আলোচনায় রাষ্ট্রদূত : বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:২০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
  • / 131
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

 

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক : 

 

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথেই নিরলস কাজ করে চলেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) সকালে জাতির পিতার ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তারা ও রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীনতা ছাড়া শান্তি আসেনা, একমাত্র স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমেই টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় কাংখিত স্বাধীনতা পেয়েছি যা পৃথিবীর বুকে আমাদের জাতি হিসাবে পরিচয় করে দিয়েছে। জাতির পিতা তাঁর সারাজীবন শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। মানুষের মুক্তির জন্য, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শান্তির দর্শনের অন্যতম উপাদান ছিল যুদ্ধ পরিহার করে যেকোনো বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, সকল প্রকার বঞ্চনা ও শোষণ দূর করার মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জাতির পিতার প্রদর্শিত পথে বিশ্ব শান্তির পক্ষে নিরলস কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর করেছেন। দশ লাখের অধিক নির্যাতিত বাস্তুুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান করেছেন যার জন্য তিনি মাদার অফ হিউম্যানিটিতে ভূষিত হয়েছেন। দেশে দারিদ্যের হার কমানো, শিশু মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়ে এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে জাতিসংঘের পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘে যে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকল জাতির মধ্যে টেকসই শান্তি ও অন্যের প্রতি শ্রদ্ধার মানসিকতা তৈরি করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। এছাড়া বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের শান্তি মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অবদান রেখে চলেছে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানের জন্য প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন রিয়াদস্থ আওয়ামী পরিষদের সভাপতি এম আর মাহাবুব।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

 

প্রকাশ: ২৬ মে, শুক্রবার ২টা ২৫ মিনিট

রিপোর্ট, ম/ হো

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আলোচনায় রাষ্ট্রদূত : বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করেই শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:২০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

 

 

 

প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক : 

 

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রদর্শিত পথেই নিরলস কাজ করে চলেছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) সকালে জাতির পিতার ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তারা ও রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীনতা ছাড়া শান্তি আসেনা, একমাত্র স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমেই টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় কাংখিত স্বাধীনতা পেয়েছি যা পৃথিবীর বুকে আমাদের জাতি হিসাবে পরিচয় করে দিয়েছে। জাতির পিতা তাঁর সারাজীবন শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন। মানুষের মুক্তির জন্য, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর শান্তির দর্শনের অন্যতম উপাদান ছিল যুদ্ধ পরিহার করে যেকোনো বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, সকল প্রকার বঞ্চনা ও শোষণ দূর করার মাধ্যমে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণ।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জাতির পিতার প্রদর্শিত পথে বিশ্ব শান্তির পক্ষে নিরলস কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সমস্যা দূর করেছেন। দশ লাখের অধিক নির্যাতিত বাস্তুুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান করেছেন যার জন্য তিনি মাদার অফ হিউম্যানিটিতে ভূষিত হয়েছেন। দেশে দারিদ্যের হার কমানো, শিশু মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়ে এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে জাতিসংঘের পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘে যে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকল জাতির মধ্যে টেকসই শান্তি ও অন্যের প্রতি শ্রদ্ধার মানসিকতা তৈরি করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। এছাড়া বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের শান্তি মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ অবদান রেখে চলেছে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ আয়ের স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানের জন্য প্রবাসীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন রিয়াদস্থ আওয়ামী পরিষদের সভাপতি এম আর মাহাবুব।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম। দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

 

প্রকাশ: ২৬ মে, শুক্রবার ২টা ২৫ মিনিট

রিপোর্ট, ম/ হো