‘আমার প্রবাসী’ অ্যাপেই মিলবে বিদেশের কাংথিত চাকরি

  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 225
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক :

বৈদেশিক কর্মসংস্থানে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের চাকরির সবধরনের তথ্যই এখন থেকে পাওয়া যাবে মোবাইল অ্যাপসে। আগ্রহীরা সহজে পছন্দ ও যোগ্যতা অনুযায়ী বাছাই করতে পারবে চাকরি। অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি করা যাবে আবেদন। আর এমন সুবর্ণ সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে ‘আমার প্রবাসী’ নামের অ্যাপ। অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের অ্যাপের ব্যবহার বাড়ানো গেলে বিদেশে কর্মসংস্থানে প্রয়োজন হবে না দালালের। কমবে অভিবাসন ব্যয় ও ভোগান্তি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, জনশক্তি রপ্তানি প্রক্রিয়ায় দালাল-নির্ভরতা কমানোর জন্য নানান চেষ্টা করার পরও বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। অ্যাপ ও অনলাইনভিত্তিক আবেদন ও প্রক্রিয়ার সুযোগ পাল্টে দিতে পারে পুরো শ্রমবাজার-সংশ্লিষ্ট চিত্র। ‘আমার প্রবাসী’ অ্যাপ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিদেশে যাওয়ার সব তথ্য ও সুবিধা এক ছাদের নিচে নিয়ে আসাই এই অ্যাপের মূললক্ষ্য। এর মাধ্যমে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মী, দেশের আড়াই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ও বিদেশি নিয়োগদাতারা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ সেবা পাবেন এই অ্যাপসের মাধ্যমে। শুধু মোবাইল অ্যাপস নয়, আমার প্রবাসী ডটকম ওয়েবসাইট থেকেও পাওয়া যাবে বিদেশগামীদের সবধরনের তথ্য।
অনলাইন ‘আমার প্রবাসী’ অ্যাপ ও ওয়েসাইট ঘেটে দেখা যায়, ইতোমধ্যেই ১৪টি দেশের ৩৪ ধরনের ২৮১টি চাকরির বিজ্ঞাপন দেয়া আছে। বিজ্ঞাপন রয়েছে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক, কোরিয়া, হাঙ্গেরির মতো দেশগুলোর। শুধু জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অনুমোদিত চাকরির বিজ্ঞাপনগুলোই এই অ্যাপে রয়েছে। প্রতিটি চাকরির ক্ষেত্রে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে কেউ এসব আবেদন সম্পন্ন করলে তা সরাসরি চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে। পরে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি আবেদনকারীর সাথে সরাসরি যোগযোগ করে পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারবে। অ্যাপে চাকরির আবেদনের পাশাপাশি রয়েছে ভিসা চেক করারও সুবিধা। ফলে কমে যাবে নকল/জাল ভিসার মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার মতো ঝামেলাও। এ ছাড়া পাসপোর্ট ও ট্রেনিং সেন্টারের তথ্য, নিকটবর্তী দূতাতাসের ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা পাওয়া যাচ্ছে এই অ্যাপসটিতে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি যখন যে ধরনের চাকরির অনুমোদন দেবে সেটাই পাওয়া যাবে এ অ্যাপে। পাশাপাশি অন্যান্য তথ্যও আপডেট হবে প্রতিনিয়ত। উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানির বাজার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা করা একজন বিশ্লেষক জানান, মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে এ ধরনের ওয়ানস্টপ সেবা জনপ্রিয় করা গেলে প্রয়োজন হবে না দালালের। এতে অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে অনেকাংশে। সবচেয়ে বড় যে সুবিধা পাওয়া যাবে তা হলো- সরকারি মনিটরিংয়ের সুযোগ তৈরি হবে। শ্রমবাজারের অনিয়ম দূর করা সম্ভব হবে সহজে বলে তিনি মনে করেন।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘আমার প্রবাসী’ অ্যাপেই মিলবে বিদেশের কাংথিত চাকরি

