ঢাকা ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদিতে বিপাকে বাংলাদেশি কাপড় ব্যবসায়ীরা

  • আপডেট সময় : ১০:১৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
  • / 164
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সৌদি আরবে করোনা পরবর্তী মন্দা ভাব কাটছে না কাপড় ব্যবসায়। ফলে বিপাকে পড়েছেন দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি থান কাপড় ও টেইলারিং পেশায় জড়িত ব্যবসায়ীরা। এক সময়ে রেমিট্যান্সে কোটি টাকা অবদান রাখলেও অর্থনৈতিক মন্দায় এখন দেশ থেকে টাকা এনে কোনোরকম ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন তারা।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের পাশাপাশি, জেদ্দা, মক্কা, মদিনাসহ দেশটির বিভিন্ন প্রাদেশিক শহরে রয়েছে বাংলাদেশি অসংখ্য থান কাপড়ের দোকান। উন্নতমানের কাপড়ের পাশাপাশি এসব দোকানে টেইলারিংয়ের কাজ করেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, রিয়াদে থান কাপড়সহ টেইলারিং দোকানে কর্মরত রয়েছেন কয়েকশ বাংলাদেশি। আগে এসব দোকানে বেচাকেনা ভালো হলেও বর্তমানে কমেছে ক্রেতার সংখ্যা। ভাটা পড়েছে বেচা-কেনায়ও। রেমিট্যান্স পাঠানোর বদলে উল্টো দেশ থেকে টাকা এনে কোনরকম টিকিয়ে রেখেছেন ব্যবসা।

ব্যবসায়ীরা আরও জানান, একেকটি দোকানে আগে যেখানে ৪-৫ জন লোক কাজ করতেন, বর্তমানে কর্মী সংখ্যা নেমে এসেছে ২ জনে। কাজের পরিধি কমায়, বাধ্য হয়েই পেশা পরিবর্তন করেছেন অনেকে। অর্থনৈতিক মন্দার আঁচ লেগেছে রোজগারেও।

সৌদি আরবে বাংলাদেশি এসব দোকানে দেশিও কাপড় ছাড়াও পাওয়া যায় ভারত,পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, চীন, জাপান ও ইতালির উন্নতমানের কাপড়। বাংলাদেশের পাশাপাশি এসব দোকানে কেনাকেটা করেন ভারত,পাকিস্তান, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকরাও।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সৌদিতে বিপাকে বাংলাদেশি কাপড় ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ১০:১৭:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

সৌদি আরবে করোনা পরবর্তী মন্দা ভাব কাটছে না কাপড় ব্যবসায়। ফলে বিপাকে পড়েছেন দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি থান কাপড় ও টেইলারিং পেশায় জড়িত ব্যবসায়ীরা। এক সময়ে রেমিট্যান্সে কোটি টাকা অবদান রাখলেও অর্থনৈতিক মন্দায় এখন দেশ থেকে টাকা এনে কোনোরকম ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছেন তারা।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের পাশাপাশি, জেদ্দা, মক্কা, মদিনাসহ দেশটির বিভিন্ন প্রাদেশিক শহরে রয়েছে বাংলাদেশি অসংখ্য থান কাপড়ের দোকান। উন্নতমানের কাপড়ের পাশাপাশি এসব দোকানে টেইলারিংয়ের কাজ করেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

দেশটিতে কর্মরত প্রবাসী কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, রিয়াদে থান কাপড়সহ টেইলারিং দোকানে কর্মরত রয়েছেন কয়েকশ বাংলাদেশি। আগে এসব দোকানে বেচাকেনা ভালো হলেও বর্তমানে কমেছে ক্রেতার সংখ্যা। ভাটা পড়েছে বেচা-কেনায়ও। রেমিট্যান্স পাঠানোর বদলে উল্টো দেশ থেকে টাকা এনে কোনরকম টিকিয়ে রেখেছেন ব্যবসা।

ব্যবসায়ীরা আরও জানান, একেকটি দোকানে আগে যেখানে ৪-৫ জন লোক কাজ করতেন, বর্তমানে কর্মী সংখ্যা নেমে এসেছে ২ জনে। কাজের পরিধি কমায়, বাধ্য হয়েই পেশা পরিবর্তন করেছেন অনেকে। অর্থনৈতিক মন্দার আঁচ লেগেছে রোজগারেও।

সৌদি আরবে বাংলাদেশি এসব দোকানে দেশিও কাপড় ছাড়াও পাওয়া যায় ভারত,পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, চীন, জাপান ও ইতালির উন্নতমানের কাপড়। বাংলাদেশের পাশাপাশি এসব দোকানে কেনাকেটা করেন ভারত,পাকিস্তান, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকরাও।