সৌদি আরবের দাম্মামে ফার্নিচার কারখানায় আগুন দুর্ঘটনায় নিহত আট বাংলাদেশির মধ্যে সাতজনের লাশ দেশে আনা হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুর্ঘটনার ২৭ দিন পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে নিহতদের লাশ বহনকারী উড়োজাহাজটি। পরে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহগুলো নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
মরদেহগুলো নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে নেয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। পুরো গ্রাম জুড়ে নেমে আসে শোকের কালো ছায়া। প্রবাসীদের শেষবারের মতো দেখতে ভিড় জমান আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ। একে একে সবার জানাজা শেষে লাশগুলো দাফন করা হয়।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান বলেন, “মঙ্গলবারে দিবাগত রাতে চারজনের মরদেহ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহগুলো নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।”
সরকারি উদ্যোগেই এসব লাশ দেশে আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
লাশ আসবে খবর পেয়ে আগে থেকেই নাটোরের নলডাঙ্গার চানপুরের ওবায়দুল ইসলামের জন্য কবর প্রস্তুত করে রেখেছিলেন স্বজনরা। দুপুরে স্থানীয় বাজারে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে গত ১৪ জুলাই সৌদি আরবের দাম্মামে ফার্নিচার কারখানায় আগুন দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরে তাদের মরদেহ হুফুফ কিং ফাহাদ মর্গে রাখা ছিল। রাজশাহী অঞ্চলের মৃত ৭ জন হলেন, বাগমারা উপজেলার বারইপাড়ার জফির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসাইন, একই এলাকার জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইনের ছেলে মো. আরিফ, বাগমারার বড় মাধাইমুরির আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে ফিরুজ আলী সরদার, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার উদয়পুরের মন্ডল পাড়ার মৃত রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার (৪৫), একই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজার প্রামাণিকের ছেলে রমজান আলী (৩৩), নাটোরের নলডাঙ্গার খাজুরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে ওবায়দুল হক (৩৩)।