ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৮৮

  • আপডেট সময় : ১০:৫২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
  • / 135
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের ওড়িশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অনন্ত ২৮৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। ট্রেনের ভেতরে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

জানা গেছে, কলকাতাগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে। করমন্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ঘটনাস্থলে একটি মালবাহী ট্রেনের বগির ওপরও আছড়ে পড়ে।

দুর্ঘটনা কবলিত করমন্ডল এক্সপ্রেস শুক্রবারেই কলকাতা ছেড়ে এসেছিল। ট্রেনটির যাত্রীদের বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গে বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে নেমেছেন ভারতের ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্সের (এনডিআরএফ) সদস্যরা। রয়েছে ওডিশা ডিজাস্টার র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও (ওডিআরএএফ)। উদ্ধারকাজে ভারতের বিমানবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এখনো অনেকে ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে আছেন।

এদিকে ঘটনাস্থলে বালাসোরসহ আশপাশের জেলাগুলোর চিকিৎসকেরা সেবা দিচ্ছেন। আহতদের রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় লোকজন। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে নিতে রয়েছে ১১৫টির বেশি অ্যাম্বুলেন্স। তাদের বালাসোরসহ আশপাশের জেলাগুলোর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

এই রেল দুর্ঘটনাটিকে ভারতে বিগত বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার খবরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি টুইট করে বলেছেন, “ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই দুঃসময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। পরিস্থিতি নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গেও কথা বলেছি।”

দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। পাশাপাশি আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও গুরুতর আহতদের ২ লাখ রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বাড়ি ওড়িশায়। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজের সফলতা প্রার্থনা করে একটি টুইট করেছেন তিনি। টুইটে ভারতের রাষ্ট্রপতি লেখেন, “ওড়িশার বালাসোরে দুর্ভাগ্যজনক রেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির বিষয়টি জানতে পেরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। উদ্ধারকাজের সফলতা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।”

দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৮৮

আপডেট সময় : ১০:৫২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

ভারতের ওড়িশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অনন্ত ২৮৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। ট্রেনের ভেতরে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

জানা গেছে, কলকাতাগামী বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ওই এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে। করমন্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ঘটনাস্থলে একটি মালবাহী ট্রেনের বগির ওপরও আছড়ে পড়ে।

দুর্ঘটনা কবলিত করমন্ডল এক্সপ্রেস শুক্রবারেই কলকাতা ছেড়ে এসেছিল। ট্রেনটির যাত্রীদের বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গে বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে নেমেছেন ভারতের ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্সের (এনডিআরএফ) সদস্যরা। রয়েছে ওডিশা ডিজাস্টার র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও (ওডিআরএএফ)। উদ্ধারকাজে ভারতের বিমানবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এখনো অনেকে ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে আছেন।

এদিকে ঘটনাস্থলে বালাসোরসহ আশপাশের জেলাগুলোর চিকিৎসকেরা সেবা দিচ্ছেন। আহতদের রক্ত দিতে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় লোকজন। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে নিতে রয়েছে ১১৫টির বেশি অ্যাম্বুলেন্স। তাদের বালাসোরসহ আশপাশের জেলাগুলোর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

এই রেল দুর্ঘটনাটিকে ভারতে বিগত বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার খবরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি টুইট করে বলেছেন, “ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই দুঃসময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহত ব্যক্তিরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। পরিস্থিতি নিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গেও কথা বলেছি।”

দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। পাশাপাশি আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ও গুরুতর আহতদের ২ লাখ রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বাড়ি ওড়িশায়। দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজের সফলতা প্রার্থনা করে একটি টুইট করেছেন তিনি। টুইটে ভারতের রাষ্ট্রপতি লেখেন, “ওড়িশার বালাসোরে দুর্ভাগ্যজনক রেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির বিষয়টি জানতে পেরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। উদ্ধারকাজের সফলতা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।”

দুর্ঘটনার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।”