কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল

  • আপডেট সময় : ১০:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুলাই ২০২৩
  • / 161
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সৈকতের লেম্বুরবন, নদীর মোহনা, গঙ্গামতির লেক, লাল কাঁকড়ার চর, কুয়াকাটার কুয়া, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার, শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কম সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আগামী ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

এদিকে রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, মিশ্রিপাড়া তাঁতপল্লী সবখানেই কেনাকাটায় পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। আবার অনেকেই সৈকতে ফ্রাই ও বারবিকিউ দোকানগুলোতে কাঁকড়া, চিংড়িসহ নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিচ্ছেন। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহার প্রথম দিনে কুয়াকাটার সৈকতে তেমন ভিড় ছিলো না। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকেই মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার এবং মোটরসাইকেল যোগে এসকল পর্যটকের আগমন ঘটে। তবে দূরদূরান্তের চেয়ে নিকটবর্তী এলাকার পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এছাড়া পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অফারের ঘোষণা দিয়েছে।

পর্যটক তানিয়া বলেন, তারা নিজস্ব মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটায় এসেছেন। বর্ষা মৌসুমে সমুদ্রে  ঢেউ আর স্নিগ্ধ প্রকৃতি দেখে খুবই ভাল লেগেছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ঢাকা এবং কুয়াকাটার সড়ক যোগাযোগ এখন অতি সহজ হয়ে গেছে।

 

পর্যটক মনির হোসেন বলেন, কুয়াকাটার বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছে। পর্যটক মোহেদী হাসান জানান, কুয়াকাটা সুন্দর একটি জায়গা। বন্ধুদের নিয়ে পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখেছি। খুব ভালোই লেগেছে। এছাড়া সমুদ্রে সাঁতার কেটেছি। আমাদের যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়।
কুয়াকাটা টুরিজম ম্যানেজম্যান্ট এসোসিয়েশন কুটুমের সাধারণ সম্পাদক মো. হোসাইন আমির বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পরই কুয়াকাটায় কমবেশি পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কম সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে তিনি জানান।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. হাসনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশও কাজ করছে। যারা সাগরে গোসল করার জন্য নামছেন, তাদের মাইকিং করে প্রতিমুহূর্তে সতর্ক করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কুয়াকাটায় পর্যটকদের ঢল

আপডেট সময় : ১০:১৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুলাই ২০২৩

ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। সৈকতের লেম্বুরবন, নদীর মোহনা, গঙ্গামতির লেক, লাল কাঁকড়ার চর, কুয়াকাটার কুয়া, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার, শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পটগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কম সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। আগামী ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

এদিকে রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেট, মিশ্রিপাড়া তাঁতপল্লী সবখানেই কেনাকাটায় পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। আবার অনেকেই সৈকতে ফ্রাই ও বারবিকিউ দোকানগুলোতে কাঁকড়া, চিংড়িসহ নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিচ্ছেন। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল আজহার প্রথম দিনে কুয়াকাটার সৈকতে তেমন ভিড় ছিলো না। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকেই মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার এবং মোটরসাইকেল যোগে এসকল পর্যটকের আগমন ঘটে। তবে দূরদূরান্তের চেয়ে নিকটবর্তী এলাকার পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এছাড়া পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে হোটেল মোটেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন অফারের ঘোষণা দিয়েছে।

পর্যটক তানিয়া বলেন, তারা নিজস্ব মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটায় এসেছেন। বর্ষা মৌসুমে সমুদ্রে  ঢেউ আর স্নিগ্ধ প্রকৃতি দেখে খুবই ভাল লেগেছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ঢাকা এবং কুয়াকাটার সড়ক যোগাযোগ এখন অতি সহজ হয়ে গেছে।

 

পর্যটক মনির হোসেন বলেন, কুয়াকাটার বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছে। পর্যটক মোহেদী হাসান জানান, কুয়াকাটা সুন্দর একটি জায়গা। বন্ধুদের নিয়ে পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখেছি। খুব ভালোই লেগেছে। এছাড়া সমুদ্রে সাঁতার কেটেছি। আমাদের যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়।
কুয়াকাটা টুরিজম ম্যানেজম্যান্ট এসোসিয়েশন কুটুমের সাধারণ সম্পাদক মো. হোসাইন আমির বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পরই কুয়াকাটায় কমবেশি পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে। তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কম সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে বলে তিনি জানান।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. হাসনাইন পারভেজ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন পর্যটন স্পটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকের পুলিশও কাজ করছে। যারা সাগরে গোসল করার জন্য নামছেন, তাদের মাইকিং করে প্রতিমুহূর্তে সতর্ক করা হচ্ছে।