ঢাকা ০৪:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩ পর্যটকের মৃত্যুতে রহস্য খুঁজছে পুলিশ

  • আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২
  • / 243
প্রবাসী কণ্ঠ অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজার বেড়াতে এসে ১৩ ঘণ্টায় দুই তরুণীসহ তিন পর্যটকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। পুরো ঘটনা নিয়ে আটক হাওয়া দুই বন্ধু ও স্বামী পরিচয় দেওয়া যুবক ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। তবে এ তিন পর্যটকের মৃত্যুকে ঘিরে নানা প্রশ্নের উত্তর বের করতে ও প্রকৃত রহস্য খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থা।

চিকিৎসকদের দাবি, তিনটি মৃত্যুর মধ্যে এক তরুণী অতিরিক্ত মাদক সেবনের পাশাপাশি বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী কিছু সেবন করেছেন। অন্য দুজনের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া না গেলেও চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মাদক ও বিষক্রিয়া বলে সন্দেহ করছেন। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর সব ঘটনার বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যাবে।

তিনটি মৃত্যুকে ঘিরে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে সঙ্গে আসা সঙ্গীদের নিয়ে। যেখানে কলেজপড়ুয়া এক তরুণী এসেছিলেন চার বন্ধুর সঙ্গে। অপর দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন না। ইতিমধ্যে দুই তরুণীর অভিভাবকরা পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলা করেছেন। পুরুষ পর্যটকের পক্ষে স্বজনরা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় অপমৃত্যু মামলা করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার (১৮ মে) বিকেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মনিরুল ইসলাম ও লিজা রহমান ঊর্মি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত-সংলগ্ন সি-গাল হোটেলের ৭২৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন। সেখানে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অসুস্থবোধ করলে মনিরুলকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় স্ত্রী পরিচয়ে সঙ্গে থাকা নারীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন না। তবে কী সম্পর্কের জের ধরে এসেছিলেন, তাও পরিষ্কার করে বলতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় মনিরুলের স্বজনরা কক্সবাজার এলেও কোনোভাবেই মামলা করতে রাজি হননি। ফলে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করে।

পুলিশ জানিয়েছে, মো. মনিরুল ইসলাম (৪০) ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মাটিকাটাস্থ আব্দুল আজিজের ছেলে। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক না পেলে পুলিশ হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করবে। তবে হোটেলে স্ত্রী পরিচয়ে অবস্থানকারী লিজা রহমান ঊর্মি (৩৫) নামের নারীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিলেও মামলা করার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হওয়া দুই তরুণীর অভিভাবক বাদী হয়ে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। যার মধ্যে হোটেল বিচ হলিডেতে অবস্থানকারী লাবণী আকতারের (১৯) মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা মনির হোসেন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি করেন।

জানা যায়, চার বন্ধুসহ ১১ মে কক্সবাজারে এসে কলাতলীর বিচ হলিডে নামের একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন লাবণী। ওখানে ১৪ মে অসুস্থ হলে তরুণীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৬ মে তাকে আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় সঙ্গে আসা চারজনের মধ্যে দুজন পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তারা অতিরিক্ত মদ পান করেছিলেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হলেও অপর দুজন পালিয়ে গেছেন। বুধবার (১৮ মে) দুপুরে লাবণী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে লাবণীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে যাত্রাবাড়ি এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে কামরুল আলম (২০) ও আবদুর রহমানের ছেলে আরিফ রহমান নিলু (২১) আটকের পর ৫৪ ধারায় কারা হেফাজতে রয়েছেন। আর পলাতক রয়েছেন শরীয়তপুর জেলার নুরিয়া এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে তানজিল হাসান (২১) ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা মাহিম হাসান অনিক (২০)। মামলায় লাবণীর বাবা বলেন, তার মেয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়েছিলেন। অভিযুক্ত চারজন কৌশলে তার মেয়েকে কক্সবাজারে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

অপরদিকে, বধুবার সকালে গোপালগঞ্জের মাফুয়া খানম নামের নারী দিনাজপুরের নাছির উদ্দিন নামের যুবকের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল রয়েল টিউলিপে ওঠেন। দুপুরে খাবার শেষে দুজনই নিজেদের কক্ষে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর নারীর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কথা অবহিত করা হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে জানা যায় তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন না। মাফুয়া খানম (২৯) মৃত্যুর ঘটনায় ভাই ছৈয়দুল ইসলাম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা করেন। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে তার বোনকে কক্সবাজার এনে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় নাছির উদ্দিন পুলিশের হাতে আটকও রয়েছে।

তিন পর্যটকের মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি নন চিকিৎসকরা। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চিকিৎসক জানান, হোটেল বিচ হলিডেতে অবস্থানকারি লাবণী আকতারের মৃত্যুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মদপানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। একসঙ্গে বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী কিছুও মেশানো হতে পারে মদে, এমনটা সন্দেহ রয়েছে। একই সন্দেহ করছে অপর দুই পর্যটকের মৃত্যুর ক্ষেত্রেও। চিকিৎসকদের দাবি, বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী দ্রব্যটি মেথা অ্যামফিটামিন বা ক্যাফেইন মিশ্রিত কিছু বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে ঢাকায় পাঠানো ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরিষ্কার হওয়া যাবে। মেথা অ্যামফিটামিন বা ক্যাফেইন মিশ্রিত দ্রব্যের ক্ষেত্রে ইয়াবা বা আইস সেবনকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন চিকিৎসকরা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দুই নারীসহ তিন পর্যটক মৃত্যুর ঘটনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত দুই নারীর মৃত্যুতে মামলা হয়েছে। অপর পর্যটকের ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

