গ্রীণল্যান্ড ওভারসীজের ১৯ শ্রমিককে বিনা খরচে আবারো পাঠানো হলো মালয়েশিয়ায়

- আপডেট সময় : ১১:৩৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
- / 313
প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক:
২৭ এপ্রিল, বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিট
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশে ফেরত পাঠানো সেই ১৯ শ্রমিককে আবারো বিনা খরচে মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী কোম্পানীতে প্রেরণের ব্যবস্থা করেছে গুলশানের প্রতিষ্ঠিত জনশক্তি প্রেরনকারী প্রতিষ্ঠান গ্রীণল্যান্ড ওভারসীস লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে এই শ্রমিকরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তাদেরকে বিদায় জানান গ্রীণল্যান্ড ওভারসীজের জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রীণল্যান্ড ওভারসীসের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান এপ্রসঙ্গে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোররাত ৩টার দিকে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে ফেরত আসা ১৯ কর্মীর সাথে নতুন আরো ৬জন কর্মী মিলিয়ে মোট ২৫ জনকে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। ফ্লাইটটি সকাল ৮টায় অবতরন করেছে। তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে কোম্পানীর প্রতিনিধিরা এসে নিয়ে গেছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা কমিটমেন্ট করেছিলাম বিনা টাকায় তাদের পাঠাবো। সেটা করতে পেরেছি। এরজন্য ভালো লাগছে। এই আর কি।
কাদের ভ’লের কারণে বৈধ এসব শ্রমিকরা বিমানবন্দর থেকেই ফেরত এসেছিলেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন কার ভুলের কারণে হয়েছে সেটা কিভাবে বলবো ? এখন বলতে পারেন এটা আমাদের কপালের দোষ। যাক আমরা ১৯ শ্রমিককে আবারো পাঠিয়েছি। তাদের কাছ থেকে পাঠানো বাবদ একটি টাকাও আমরা নেইনি। এরসাথে তাদের সবার গ্রাম থেকে ঢাকায় আসা যাওয়া, থাকা ও খাওয়া সব খরচ আমাদের প্রতিষ্ঠান গ্রীণল্যন্ড ওভারসীস থেকে দেয়া হয়েছে।
এরআগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারী গ্রীণল্যান্ড ওভারসীজ লিমিটেডের মাধ্যমে ২৯ জন শ্রমিক মালয়েশিয়ার এভারলেনটেন এসডিএন বিএইচডি কোম্পানীতে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্য ঢাকা ত্যাগ করেন। ওই দেশের বিমানবন্দরে নামার পর ১০ শ্রমিককে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ প্রবেশের অনুমতি দিলেও বাকী ১৯ জনের তথ্য সার্ভারে পাওয়া না যাওয়ার কারণে দুদিন রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারী ফিরতি ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত পাঠিয়ে দেয় বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।
ফেরত আসা কর্মীদের প্রসেঙ্গ ওই সময় গ্রীণল্যান্ড ওভারসীজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমাদের পাঠানো ২৯ কর্মীর মধ্যে মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী কোম্পানী এয়ারপোর্টে কর্মীদের রিসিভ করতে গেলে তখন সেখান থেকে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ১০ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেন। বাকী কর্মীদের সার্ভারে ডাটা সঠিক না পাওয়ার কারণে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এটি একেবারেই অনাকাংখিত ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলে, এই কোম্পানীতে এরআগেও আমরা ৪০ জন কর্মী পাঠিয়েছিলাম। এই কোম্পানীতে এবার আমাদের ছিলো দ্বিতীয় ফ্লাইট। সমস্যার বিষয়ে নিয়োগাকারী কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা আমাদের জানিয়েছিলো, ফেরত যাওয়া ১৯ কর্মীর তথ্য সার্ভারে পাওয়া গেছে। এই কর্মীরা আবারো মালয়োিশয়য় আসতে পারবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফেরত আসা কর্মীদের পূনরায় মালয়েশিয়ায় পাঠাতে যে টাকা খরচ হবে তা গ্রীণল্যান্ড কোম্পানী পুরোটা বহন করবে। কর্মীদের কোন টাকা খরচ করতে হবে না।
নিউজটি শেয়ার করুন
