ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহী
- আপডেট সময় : ০৮:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
- / 162
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) এবং ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) এর মধ্যে সোমবার বিটুবি (বিজনেস টু বিজনেস) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে সফররত আইসিসির ৪৩ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। আইসিসি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির মহাপরিচালক রাজীভ সিং।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত সবসময়ই বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বাণিজ্য অনেক ভালো অবস্থানে আছে এবং দিন দিন দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে যা দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করেছে।
মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য একটি লাভজনক, টেকসই এবং পরিবেশ-বান্ধব কৃষিব্যবস্থা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কোল্ড চেইন অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যা এ খাতের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এ ব্যাপারে ভারতের সাথে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
বৈঠকে আইসিসি মহাপরিচালক রাজীভ সিং বলেন, ভারতের অনেক দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল রয়েছে যারা জ্বালানি খাত নিয়ে কাজ করে। তারা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সাথে শেয়ার করতে চায়। এছাড়াও বাংলাদেশের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ভুটান ও নেপালে উৎপন্ন বিদ্যুৎ পরিবহনের ক্ষেত্রে সঞ্চালন লাইন সরবরাহে কাজ করতে পারে ভারতের ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মসলা ও শাকসবজি উৎপন্ন হয় যা বাংলাদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এফবিসিসিআইর পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী তার বক্তব্যে ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, আক্কাস মাহমুদ, মহাসচিব রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান, দুই দেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, মসলা, শাকসবজি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, হরটিকালচার ইত্যাদি খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।