ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সু চির আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড

  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২
  • / 408
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। অবৈধ ওয়াকিটকি রাখাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) জান্তাশাসিত দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেন বলে বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এছাড়া করোনাভাইরাস সম্পর্কিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার কারণে দায়েরকৃত পৃথক অভিযোগে আদালত সু চিকে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় এক ডজন মামলা দায়ের করে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকার। মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রিত আদালতেই সেসব মামলার বিচার চলছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া সব মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে তাকে কারাগারে কাটাতে হবে এক শতাব্দীরও বেশি সময়। সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ বরাবরই মিথ্যা বলে দাবি করে আসছেন।

তবে সু চির বিরুদ্ধে এই রায়ের পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সেসময় আদালত সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পরে সেটি দুই বছর কমিয়ে দেয় মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানোর পর মিয়ানমারের সাবেক শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় কোনো মামলার রায়।

অভ্যুত্থানের পর ৭৬ বছর বয়সী গৃহবন্দি সু চির বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দায়ের করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। মামলাগুলো যেসব অভিযোগে করা হয়েছে তার মধ্যে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, নিয়মবহির্ভূতভাবে ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ গ্রহণ, নিজের দাতব্যসংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ, করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় গাফিলতিসহ উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার বিষয়টি রয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হলেও মূলত গত জুন থেকে রাজধানী নেইপিদোর বিশেষ সামরিক আদালতে এসব মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। রয়টার্স বলছে, এসব মামলায় সু চির সর্বোচ্চ শাস্তি হলে মোট কারাদণ্ডের মেয়াদ ১০০ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সু চির আরও ৪ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জানুয়ারী ২০২২

সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আরও চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। অবৈধ ওয়াকিটকি রাখাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) জান্তাশাসিত দেশটির একটি আদালত এই রায় ঘোষণা করেন বলে বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এছাড়া করোনাভাইরাস সম্পর্কিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার কারণে দায়েরকৃত পৃথক অভিযোগে আদালত সু চিকে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি।

শান্তিতে নোবেলজয়ী ৭৬ বছর বয়সী অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় এক ডজন মামলা দায়ের করে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী জান্তা সরকার। মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোর জান্তানিয়ন্ত্রিত আদালতেই সেসব মামলার বিচার চলছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের হওয়া সব মামলায় যদি সু চি দোষী সাব্যস্ত হন, সেক্ষেত্রে তাকে কারাগারে কাটাতে হবে এক শতাব্দীরও বেশি সময়। সু চি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ বরাবরই মিথ্যা বলে দাবি করে আসছেন।

তবে সু চির বিরুদ্ধে এই রায়ের পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সেসময় আদালত সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পরে সেটি দুই বছর কমিয়ে দেয় মিয়ানমারের জান্তা সরকার।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। বন্দি করা হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা হারানোর পর মিয়ানমারের সাবেক শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এটি দ্বিতীয় কোনো মামলার রায়।

অভ্যুত্থানের পর ৭৬ বছর বয়সী গৃহবন্দি সু চির বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা দায়ের করে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। মামলাগুলো যেসব অভিযোগে করা হয়েছে তার মধ্যে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, নিয়মবহির্ভূতভাবে ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ গ্রহণ, নিজের দাতব্যসংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ, করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় গাফিলতিসহ উত্তেজনা সৃষ্টি এবং কোভিড-১৯ প্রোটোকল লঙ্ঘনের মাধ্যমে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ভাঙার বিষয়টি রয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হলেও মূলত গত জুন থেকে রাজধানী নেইপিদোর বিশেষ সামরিক আদালতে এসব মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। রয়টার্স বলছে, এসব মামলায় সু চির সর্বোচ্চ শাস্তি হলে মোট কারাদণ্ডের মেয়াদ ১০০ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে।