ঢাকা ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে পর্যটন কার্যালয় চালু করছে সৌদি আরব

  • আপডেট সময় : ০৮:২৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / 263
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৩০ লাখের বেশি পর্যটক সৌদি আরব ভ্রমণ করবে বলে মনে করছে দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ (এসটিএ)। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে কার্যালয় চালু করা হবে।

 

আরব নিউজের খবর, গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এসটিএ’র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট আলহাসান আল-দাব্বাগ এ তথ্য জানিয়েছেন।

খবরে আরও বলা হয়েছে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করেন। তার সফর সঙ্গী ছিলেন আলহাসান আল-দাব্বাগ।

সফরকালে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশিকে আকৃষ্ট করার আশা প্রকাশ করে আল-দাব্বাগ। পর্যটনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার হয়ে উঠবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ সফরে তিনি সৌদি আরবের মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ বাংলাদেশি ওমরাহযাত্রীদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘নুসুক’ চালু করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে জন্যও বাংলাদেশের সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি করে সৌদি আরব।

এসটিএ ধারণা করছে, হজ ও ওমরাহ প্রত্যাশীদের যাত্রা সহজ করার জন্য নুসুক চালু করা হলেও সৌদি আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক বিভিন্ন স্থান তারা ঘুরে দেখতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে আল-দাব্বাগ বলেন, চলতি বছর আমরা ৩ লাখের বেশি বাংলাদেশিকে সৌদি আরবে স্বাগত জানিয়েছি। তাদের বেশিরভাগই ওমরাহ করতে এসেছেন। তবে এমন লোকজনও আছেন যারা তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। আবার কিছু মানুষ এসেছেন ব্যবসার জন্য।

তাই আমরা এখানে অনেক কিছু করছি। প্রথমত, আমরা একটি প্রতিনিধি অফিস স্থাপন করছি। আমরা এখন আমাদের বাণিজ্য অংশীদার, ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।

এ বছরের শুরুতে ভারতেও একটি ব্যাপক প্রচারমূলক প্রচারণা চালায় সৌদির পর্যটন কর্তৃপক্ষ। যার লক্ষ্য ছিল ২০২৩ সালের মধ্যে সৌদি আরবে ১ কোটি ২০ লাখ ভারতীয় ভ্রমণকারীকে পর্যটনে আকৃষ্ট করা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সফরে এসে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহর চালু করা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নুসুক হলো একটি ই-ভিসা ও বুকিং প্ল্যাটফর্ম। এটি হজ ও ওমরাহযাত্রীদের মক্কা, মদিনা এবং অন্যান্য শহরে ভ্রমণের যাত্রাপথ নির্দিষ্ট ও ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে সহায়তা করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে পর্যটন কার্যালয় চালু করছে সৌদি আরব

আপডেট সময় : ০৮:২৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৩০ লাখের বেশি পর্যটক সৌদি আরব ভ্রমণ করবে বলে মনে করছে দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ (এসটিএ)। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে কার্যালয় চালু করা হবে।

 

আরব নিউজের খবর, গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) এসটিএ’র এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট আলহাসান আল-দাব্বাগ এ তথ্য জানিয়েছেন।

খবরে আরও বলা হয়েছে, সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ গত সপ্তাহে বাংলাদেশ সফর করেন। তার সফর সঙ্গী ছিলেন আলহাসান আল-দাব্বাগ।

সফরকালে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ লাখের বেশি বাংলাদেশিকে আকৃষ্ট করার আশা প্রকাশ করে আল-দাব্বাগ। পর্যটনের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজার হয়ে উঠবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ সফরে তিনি সৌদি আরবের মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ বাংলাদেশি ওমরাহযাত্রীদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘নুসুক’ চালু করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে জন্যও বাংলাদেশের সঙ্গে কয়েকটি চুক্তি করে সৌদি আরব।

এসটিএ ধারণা করছে, হজ ও ওমরাহ প্রত্যাশীদের যাত্রা সহজ করার জন্য নুসুক চালু করা হলেও সৌদি আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক বিভিন্ন স্থান তারা ঘুরে দেখতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে আল-দাব্বাগ বলেন, চলতি বছর আমরা ৩ লাখের বেশি বাংলাদেশিকে সৌদি আরবে স্বাগত জানিয়েছি। তাদের বেশিরভাগই ওমরাহ করতে এসেছেন। তবে এমন লোকজনও আছেন যারা তাদের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। আবার কিছু মানুষ এসেছেন ব্যবসার জন্য।

তাই আমরা এখানে অনেক কিছু করছি। প্রথমত, আমরা একটি প্রতিনিধি অফিস স্থাপন করছি। আমরা এখন আমাদের বাণিজ্য অংশীদার, ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।

এ বছরের শুরুতে ভারতেও একটি ব্যাপক প্রচারমূলক প্রচারণা চালায় সৌদির পর্যটন কর্তৃপক্ষ। যার লক্ষ্য ছিল ২০২৩ সালের মধ্যে সৌদি আরবে ১ কোটি ২০ লাখ ভারতীয় ভ্রমণকারীকে পর্যটনে আকৃষ্ট করা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সফরে এসে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহর চালু করা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম নুসুক হলো একটি ই-ভিসা ও বুকিং প্ল্যাটফর্ম। এটি হজ ও ওমরাহযাত্রীদের মক্কা, মদিনা এবং অন্যান্য শহরে ভ্রমণের যাত্রাপথ নির্দিষ্ট ও ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে সহায়তা করবে।