করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ১১টি বিধিনিষেধ জারি করেছে। এরই অংশ হিসেবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আজ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধকে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে যাত্রীবাহী ট্রেন।
আজ শনিবার সকাল থেকেই সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ফলে সব আন্তনগর ট্রেনের এক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করেছে ট্রেন। একই সঙ্গে মাস্ক ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ না করতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, আন্তনগর ট্রেনের কাউন্টারের সামনে খুব একটা ভিড় ছিল না। তবে কমিউটার ট্রেনের কাউন্টারের সামনে মানুষের দীর্ঘ লাইন। তবে বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল। লাইনে দাঁড়ানোর মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ছিল না। এদিকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করার আগেই যাত্রীর মুখে মাস্ক আছে কিনা ত নিশ্চিত করে তারপরেই যাওয়ার পারমিশন দিচ্ছে রেলওয়ের কর্মকর্তারা। স্বাস্থ্যবিধি মানতে তৎপরতা দেখা গেছে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। আমাদের তরফ থেকে আমরা যাত্রীদের সচেতন করছি, যাত্রীদের নিজের থেকেও সচেতন হতে হবে।’
এদিকে সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সুমাইয়া ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে এক সিট ফাঁকা রেখে আমরা বসেছি। স্টেশন প্রবেশ করার সময় মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দেয়নি অনেকেই। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি এভাবে নজরদারি করলে আমরা করোনায় নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারব।’
তবে আন্তনগর ট্রেনে অর্ধেক যাত্রী এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলেও। লোকাল, কমিউটার ট্রেনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত হয়েছে। লোকাল ট্রেনের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাও কর্তৃপক্ষের একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন রেল সংশ্লিষ্টরা। সে ক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার কথা বলছেন কর্মকর্তারা।
অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে রেলের নির্দেশনায় বলা হয়েছে:
আন্তনগর ট্রেনগুলোর স্ট্যান্ডিং টিকিট ও স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত ইমার্জেন্সি কোটা ও ম্যানুয়াল অনুযায়ী কোটা ব্যতীত আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে সব ধরনের কোটা ব্যবস্থা বন্ধ থাকবে। কাউন্টারে টিকিট বিক্রি ও ট্রেন ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। প্রচলিত নিয়মানুযায়ী ও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে আন্তনগর ট্রেনে কাটারিং সেবা প্রদান ও রাত্রিকালীন বেডিং সরবরাহ করা হবে।