ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতি ছিল ১২৭

  • আপডেট সময় : ০৪:২৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
  • / 127
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ‘সম্ভাব্য’ কারণ জানা গেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়ে। এখান থেকেই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। 

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নাম গোপন রাখার শর্তে রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার (২ জুন) ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগর বাজার স্টেশনের লুপ লাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালবাহী ট্রেন। ওই সময় চেন্নাইগামী করমণ্ডল ট্রেনের মূল লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু মূল লাইনে না গিয়ে এটি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় ১২৭ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস অত্যন্ত জোরে মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়। তখন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ছিটকে পাশের আরেকটি মূল লাইনে গিয়ে পড়ে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিপরীত দিক থেকে বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস চলে আসে। লাইনের ওপর পড়ে থাকা করমণ্ডল ট্রেনের কয়েকটি বগিতে সজোরে ধাক্কা মারে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এতেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

ভারতের খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যাল রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, বালেশ্বরের ওই স্টেশনের কাছে মোট চারটি লাইন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি লুপ লাইন। আর বাকি দুটি মেইন লাইন।

লুপ লাইন কী?

ভারতের রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, লুপ লাইন তৈরি করা হয় স্টেশন এলাকায়। মূলত ট্রেন চলাচল সহজ করতে এসব লুপ লাইন বানানো হয়। লুপ লাইন সাধারণত ৭৫০ মিটার লম্বা হয়, যেন কয়েকটি ইঞ্জিনসহ একটি বড় মালবাহী ট্রেন দাঁড়াতে পারে। তবে এখন এ লুপ লাইনের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ভারতের রেলওয়ে।

দুর্ঘটনার জন্য কে দায়ী?

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা কি মানুষের ভুলে হয়েছে নাকি কোনো কারিগরি ত্রুটির কারণে হয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানুষের ভুলই এজন্য দায়ী। কারণ করমণ্ডল এক্সপ্রেস প্রথমে ভুল লাইনে প্রবেশ করেছিল। এরপর এটি লাইনচ্যুত হয়েছিল।

তবে আরেকটি সূত্র বলছে, লুপ লাইনে ট্রেনটি দাঁড়ানো থাকলেও হয়ত এটির কয়েকটি বগি মূল লাইনের ওপর ছিল। আর ওই সময় মূল লাইন দিয়ে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস ওই বগিগুলোতে সজোরে ধাক্কা মারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতি ছিল ১২৭

আপডেট সময় : ০৪:২৮:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ‘সম্ভাব্য’ কারণ জানা গেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভুল লাইনে ঢুকে পড়ে। এখান থেকেই দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। 

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নাম গোপন রাখার শর্তে রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার (২ জুন) ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগর বাজার স্টেশনের লুপ লাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালবাহী ট্রেন। ওই সময় চেন্নাইগামী করমণ্ডল ট্রেনের মূল লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু মূল লাইনে না গিয়ে এটি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় ১২৭ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস অত্যন্ত জোরে মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়। তখন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ছিটকে পাশের আরেকটি মূল লাইনে গিয়ে পড়ে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিপরীত দিক থেকে বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস চলে আসে। লাইনের ওপর পড়ে থাকা করমণ্ডল ট্রেনের কয়েকটি বগিতে সজোরে ধাক্কা মারে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এতেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

ভারতের খড়গপুর ডিভিশনের সিগন্যাল রুমের ভিডিওতে দেখা গেছে, বালেশ্বরের ওই স্টেশনের কাছে মোট চারটি লাইন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি লুপ লাইন। আর বাকি দুটি মেইন লাইন।

লুপ লাইন কী?

ভারতের রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, লুপ লাইন তৈরি করা হয় স্টেশন এলাকায়। মূলত ট্রেন চলাচল সহজ করতে এসব লুপ লাইন বানানো হয়। লুপ লাইন সাধারণত ৭৫০ মিটার লম্বা হয়, যেন কয়েকটি ইঞ্জিনসহ একটি বড় মালবাহী ট্রেন দাঁড়াতে পারে। তবে এখন এ লুপ লাইনের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে ভারতের রেলওয়ে।

দুর্ঘটনার জন্য কে দায়ী?

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা কি মানুষের ভুলে হয়েছে নাকি কোনো কারিগরি ত্রুটির কারণে হয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত নয়।

তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানুষের ভুলই এজন্য দায়ী। কারণ করমণ্ডল এক্সপ্রেস প্রথমে ভুল লাইনে প্রবেশ করেছিল। এরপর এটি লাইনচ্যুত হয়েছিল।

তবে আরেকটি সূত্র বলছে, লুপ লাইনে ট্রেনটি দাঁড়ানো থাকলেও হয়ত এটির কয়েকটি বগি মূল লাইনের ওপর ছিল। আর ওই সময় মূল লাইন দিয়ে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস ওই বগিগুলোতে সজোরে ধাক্কা মারে।