ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবুধাবিতে আগুনে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
  • / 286
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী থেকে:
মধ্যপাচ্যের দেশ আবুধাবিতে  মধ্গযরাতে একটি ফার্নিচার দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

নিহতদের সবার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়।

তাদের মৃত্যুর সংবাদে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত ১০টার দিকে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি ও নিহত ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ীর বড় ভাই ডাক্তার মো. রসুল তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে আবুধাবির (স্থানীয় সময়) শারজা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ী মো. ইউছুফ (৪৩) উপজেলার পলতি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে, দোকান কর্মচারী মো. রাসেল (৩২) মতৈন গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে এবং অপর জন হচ্ছেন পলতি গ্রামের মীর আহাম্মদের ছেলে মো. তারেক হোসেন।

নিহত ব্যবসায়ী মো. ইউছুফের বড় ভাই মো. রসুল জানান, তার ছোট ভাই দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আবুধাবিতে প্রবাস জীবনযাপন করে আসছিল। দুই বছর আগে সে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে শারজা এলাকায় একটি ফার্নিচারের (সোফা তৈরি-বিক্রি) ব্যবসা শুরু করেন।

পাঁচ বছর আগে তিনি সর্বশেষ বাড়ি এসেছিলেন। তার সংসারে স্ত্রী নুর নাহার বেগম, মাদরাসা শিক্ষার্থী বড় ছেল মাইনুল ইসলাম মিলন ও ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে মেহেদী হাসান সিফাত রয়েছে।

জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে ভেতরে ইউছুফ, দোকান কর্মচারী রাসেল ও বেড়াতে আসা মো. তারেক হোসেন ঘুমিয়ে পড়েন। আবুধাবির স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে দোকানে আগুন লাগলে ভেতরে ঘুমের মধ্যেই তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।

মঙ্গলবার সকালে আবুধাবিতে বসবাসরত ইউছুফের স্বজন আবুল বাশার ও আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে তাদের মৃত্যুর খবর জানান। মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিন পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। পরিবারগুলোর দাবি নিহতদের মরদেহ যেন দেশের বাড়িতে পাঠায় যাতে করে শেষ বারের মত তাদের একবার দেখতে পান।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনা তিনি এখনো শোনেননি তবে খোঁজ-খবর নিয়ে জানাবেন।

প্রকাশ : ৩১ মে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট

সুত্র বাংলানিউজ২৪.কম

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আবুধাবিতে আগুনে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

নোয়াখালী থেকে:
মধ্যপাচ্যের দেশ আবুধাবিতে  মধ্গযরাতে একটি ফার্নিচার দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

নিহতদের সবার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়।

তাদের মৃত্যুর সংবাদে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত ১০টার দিকে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি ও নিহত ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ীর বড় ভাই ডাক্তার মো. রসুল তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (২৯ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে আবুধাবির (স্থানীয় সময়) শারজা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ী মো. ইউছুফ (৪৩) উপজেলার পলতি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে, দোকান কর্মচারী মো. রাসেল (৩২) মতৈন গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে এবং অপর জন হচ্ছেন পলতি গ্রামের মীর আহাম্মদের ছেলে মো. তারেক হোসেন।

নিহত ব্যবসায়ী মো. ইউছুফের বড় ভাই মো. রসুল জানান, তার ছোট ভাই দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আবুধাবিতে প্রবাস জীবনযাপন করে আসছিল। দুই বছর আগে সে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে শারজা এলাকায় একটি ফার্নিচারের (সোফা তৈরি-বিক্রি) ব্যবসা শুরু করেন।

পাঁচ বছর আগে তিনি সর্বশেষ বাড়ি এসেছিলেন। তার সংসারে স্ত্রী নুর নাহার বেগম, মাদরাসা শিক্ষার্থী বড় ছেল মাইনুল ইসলাম মিলন ও ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে মেহেদী হাসান সিফাত রয়েছে।

জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে ভেতরে ইউছুফ, দোকান কর্মচারী রাসেল ও বেড়াতে আসা মো. তারেক হোসেন ঘুমিয়ে পড়েন। আবুধাবির স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে দোকানে আগুন লাগলে ভেতরে ঘুমের মধ্যেই তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।

মঙ্গলবার সকালে আবুধাবিতে বসবাসরত ইউছুফের স্বজন আবুল বাশার ও আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে তাদের মৃত্যুর খবর জানান। মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিন পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। পরিবারগুলোর দাবি নিহতদের মরদেহ যেন দেশের বাড়িতে পাঠায় যাতে করে শেষ বারের মত তাদের একবার দেখতে পান।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনা তিনি এখনো শোনেননি তবে খোঁজ-খবর নিয়ে জানাবেন।

প্রকাশ : ৩১ মে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট

সুত্র বাংলানিউজ২৪.কম