বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বি‌নিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রদূত

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / 73
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলা‌দে‌শের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ। সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

বুধবার (৯ আগস্ট) ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশ‌টির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিদায়ী সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি রাষ্ট্রদূতকে হ্যানয়ে কর্মকালীন দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক, পিটুপি কানেকটিভিটি এবং সর্বোপরি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উল্লেখ করেন, তার সুদীর্ঘ কর্মকালীন তিনি ভিয়েতনাম ফরেন অফিস ও অন্যান্য সব সরকারি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্থাসমূহের যে ব্যাপক সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন, তাতে করে তিনি দুই দেশের সর্বোপরি দ্বিপাক্ষিক বিষয়সমূহের উন্নয়ন ও বিকাশে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পেরেছেন।

রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে জানান, ২০১৭ সালে ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেওয়ার  সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেন যেন তিনি বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে বেগবান করেন।

বিগত বছরগুলোতে উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ব্যাপক উন্নয়নে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিরলস কাজ করেছে।

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালে এসে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঊর্ধ্বে উন্নীত হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ভিয়েতনামিজ বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক ফোরামে বিশেষ করে জাতিসংঘে উভয় দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা ও সমর্থন করে যাবে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত একাত্মতা জানিয়ে ভিয়েতনামকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন, বাংলাদেশকে আসিয়ান ফোরামের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য। আরও উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে ভিয়েতনাম এক আঞ্চলিক লিডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজকে তার পরবর্তী কর্মস্থল কায়রোতে যোগদানের লক্ষ্যে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান। তিনি ভিয়েতনামে সাফল্যজনকভাবে তার দীর্ঘ কর্মকালীন অবদানের জন্য পুনরায় ধন্যবাদ জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বি‌নিয়োগ চাইলেন রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ০৯:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩

ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলা‌দে‌শের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ। সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশে ভিয়েতনামের বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

বুধবার (৯ আগস্ট) ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেশ‌টির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিদায়ী সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতের শুরুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন। তিনি রাষ্ট্রদূতকে হ্যানয়ে কর্মকালীন দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক, পিটুপি কানেকটিভিটি এবং সর্বোপরি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উল্লেখ করেন, তার সুদীর্ঘ কর্মকালীন তিনি ভিয়েতনাম ফরেন অফিস ও অন্যান্য সব সরকারি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্থাসমূহের যে ব্যাপক সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন, তাতে করে তিনি দুই দেশের সর্বোপরি দ্বিপাক্ষিক বিষয়সমূহের উন্নয়ন ও বিকাশে একনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পেরেছেন।

রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে জানান, ২০১৭ সালে ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নেওয়ার  সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বিশেষভাবে নির্দেশ দেন যেন তিনি বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে বেগবান করেন।

বিগত বছরগুলোতে উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ব্যাপক উন্নয়নে দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূত নিরলস কাজ করেছে।

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালে দুই দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালে এসে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঊর্ধ্বে উন্নীত হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ভিয়েতনামিজ বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক ফোরামে বিশেষ করে জাতিসংঘে উভয় দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা ও সমর্থন করে যাবে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত একাত্মতা জানিয়ে ভিয়েতনামকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন, বাংলাদেশকে আসিয়ান ফোরামের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য। আরও উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে ভিয়েতনাম এক আঞ্চলিক লিডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজকে তার পরবর্তী কর্মস্থল কায়রোতে যোগদানের লক্ষ্যে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান। তিনি ভিয়েতনামে সাফল্যজনকভাবে তার দীর্ঘ কর্মকালীন অবদানের জন্য পুনরায় ধন্যবাদ জানান।