লিবিয়াতে ১৫ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ, কাজে লাগাতে হবে
- আপডেট সময় : ০৯:০৩:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩
- / 277
প্রবাসী কণ্ঠ প্রতিবেদক
মধ্যেপ্রাচ্যর অন্যতম দেশ সৌদি আরবের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে আসছে। তুলনামূলক এই দেশটিতে এখন শ্রমিকরা যেতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। শুধু শ্রমিকরাই নন, রিক্রুটিং এজেন্সীর মালিকরাও এখন সৌদি আরবে লোক পাঠিয়ে আর স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন না। তবে এই মার্কেট সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা সংকুচিত হয়ে এলেও নতুনভাবে লিবিয়াতে ব্যাপক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের চাহিদা তৈরী হয়েছে। দ্রুত দেশটিতে শ্রমিক পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করতে পারলে একদিকে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ হবে পাশাপাশি কয়েক বছরে দেশটিতে কমপক্ষে ১০-১৫ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান তৈরী হবে বলে আমি মনে করি। আর লিবিয়া সরকারও চাচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক ঘাটতির চাহিদা পূরন করতে।
গত সপ্তাহে জনশক্তি প্রেরনের সাথে সম্পৃত্ত প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও রিক্রুটিং এজেন্সী সোনার বাংলা কৃষি খামার এর স্বত্তাধিকারী মোহাম্মদ কেফায়েত উল্লাহ প্রবাসী কণ্ঠ পত্রিকার সাংবাদিককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন অভিব্যক্তির কথাই শোনালেন।
তিনি বলেন, লিবিয়ার বর্তমান সরকার খুবই আন্তরিক। যুদ্ধের পর পরিস্থিতি এখন বলা চলে অনেকটাই স্বাভাবিক। কনস্ট্রাকশন, ক্লিনিকসহ বিভিন্ন কোম্পানি ও সক্টরে প্রচুর লোকের চাহিদা হয়েছে। তবে তারা এবার শ্রমবাজারটি যেনো নষ্ট না হয় সেজন্য একটি সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চাচ্ছেন।
লিবিয়ার সাথে বাংলাদেশের এমওইউ চুক্তি আগে থেকেই আছে। সেটিতে এবার কিছু যোগবিয়োগ করে সময়োপযোগী করার চিন্তা রয়েছে দুই দেশের। সবকিছু ঠিক থাকলে ঈদের পর আমাদের মন্ত্রী মহোদয় এর নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের লিবিয়া সফর করার সম্ভাবনা আছে বলে আমরা শুনতে পেরেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে কেফায়েত উল্লাহ প্রবাসী কণ্ঠকে বলেন, এই মুহুর্তে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চাংগা। প্রতিদিনই ফ্লাইট যাচ্ছে। এই বন্ধ শ্রমবাজারটি খোলার জন্য আমাদের সরকারের মাননীয় মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং সিনিয়র সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহীন স্যারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছাড়াও আরো যারা রয়েছেন তাদের মধ্য একজন হচ্ছেন রিক্রুটিং এজেন্সী ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্তাধিকারী রুহুল আমিন স্বপন ভাই। তার ক্যারিশমার কারনে মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার খোলা সম্ভব হয়েছে। ইতিমধ্য দেড়লাখ লোক কাজ করার উদ্দেশ্য চলেও গেছেন। আরো ১০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আমরা আশা করছি।
তেমনিভাবে লিবিয়ার মার্কেটটি আবারো চালু হলে এই মার্কেটেও ২/৩ বছরের মধ্য ১০-১৫ লাখ শ্রমিক চলে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আমরা বাজারটি খোলার জন্য সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে দেশটিতে ওর্য়াকিং ভিসা বন্ধ থাকলেও ভিজিট, ফ্যামিলিসহ অন্যান্য ভিসা চালু আছে।