ইন্দোনেশিয়ায় বিমানের পাইলটকে জিম্মি

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 72
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিমানের এক পাইলটকে জিম্মি করেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তিনি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। এখন ওই পাইলটকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তারা। খবর বিবিসির।

পাপুয়ার পাহাড়ঘেরা অঞ্চল নুগাতে ছোট বিমানটি অবতরণ করার পর সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেন কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী। পাইলট ছাড়া বিমানটিতে শিশুসহ আরও পাঁচ যাত্রী ছিলেন। তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ ঘটনা খতিয়ে দেখছে। কিন্তু সেখানে তারা পৌঁছাতে পারছেন না, কারণ ওই জায়গাটিতে শুধুমাত্র বিমানে যাওয়া যায়।

জানা গেছে পাইলটের নাম ফিলিপ মার্থেনস, যদিও ইন্দোনেশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে যে নাম বলেছে সেটি আলাদা।

দলটির মুখপাত্র, সেবি সামবোন হুমকি দিয়েছেন, যদি ইন্দোনেশিয়ার সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি না হয় তাহলে এই পাইলটকে হত্যা করা হবে।

এদিকে নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ‘জিম্মি ঘটনা’ সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছে তারা এবং জাকার্তায় অবস্থিত কনস্যুলেটের মাধ্যমে পাইলটের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, বিমানটি সুসি এয়ারের। এটি খনিসমৃদ্ধ অঞ্চল তিমিকা থেকে মালামাল নিয়ে পাশের অঞ্চলে যাচ্ছিল।

এদিকে পাপুয়া অঞ্চলটি আগে ডাচ উপনিবেশবাদের অংশ ছিল। এটি পাপুয়া এবং উত্তর পাপুয়া নামে দুটি প্রদেশে বিভক্ত।

১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হওয়া গণভোটের মাধ্যমে পাপুয়া অঞ্চলকে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ইন্দোনেশিয়ায় বিমানের পাইলটকে জিম্মি

আপডেট সময় : ০৪:৩৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া অঞ্চলে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিমানের এক পাইলটকে জিম্মি করেছেন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তিনি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। এখন ওই পাইলটকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে তারা। খবর বিবিসির।

পাপুয়ার পাহাড়ঘেরা অঞ্চল নুগাতে ছোট বিমানটি অবতরণ করার পর সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেন কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী। পাইলট ছাড়া বিমানটিতে শিশুসহ আরও পাঁচ যাত্রী ছিলেন। তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ ঘটনা খতিয়ে দেখছে। কিন্তু সেখানে তারা পৌঁছাতে পারছেন না, কারণ ওই জায়গাটিতে শুধুমাত্র বিমানে যাওয়া যায়।

জানা গেছে পাইলটের নাম ফিলিপ মার্থেনস, যদিও ইন্দোনেশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে যে নাম বলেছে সেটি আলাদা।

দলটির মুখপাত্র, সেবি সামবোন হুমকি দিয়েছেন, যদি ইন্দোনেশিয়ার সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি না হয় তাহলে এই পাইলটকে হত্যা করা হবে।

এদিকে নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ‘জিম্মি ঘটনা’ সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখছে তারা এবং জাকার্তায় অবস্থিত কনস্যুলেটের মাধ্যমে পাইলটের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, বিমানটি সুসি এয়ারের। এটি খনিসমৃদ্ধ অঞ্চল তিমিকা থেকে মালামাল নিয়ে পাশের অঞ্চলে যাচ্ছিল।

এদিকে পাপুয়া অঞ্চলটি আগে ডাচ উপনিবেশবাদের অংশ ছিল। এটি পাপুয়া এবং উত্তর পাপুয়া নামে দুটি প্রদেশে বিভক্ত।

১৯৬৯ সালে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হওয়া গণভোটের মাধ্যমে পাপুয়া অঞ্চলকে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।