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক :

বৈদেশিক কর্মসংস্থানে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের চাকরির সবধরনের তথ্যই এখন থেকে পাওয়া যাবে মোবাইল অ্যাপসে। আগ্রহীরা সহজে পছন্দ ও যোগ্যতা অনুযায়ী বাছাই করতে পারবে চাকরি। অ্যাপসের মাধ্যমে সরাসরি করা যাবে আবেদন। আর এমন সুবর্ণ সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে ‘আমার প্রবাসী’ নামের অ্যাপ। অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের অ্যাপের ব্যবহার বাড়ানো গেলে বিদেশে কর্মসংস্থানে প্রয়োজন হবে না দালালের। কমবে অভিবাসন ব্যয় ও ভোগান্তি।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, জনশক্তি রপ্তানি প্রক্রিয়ায় দালাল-নির্ভরতা কমানোর জন্য নানান চেষ্টা করার পরও বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। অ্যাপ ও অনলাইনভিত্তিক আবেদন ও প্রক্রিয়ার সুযোগ পাল্টে দিতে পারে পুরো শ্রমবাজার-সংশ্লিষ্ট চিত্র। ‘আমার প্রবাসী’ অ্যাপ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিদেশে যাওয়ার সব তথ্য ও সুবিধা এক ছাদের নিচে নিয়ে আসাই এই অ্যাপের মূললক্ষ্য। এর মাধ্যমে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মী, দেশের আড়াই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ও বিদেশি নিয়োগদাতারা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ সেবা পাবেন এই অ্যাপসের মাধ্যমে। শুধু মোবাইল অ্যাপস নয়, আমার প্রবাসী ডটকম ওয়েবসাইট থেকেও পাওয়া যাবে বিদেশগামীদের সবধরনের তথ্য।
অনলাইন ‘আমার প্রবাসী’ অ্যাপ ও ওয়েসাইট ঘেটে দেখা যায়, ইতোমধ্যেই ১৪টি দেশের ৩৪ ধরনের ২৮১টি চাকরির বিজ্ঞাপন দেয়া আছে। বিজ্ঞাপন রয়েছে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক, কোরিয়া, হাঙ্গেরির মতো দেশগুলোর। শুধু জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অনুমোদিত চাকরির বিজ্ঞাপনগুলোই এই অ্যাপে রয়েছে। প্রতিটি চাকরির ক্ষেত্রে আবেদনের সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে কেউ এসব আবেদন সম্পন্ন করলে তা সরাসরি চলে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে। পরে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি আবেদনকারীর সাথে সরাসরি যোগযোগ করে পরবর্তী কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারবে। অ্যাপে চাকরির আবেদনের পাশাপাশি রয়েছে ভিসা চেক করারও সুবিধা। ফলে কমে যাবে নকল/জাল ভিসার মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার মতো ঝামেলাও। এ ছাড়া পাসপোর্ট ও ট্রেনিং সেন্টারের তথ্য, নিকটবর্তী দূতাতাসের ঠিকানাসহ প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা পাওয়া যাচ্ছে এই অ্যাপসটিতে। সংশ্লিষ্টরা জানান, মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি যখন যে ধরনের চাকরির অনুমোদন দেবে সেটাই পাওয়া যাবে এ অ্যাপে। পাশাপাশি অন্যান্য তথ্যও আপডেট হবে প্রতিনিয়ত। উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানির বাজার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা করা একজন বিশ্লেষক জানান, মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে এ ধরনের ওয়ানস্টপ সেবা জনপ্রিয় করা গেলে প্রয়োজন হবে না দালালের। এতে অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে অনেকাংশে। সবচেয়ে বড় যে সুবিধা পাওয়া যাবে তা হলো- সরকারি মনিটরিংয়ের সুযোগ তৈরি হবে। শ্রমবাজারের অনিয়ম দূর করা সম্ভব হবে সহজে বলে তিনি মনে করেন।