা অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের নাগরিকরা ১৯২টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করতে পারেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে যৌথভাবে বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নরওয়ে, পর্তুগাল এবং যুক্তরাজ্য। এসব দেশের নাগরিকরা বিশ্বের ১৯১টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন। আর যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে থাকা গ্রিস, মাল্টা এবং সুইজারল্যান্ডের পাসপোর্টধারীরা ১৯০টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়া বা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় যেতে পারেন। হ্যানলির এই পাসপোর্ট সূচকে একেবারে তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান (১০৪তম)। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটির পাসপোর্টধারীরা মাত্র ২৮টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন।