মারা গেছেন কুয়েতের আমির

  • আপডেট সময় : ০৫:০৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 147
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বলছে, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ আর আমাদের মধ্যে নেই। তার মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি … ।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতের তৎকালীন আমির ও তার সৎ ভাই শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর দেশটির আমির হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শেখ নওয়াফ।

ক্ষমতায় আসার কয়েক দশক আগে থেকেই কুয়েতের সরকারি বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের অফিসে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৬ সালে কুয়েতের আমিরের পরবর্তী উত্তরাধিকারী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। ১৯৯০ সালে তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে ইরাকি সৈন্যদের হামলার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

এছাড়া কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্রগোষ্ঠীর কাছ থেকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।

কুয়েতের আল-সাবাহ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে শেখ নওয়াফের। সদা বিনয়ী আর সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য তার বেশ সুনামও ছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মারা গেছেন কুয়েতের আমির

আপডেট সময় : ০৫:০৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩

উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বলছে, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-সাবাহ আর আমাদের মধ্যে নেই। তার মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি … ।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কুয়েতের তৎকালীন আমির ও তার সৎ ভাই শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহর মৃত্যুর পর দেশটির আমির হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শেখ নওয়াফ।

ক্ষমতায় আসার কয়েক দশক আগে থেকেই কুয়েতের সরকারি বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের অফিসে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৬ সালে কুয়েতের আমিরের পরবর্তী উত্তরাধিকারী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। ১৯৯০ সালে তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে ইরাকি সৈন্যদের হামলার সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

এছাড়া কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর দেশটির বিভিন্ন সশস্ত্রগোষ্ঠীর কাছ থেকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।

কুয়েতের আল-সাবাহ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে শেখ নওয়াফের। সদা বিনয়ী আর সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য তার বেশ সুনামও ছিল।