৩ পর্যটকের মৃত্যুতে রহস্য খুঁজছে পুলিশ

আপডেট সময় : ০৪:৫০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মে ২০২২

কক্সবাজার বেড়াতে এসে ১৩ ঘণ্টায় দুই তরুণীসহ তিন পর্যটকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। পুরো ঘটনা নিয়ে আটক হাওয়া দুই বন্ধু ও স্বামী পরিচয় দেওয়া যুবক ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। তবে এ তিন পর্যটকের মৃত্যুকে ঘিরে নানা প্রশ্নের উত্তর বের করতে ও প্রকৃত রহস্য খুঁজতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থা।

চিকিৎসকদের দাবি, তিনটি মৃত্যুর মধ্যে এক তরুণী অতিরিক্ত মাদক সেবনের পাশাপাশি বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী কিছু সেবন করেছেন। অন্য দুজনের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া না গেলেও চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে মাদক ও বিষক্রিয়া বলে সন্দেহ করছেন। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর সব ঘটনার বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যাবে।

তিনটি মৃত্যুকে ঘিরে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে সঙ্গে আসা সঙ্গীদের নিয়ে। যেখানে কলেজপড়ুয়া এক তরুণী এসেছিলেন চার বন্ধুর সঙ্গে। অপর দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন না। ইতিমধ্যে দুই তরুণীর অভিভাবকরা পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলা করেছেন। পুরুষ পর্যটকের পক্ষে স্বজনরা মামলা করতে রাজি না হওয়ায় অপমৃত্যু মামলা করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার (১৮ মে) বিকেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মনিরুল ইসলাম ও লিজা রহমান ঊর্মি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত-সংলগ্ন সি-গাল হোটেলের ৭২৪ নম্বর কক্ষে ওঠেন। সেখানে রাত সাড়ে ১২টার দিকে অসুস্থবোধ করলে মনিরুলকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় স্ত্রী পরিচয়ে সঙ্গে থাকা নারীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন না। তবে কী সম্পর্কের জের ধরে এসেছিলেন, তাও পরিষ্কার করে বলতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় মনিরুলের স্বজনরা কক্সবাজার এলেও কোনোভাবেই মামলা করতে রাজি হননি। ফলে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সদর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করে।

পুলিশ জানিয়েছে, মো. মনিরুল ইসলাম (৪০) ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার মাটিকাটাস্থ আব্দুল আজিজের ছেলে। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক না পেলে পুলিশ হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করবে। তবে হোটেলে স্ত্রী পরিচয়ে অবস্থানকারী লিজা রহমান ঊর্মি (৩৫) নামের নারীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিলেও মামলা করার পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হওয়া দুই তরুণীর অভিভাবক বাদী হয়ে পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। যার মধ্যে হোটেল বিচ হলিডেতে অবস্থানকারী লাবণী আকতারের (১৯) মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা মনির হোসেন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি করেন।

জানা যায়, চার বন্ধুসহ ১১ মে কক্সবাজারে এসে কলাতলীর বিচ হলিডে নামের একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন লাবণী। ওখানে ১৪ মে অসুস্থ হলে তরুণীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৬ মে তাকে আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় সঙ্গে আসা চারজনের মধ্যে দুজন পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তারা অতিরিক্ত মদ পান করেছিলেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হলেও অপর দুজন পালিয়ে গেছেন। বুধবার (১৮ মে) দুপুরে লাবণী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে লাবণীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে যাত্রাবাড়ি এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে কামরুল আলম (২০) ও আবদুর রহমানের ছেলে আরিফ রহমান নিলু (২১) আটকের পর ৫৪ ধারায় কারা হেফাজতে রয়েছেন। আর পলাতক রয়েছেন শরীয়তপুর জেলার নুরিয়া এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে তানজিল হাসান (২১) ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা মাহিম হাসান অনিক (২০)। মামলায় লাবণীর বাবা বলেন, তার মেয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বের হয়েছিলেন। অভিযুক্ত চারজন কৌশলে তার মেয়েকে কক্সবাজারে এনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

অপরদিকে, বধুবার সকালে গোপালগঞ্জের মাফুয়া খানম নামের নারী দিনাজপুরের নাছির উদ্দিন নামের যুবকের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল রয়েল টিউলিপে ওঠেন। দুপুরে খাবার শেষে দুজনই নিজেদের কক্ষে অবস্থান নেন। কিছুক্ষণ পর নারীর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কথা অবহিত করা হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে জানা যায় তারা স্বামী-স্ত্রী ছিলেন না। মাফুয়া খানম (২৯) মৃত্যুর ঘটনায় ভাই ছৈয়দুল ইসলাম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা করেন। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে তার বোনকে কক্সবাজার এনে হত্যা করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় নাছির উদ্দিন পুলিশের হাতে আটকও রয়েছে।

তিন পর্যটকের মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি নন চিকিৎসকরা। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চিকিৎসক জানান, হোটেল বিচ হলিডেতে অবস্থানকারি লাবণী আকতারের মৃত্যুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মদপানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। একসঙ্গে বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী কিছুও মেশানো হতে পারে মদে, এমনটা সন্দেহ রয়েছে। একই সন্দেহ করছে অপর দুই পর্যটকের মৃত্যুর ক্ষেত্রেও। চিকিৎসকদের দাবি, বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী দ্রব্যটি মেথা অ্যামফিটামিন বা ক্যাফেইন মিশ্রিত কিছু বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে ঢাকায় পাঠানো ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পরিষ্কার হওয়া যাবে। মেথা অ্যামফিটামিন বা ক্যাফেইন মিশ্রিত দ্রব্যের ক্ষেত্রে ইয়াবা বা আইস সেবনকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন চিকিৎসকরা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দুই নারীসহ তিন পর্যটক মৃত্যুর ঘটনাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত দুই নারীর মৃত্যুতে মামলা হয়েছে। অপর পর্যটকের ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।