অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে সর্বস্ব হারালেন সৌদি প্রবাসী
- আপডেট সময় : ০৩:১৭:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২
- / 466
বগুড়ার শেরপুরের জাহিদুল ইসলাম (৩০) নামের এক সৌদি প্রবাসী দেশে ফিরেই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন। ঢাকার উত্তরা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাসে বাড়ি যাওয়ার পথেই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন তিনি। পরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর স্ত্রী মোছা. জান্নাতি খাতুন শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম। বিগত পাঁচ বছর আগে সৌদি আরবে যান। বৃহস্পতিবার সকালে দেশে আসেন তিনি। বিমানযোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে ঢাকার উত্তরায় যান। সেখানে অবস্থিত শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার থেকে টিকিট নিয়ে সাড়ে এগারোটার বাসে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কিন্তু বাসের মধ্যেই প্রবাসী জাহিদুল ইসলামকে অজ্ঞান করে তার কাছে থাকা নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা, হ্যান্ড ব্যাগে থাকা আড়াই ভরি স্বর্ণালংকার, দুইটি মোবাইল ফোন, তিনটি বড় ব্যাগভর্তি মালামাল লুটে নেওয়া হয়। এছাড়া তার কাছে থাকা সৌদি রিয়াল ও ডলারের পরিমানের বিষয়টি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। এরপর অচেতন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে শেরপুর উপজেলার দশমাইল এলাকাস্থ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর সামনে ফেলে রেখে বাস চলে যায়।
ওই প্রবাসীর স্ত্রী মোছা. জান্নাতি খাতুন বলেন, মহাসড়কের পাশে স্বামীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনিসহ পরিবারের অন্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি।
তিনি আরও বলেন, ওই বাসের চালক ও তার সহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায় যাত্রী জাহিদুল ইসলামের পাশে সিটের যাত্রীসহ দুইজন যাত্রী টাঙ্গাইলের নেমে গেছেন। এছাড়া কোথাও কোনো যাত্রী নেমে যায়নি। সম্ভবত তারাই অজ্ঞান পার্টির সদস্য। যাত্রীবেশে বাসে উঠে তার পাশের সিটে বসেন এবং কোনো কিছু খাইয়ে তাকে অচেতন করে ফেলেন। এরপর সব কিছু লুটে নিয়ে নেমে গেছেন বলে তাদের ধারণা।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এবং খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সেটি করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।