ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অক্টোবরে পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩
  • / 161
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অক্টোবরে আমরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) প্রি-অ্যাসেসমেন্ট ইলেকশন মনিটরিং টিম (প্রাকনির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল) পাঠাতে চাই। দলে থাকবে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা, যাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তুতি নিয়ে অগাধ অভিজ্ঞতা রয়েছে।

পিটার হাস আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। যে নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। এর আগে, বেলা সোয়া ১১টায় সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন পিটার হাস। ১২টা ৪০ মিনিটে বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সংকটগুলো রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়। বিষয়টি আমরা বলেছি, উনারাও (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) বিশ্বাস করেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এমন কথা জানান সিইসি।

তিনি বলেন, অক্টোবরে তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রি এসেসমেন্ট টিম আসবে। তারা আরপিও সংশোধনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসও দেখেছেন, শুনেছেন যে আরপিও সংশোধনে আমাদের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে কীভাবে এটা বাড়ানো হয়েছে আমরা তার কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছি।

সিইসি বলেন, পিটার হাস জানতে পেরেছেন, শুনেছেন যে- এখানকার মোর ভাইব্রেন্ট পলিটিকাল পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে তারা ওইভাবে ভাইব্রেন্ট নয়। এর জবাবে আমরা বলেছি- রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে গেলে বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয়, আমরা সেগুলো স্ট্রিকলি ফলো করেছি। এইজন্য অনেক দল নিবন্ধন পায়নি। মাত্র দু’টি দল নিবন্ধন পেতে পারে। তারা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের ক্রাইটারিয়াগুলো পূরণ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা পিটার হাসকে বলেছি, নির্বাচনে স্বচ্ছতার জন্য মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সে প্রসঙ্গে তিনি জানতে চেয়েছেন যে, গণমাধ্যম কর্মীরা মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি কি পাবে? এর জবাবে আমরা বলেছি, বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় আছে। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলব- সেখানকার অবস্থা বিবেচনা করে মোটরসাইকেল অনুমতি দেবেন। আমরাও কেন্দ্রীয়ভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করে অবহিত করব।

সিইসি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে, নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। যেটা আমরা সবসময় নির্বাচন কমিশন থেকে বলে থাকি। দেশে যে সংকট বিরাজ করছে, তা রাজনৈতিক। সেটার সঙ্গে আমার কর্মের কোনো সংঘাত নেই। এ সমস্যা যদি রাজনৈতিকভাবে সেটেল হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করা অনেক কমফোর্টেবল ও সহজ হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে যে প্রকট বিষয় রয়েছে, সেগুলো যেকোনো মূল্যে সুরাহা হয়ে যাক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। স্থিতিশীল পরিবেশে আগামী নির্বাচনটা সহজ হয়ে যাবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, তারাও বিশ্বাস করেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন। সংলাপ ছাড়া সংকটগুলো রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়। কমিশনের পক্ষ থেকে আমি মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলোর এক টেবিলে বসা উচিত, একসঙ্গে চা খাওয়া উচিত। তারপরে আলোচনা করে এই সংকটগুলো নিরসন করা উচিত।

বৈঠকে পিটার হাসের সঙ্গে ছিলেন- ডেপুটি পলিটিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিলর মি. অরটুরো ইনস, নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অক্টোবরে পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ০৪:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে অক্টোবরে আমরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) প্রি-অ্যাসেসমেন্ট ইলেকশন মনিটরিং টিম (প্রাকনির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল) পাঠাতে চাই। দলে থাকবে নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা, যাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও প্রস্তুতি নিয়ে অগাধ অভিজ্ঞতা রয়েছে।

পিটার হাস আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। যে নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। এর আগে, বেলা সোয়া ১১টায় সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন পিটার হাস। ১২টা ৪০ মিনিটে বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সংকটগুলো রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়। বিষয়টি আমরা বলেছি, উনারাও (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) বিশ্বাস করেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে এমন কথা জানান সিইসি।

তিনি বলেন, অক্টোবরে তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রি এসেসমেন্ট টিম আসবে। তারা আরপিও সংশোধনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসও দেখেছেন, শুনেছেন যে আরপিও সংশোধনে আমাদের ক্ষমতা কমিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে কীভাবে এটা বাড়ানো হয়েছে আমরা তার কাছে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছি।

সিইসি বলেন, পিটার হাস জানতে পেরেছেন, শুনেছেন যে- এখানকার মোর ভাইব্রেন্ট পলিটিকাল পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে তারা ওইভাবে ভাইব্রেন্ট নয়। এর জবাবে আমরা বলেছি- রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে গেলে বিধিমালা অনুযায়ী যে ধরনের ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয়, আমরা সেগুলো স্ট্রিকলি ফলো করেছি। এইজন্য অনেক দল নিবন্ধন পায়নি। মাত্র দু’টি দল নিবন্ধন পেতে পারে। তারা উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের ক্রাইটারিয়াগুলো পূরণ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা পিটার হাসকে বলেছি, নির্বাচনে স্বচ্ছতার জন্য মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সে প্রসঙ্গে তিনি জানতে চেয়েছেন যে, গণমাধ্যম কর্মীরা মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমতি কি পাবে? এর জবাবে আমরা বলেছি, বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় আছে। আমরা স্থানীয় পর্যায়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বলব- সেখানকার অবস্থা বিবেচনা করে মোটরসাইকেল অনুমতি দেবেন। আমরাও কেন্দ্রীয়ভাবে বিষয়টি পর্যালোচনা করে অবহিত করব।

সিইসি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে, নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। যেটা আমরা সবসময় নির্বাচন কমিশন থেকে বলে থাকি। দেশে যে সংকট বিরাজ করছে, তা রাজনৈতিক। সেটার সঙ্গে আমার কর্মের কোনো সংঘাত নেই। এ সমস্যা যদি রাজনৈতিকভাবে সেটেল হয়ে যায়, তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন আয়োজন করা অনেক কমফোর্টেবল ও সহজ হবে। আমরা প্রত্যাশা করি, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে যে প্রকট বিষয় রয়েছে, সেগুলো যেকোনো মূল্যে সুরাহা হয়ে যাক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। স্থিতিশীল পরিবেশে আগামী নির্বাচনটা সহজ হয়ে যাবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, তারাও বিশ্বাস করেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন। সংলাপ ছাড়া সংকটগুলো রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়। কমিশনের পক্ষ থেকে আমি মনে করি, রাজনৈতিক দলগুলোর এক টেবিলে বসা উচিত, একসঙ্গে চা খাওয়া উচিত। তারপরে আলোচনা করে এই সংকটগুলো নিরসন করা উচিত।

বৈঠকে পিটার হাসের সঙ্গে ছিলেন- ডেপুটি পলিটিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিলর মি. অরটুরো ইনস, নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।