ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে পোশাক কারখানা করতে আগ্রহী চীন

  • আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 139
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা: বাংলাদেশে ম্যান মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যানমেইড ফাইবার কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী চীনা প্রতিষ্ঠান হান্দা ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা আলোচনা করতে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিমের সঙ্গে হান্দা ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের সহ-সভাপতি দেং পেইলেই  দেখা করেছেন।

চীন ভিত্তিক পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হান্দা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চীন, মায়ানমার ও মিশরে নিজস্ব নীটওয়্যার পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা এককভাবে ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে বাৎসরিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রফতানি করে।

অন্যদিকে এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লিমিটেড একটি জাপানি বায়িং হাউজ, যারা বাংলাদেশে ৬ বছরেরও অধিক সময় ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছে।

সাক্ষাৎকালে হান্দা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সহ-সভাপতি দেং পেইলেই বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যানমেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে পোশাক শিল্পের মুখপাত্র প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।

তারা বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যান-মেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করেন।

বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, গত এক দশকে পোশাক শিল্পে যে বাস্তব রূপান্তর ঘটেছে, তা বিশ্ব বাজারে শিল্পের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে এবং ক্রেতা ও ভোক্তাদের আস্থা বাড়িয়েছে। সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে, শিল্পটি ক্রমাগত আরও উৎকর্ষ সাধনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, টেকসই হওয়ার কারণে বিশ্ববাজারে ক্রেতারা এখন নন কটন পোশাক পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন। টেক্সটাইল খাতের মধ্যে বিনিয়োগের অন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে ম্যান-মেইড ফাইবার-ভিত্তিক ইয়ান ও ফ্যাব্রিক। যেমন: পলিয়েস্টার, ভিনকস, স্প্যানডেক্স, মেলাঞ্জ। সুতরাং বাংলাদেশে মান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যানমেইড ফারবার কারখানা স্থাপনের জন্য একটি রেডি মার্কেট রয়েছে।

শহিদউল্লাহ আজিম পোশাক শিল্পের টেকসই কৌশলগত রূপকল্প ২০৩০ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, এ রূপকল্পের আওতায় পোশাক শিল্প ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে বিজিএমইএ সব সুযোগ কাজে লাগাতে আগ্রহী।

তিনি আরও বলেন, নন-কটনখাতে বিদেশি বিনিয়োগ অথবা যৌথ বিনিয়োগে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সম্ভাব্য সব লজিস্টিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

সভায় বিজিএমইএ, হান্দা ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড ও এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে পোশাক কারখানা করতে আগ্রহী চীন

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ঢাকা: বাংলাদেশে ম্যান মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যানমেইড ফাইবার কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী চীনা প্রতিষ্ঠান হান্দা ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এ বিষয়ে সম্ভাব্যতা আলোচনা করতে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিমের সঙ্গে হান্দা ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের সহ-সভাপতি দেং পেইলেই  দেখা করেছেন।

চীন ভিত্তিক পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হান্দা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চীন, মায়ানমার ও মিশরে নিজস্ব নীটওয়্যার পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা এককভাবে ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে বাৎসরিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রফতানি করে।

অন্যদিকে এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লিমিটেড একটি জাপানি বায়িং হাউজ, যারা বাংলাদেশে ৬ বছরেরও অধিক সময় ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছে।

সাক্ষাৎকালে হান্দা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সহ-সভাপতি দেং পেইলেই বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যানমেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে পোশাক শিল্পের মুখপাত্র প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন।

তারা বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যান-মেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করেন।

বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, গত এক দশকে পোশাক শিল্পে যে বাস্তব রূপান্তর ঘটেছে, তা বিশ্ব বাজারে শিল্পের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে এবং ক্রেতা ও ভোক্তাদের আস্থা বাড়িয়েছে। সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে, শিল্পটি ক্রমাগত আরও উৎকর্ষ সাধনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, টেকসই হওয়ার কারণে বিশ্ববাজারে ক্রেতারা এখন নন কটন পোশাক পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন। টেক্সটাইল খাতের মধ্যে বিনিয়োগের অন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে ম্যান-মেইড ফাইবার-ভিত্তিক ইয়ান ও ফ্যাব্রিক। যেমন: পলিয়েস্টার, ভিনকস, স্প্যানডেক্স, মেলাঞ্জ। সুতরাং বাংলাদেশে মান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যানমেইড ফারবার কারখানা স্থাপনের জন্য একটি রেডি মার্কেট রয়েছে।

শহিদউল্লাহ আজিম পোশাক শিল্পের টেকসই কৌশলগত রূপকল্প ২০৩০ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, এ রূপকল্পের আওতায় পোশাক শিল্প ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে বিজিএমইএ সব সুযোগ কাজে লাগাতে আগ্রহী।

তিনি আরও বলেন, নন-কটনখাতে বিদেশি বিনিয়োগ অথবা যৌথ বিনিয়োগে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ সম্ভাব্য সব লজিস্টিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

সভায় বিজিএমইএ, হান্দা ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড ও এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লিমিটেডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।